[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

হ্রদের জায়গা উদ্ধারে চুনোপুঁটিগোর মইধ্যে অভিযান চালাইলে হইবে না আগেতো রাঘবলবোয়ালগোর কলার ধরিতে হইবে

১২৮

ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। আমাগো শেখ হাসিনা জেঠিতো ব্যাটা করোনার টুঁটি চাপিয়াই ধরিয়াছে। এই বজ্জাতের হাড্ডি গোটা পৃথিবীর জেঠা-জেঠির অস্থিমজ্জাও চুষিয়া খাইতেছে। লাখ লাখ জেঠা-জেঠিগোর জীবন সাঙ্গ করিয়া বন্ধন ছিন্ন করিয়াছে। জোট বাধিঁয়াছে ওমিক্রন….বহুতের লগে। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে, কঠোর দমন নাই, নিপীড়ণ, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি আপুত্তি-বিপুত্তি। আমি জেঠাও সর্ব বেকায়দায়। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমজেঠা-জেঠিরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপুনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা....

ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর জেঠা-জেঠিগোর ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিলো তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওন যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনে হয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি। পাহাড় পর্বতের মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের বয়ান উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। করোনা-১৯তো কারো কথাই হুনিতে চাহে না। বহু ভাইরাসের মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং এখন হরদম। বেকার এই জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, বায়না ধরে জঙ্গল দেখিবো, পাহাড়-নদী-নালা দেখিবো, আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো, খুবই চিন্তায় আছি… যাউ¹া…

আমাগো মন্ত্রী জেঠা কহিলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার ফসল হইলো পার্বত্য ট্টগ্রামের উন্নয়ন। গোটা দেশের ন্যায় পাহাড়ের উন্নয়নেও কোন কমতি নাই। পার্বত্য চুক্তির পর পাহাড়ের উন্নয়নে কোন বিরতিও নাই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ লগে হ¹ল উন্নয়নে আর পিছনে নাই পাহাড়বাসী। গেল মঙ্গলবার তাইনে পার্বত্য বিতর্ক উৎসবের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে চিফ গেষ্টের বক্তব্যে এইসব কহিলেন। কথা হইলো বহু ষড়যন্ত্র আর মিত্যাচারের মইধ্যেও পাহাড়ের অসহায় জেঠা-জেঠিরা উন্নয়ন পাইতেছে এইডাতো মহা পাওয়া। তয় খেয়াল রাখিতে হইবে ষড়যন্ত্র যাই হোক উন্নয়ন যাহাতে বন্ধ না হইয়া যায়, চিন্তায় আছি…

অং জেঠা কহিলো, আমাগো বান্দরবানের থানচির সীমান্ত এলাকায় লগে বেশ কয়বার চাষ নিষিদ্ধ মাদক পপি (আফিম) বাগান ধ্বংস করিয়াছে। হেই উপজিলার বহু পাহাড় টিলায় পপির চাষ হইয়া আসিতেছে। আমাগো সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র সদস্যরা গোপন সংবাদ পাইয়া এই পপি ক্ষেত ধ্বংস করিয়াছ। বিজিবি’র জেঠারা কহিলেঅ হেই পাহাড়ের নানান এলাকা লইয়া অন্ত সাত একর জমিতে এই চাষ হইয়াছে। কথা হইলো পাহাড়ের হেইখানের জেঠা-জেঠিরা অন্য উন্নয়ন হইতে বঞ্চিত হওনের কারনে জীবন জীবিকার তাগিদে জানিয়াও না জাননের ভান ধরিয়া মনে হইতেছে এই নিষিদ্ধ বিষয় লইয়া দৌড়াইতেছে। তয় আমাগো কৃষক ডিপার্টমেন্ট যদি লাগাতার নানান কিচিমের বীজ লইয়া দৌড়ায় তাহলে এই আকাম হইবে না, চিন্তায় আছি…

আকাশ জেঠা কহিলো, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ডিপার্টমেন্টর বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী কহিলেন ঠিকাদার জেঠারা কাজের টেন্ডার নিজের ভাগ্যে পাইলে আমাগো কর্মকর্তাগোরে মহান বলে আর না পাইলে সন্ত্রী দিয়া হামলা করে এই অত্যচার আর কত দিন সহ্য করিব। আমরা উন্নয়নে স্বার্থে কামও চালাইব আবার মাইরও খাইব এইভাবেতো চলিতে পারেনা। কথা হইলো নানান কৌশল চালাইয়া নিজেগোর পরিবেশওতো ঠিক রাখিতে হইবে। প্রশাসনিক দায়িত্বে হ¹লরে বুকে লইয়াই কাম চালনের দরকার না হইলেতো আকামই ঘটিবে বার বার, চিন্তায় আছি…

জুলু জেঠা কহিলো পার্বত্য চট্টগ্রামে পুরুষ হেডম্যান আর কারবারীরা সরকারের ভাতা পাইলেও নারীরা বঞ্চিত রহিয়াছে। প্রথাগত আইন লইয়াতো নারীরাও হ¹ল কাইজ কাম চালাইয়া যাইতেছে নারীগো বেলায় বৈষম্য ক্যান।

