রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী হেডম্যান কার্বারী সম্মেলন
পুরুষ হেডম্যান ও কার্বারীবৃন্দ ভাতা পেলেও নারীরা কেন বঞ্চিত
॥ পলাশ চাকমা ॥
রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী হেডম্যান কার্বারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের রাজবাড়ীস্থ সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক সম্মেলন কক্ষে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, চাকমা চীফ সার্কেল ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়। উদ্বোধক ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস,এম ফেরদৌস ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সৌখিন চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক সভাপতি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, রাঙ্গামাটি হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা,এএলআরডি নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা,ইউএনডিপি এর চীফ জেন্ডার এন্ড কমিউনিটি কোহেসন,এসআইডি সিএইচটি ঝুমা দেওয়ান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিএইচটি নারী হেডম্যান কার্বারী নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক শান্তনা খীসা এবং সভাপতিত্ব করেন, সিএইচটি নারী হেডম্যান কার্বারী নেটওয়ার্ক এর সভাপতি জয়া ত্রিপুরা।
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল নারী হেডম্যান কার্বারীদের ভাতা প্রদানের দাবী জানিয়েছেন সিএইচটি নারী হেডম্যান নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ। বক্তারা আরো বলেন, নারী হিসেবে কার্বারীদের দায়িত্ব পালন করা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। নারী কার্বারীরা যদি পরিবারের কারনে দায়িত্ব পালন করতে না পারে তাহলে এলাকার জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পুরুষ হেডম্যান ও কার্বারীবৃন্দ ভাতা পেলেও নারীরা কেন বঞ্চিত থাকবে। আমাদের দায়িত্বটাতো একই।
সভায় সিএইচটি নারী হেডম্যান নেটওয়ার্ক এর নেতৃবৃন্দ নারী কার্বারীদের ভাতা প্রদান, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন, পার্বত্য নারীদের উত্তরাধিকার নিশ্চিত করাসহ সাত দফা দাবী জানান সম্মেলনে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী হেডম্যান কার্বারী সম্মেলনে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দুইশতাধিক নারী হেডম্যান ও কার্বারী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩-২০১৪ সালে এ পর্যন্ত চাকমা সার্কেলে ৩৬৭ জন, মং সার্কেলে ২৪৭ জন, এবং বোমাং সাকেূলে ৯ জনসহ মোট৩৬৭ জন নারী কার্বারী নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।