শিক্ষার্থীকে মরধরের ঘটনায়-৯৯৯ ফোন
মানিকছড়িতে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি
॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বেদম মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ঐ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী পুলিশের জরুরী সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি অবহিত করে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তার সত্যতা পান এবং বর্তমানে আহত ঐ শিক্ষার্থী মানিকছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মানিকছড়ি উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত গিরিকলি কিন্ডারগার্টেন ও পাবলিক স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতের সহপাঠী শিশির মারমা ও রাব্বি জানান, কোচিং চলাকালিন সময়ে স্কুলের পিছনে একাধিকবার আতশবাজির শব্দ শোনা যায়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্ধেহে এসএসসি পরীক্ষার্থী (ব্যববসায় শাখার) শিশির মারমাকে সন্দেহ করে অফিসে তলব করেন সহকারী শিক্ষক মো. এমদাদ হোসেন। সে বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না বলে শিক্ষক মে. এমদান হোসেনকে জানান। পরে সন্ধেহ করে আরেক শিক্ষার্থী মো. এমরান হোসেনকে ডাকেন ঐ শিক্ষক। তবে শিক্ষকের সামনে পকেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ও জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী মো. এমরান হোসেনকে বেদম মারধর করেন শিক্ষক মো. এমাদুল হক!
তলপেটের নিচে বেদম মারধরের ফলে ঐ শিক্ষার্থী ঢুলে পড়লে তার পাশে দরজার সাথে ধাক্কা লাগে। ঠিক ঐ সময়ে শিক্ষক তাকে আবারও দরজার সাথে একাধিকবার থাপ্পড় দিতে থাকেন। যার ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতিতে ও সহপাঠীদের সহায়তায় তাকে মানিকছড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসক ডাঃ মহিউদ্দীন জানান, আহত স্কুল ছাত্রের তলপেটে আঘাত পাওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীর চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ওই স্কুলের একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতীতেও ছাত্রদের মারধর ও অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ এমাদুল হক জানান, স্কুল আঙ্গিনায় আতশবাজির বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকলে সে পকেটে হাত ঢুকিয়ে আমার গায়ের ওপর তেড়ে আসার চেষ্টা করলে আমি তাকে কয়েকটি চড়-তাপ্পর মারি। এতে সে অভিনয় করে আহতের ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়। একজন ছাত্রের কাছে এ ধরণের আচরণ অপ্রত্যাশিত।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ মমতাজ উদ্দিন বলেন, আতশবাজির বিষয়ে জানতে চানতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে শিক্ষকের অপরাধ থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মানিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনচারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষার্থীর অভিভাবককে রাতে থানায় আসতে বলা হয়েছে। বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।