কথা হইলো নারীরাতো আর পিছনে নাই তারাতো অগ্রভাগে আসিয়াছে। তয় আমাগো চীফ সার্কেলগুলাইনের প্রধানগন নারীগোর সম্মান দেওনের বিষয় আসয়ে হজাগ থাকিলে বঞ্চিত থাকনের কারণও নাই, চিন্তায় আছি…

হোসেন জেঠা কহিলো, খাগড়াড়ুড়ির মানিকছুড়ি উপুজিলার গভারা এলাকায় রোগী বহনকারী এম্বুলেন্স এর ধাক্কা খাইয়া স্কুল পড়ুয়া আমাগো মাসাপ্রু জেঠির প্রান গিয়াছে। গেল সমবার সাধসকালেই এই দুঃখ জনক ঘটনা ঘটিয়াছে। ঐ এম্বুলেন্স মরদেহ লইয়া গন্তব্যে যাইবার পথে চালক এই ঘটনা ঘটাইয়াছে। কথা হইলো চালকের অসাবধানতার কারনেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়াছে। কথা হইলো এম্বুলেন্স চালক মরদেহ বহন করিতে যাইয়া যদি রাস্তাঘাটে আরো মারিয়া যায় হেই চালকের দরকার কি। তয় এম্বুলেন্স চালকের বিচার হওনের দরকার, চিন্তায় আছি…

আমাগো পাহাড়ে মানবতা পুতিষ্ঠার লাগি সরকারের প্রত্যেক বাহিনী হত দরিদ্রগোর মাঝে নানান প্রকারের সাহার্য সহযোগীতা চালাইয়া যাইতেছে। পাহাড়ের বহুত এলাকায় দরিদ্ররাও বহুত খুশিতেই রহিয়াছে। অসহায়গোর সহযোগীতা চালাইয়া যাইতে স্বাবলম্বীর প্রত্যেকেই এই রকুমের উদে্যুগ লওনের দরকার, চিন্তায় আছি…

আকাশ জেঠা কহিলো, বান্দরবানের রুমায় যৌথবাহিনীর লগে বন্দুক যুদ্ধে নিহত কেএনএফ এর সদস্যের শেষমেষ পরিচয়ও পাইয়াছে নিহতের লাশও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করিয়াছে পুলিশ। কেএনফ লগে জঙ্গী সম্পৃক্ততার কারনে পাহাড়ের নতুন করিয়া আশান্তি দেখা দিলে পাহাড়বাসী বহুতের ঘুমও হারাম হইয়া গিয়াছে। সন্ত্রাসীগোর হুমকীর কারনে বহুতে বাড়িঘর ছাড়িয়া পলাইতেছে। আমাগো আইনসৃংখলা যৌথবহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাইতেছে। লাগাতার অভিযানের মইধ্যে পড়িয়া পাল্টাপাল্টি গোলাগুলিতে কেএনএফ এর এক জেঠা নিহত হইয়াছিল। কথা হইলো হুট করিয়া কেএনএফ এর উত্তান পতন লইয়া পাহাড়ের বহুত বিজ্ঞরাও মাথা কচলাইতেছে, চিন্তায় আছি…

আবার আমাগো মাত্তাল লেদু কহিলো আর কত্ত। হ্রদের জায়গা উদ্ধারে চুনোপুঁটিগোর মইধ্যে অভিযান চালাইলে হইবে না আগেতো রাঘবলবোয়ালগোর কলার ধরিতে হইবে। অবৈধ সারা বছরই জেঠা-জেঠিগোরে চুষিয়াই খাইলি। ক্ষেমতার অধিকারী হইয়া রাজনৈতিক লেজুরভিত্তি চালাইয়া শহর নগরের অসহায় জেঠা-জেঠিরে ভালবাসার পল্টি মারিয়া লাগাতারই ছেঁচড়াইতেছে। জন্ম নিবন্ধন লইয়া বহুতে কহিলো যেই অত্যাচারিত হইতেছি তয় মানবকুলে আর জন্ম লওনের দরকার নাই। ঢের ভালা পাখি হইয়া জন্মিলে গোটা পুত্থিবী ঘুরিলেও, পাসপোর্ট, ভিসা, পুরিচয়পুত্র, জন্ম নিবন্ধুনের দরকার হইবে না। এই কামে, হেই কামে বহুতে ফিরিকশন লাগাইয়া দিয়া চুইংগামের মতন লম্বা করিতেছে, আবার নানান কিছিমের আকাম লইয়াও দৌড়াইতেছে। লেদু কহিলো খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। লুটেরার দল আছমকা গন্ডোগোল আর আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হ¹লই হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইতেছে। তয় কি ভালোভাসা, বহুতেতো বাসাবাড়িও দখল করিতেছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…

ভাইপো-রে পার্বত্য এলাকায় আর কতো রকম-বেরকমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ আমি জেঠাও কখন জেলে ঢুকি এই চিন্তা লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….

ইতি-

পা.স.চি.জে.মি.ব.

৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ খ্রিঃ