[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যুকাপ্তাইস্থ ১০আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক অসহায় পরিবারকে হাঁস বিতরণবিএনপি সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না, বাঘাইছড়িতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পরীক্ষার্থীর মাঝে পানি, ওরস্যালাইন বিতরণ করলো ছাত্রদলবৈসাবী উৎসব উপলক্ষে আলীকদম ৫৭ বিজিবি কর্তৃক আর্থিক অনুদান প্রদানরাঙ্গামাটিতে নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় আটক-১রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য আলীম বহিষ্কারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নানান আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটিতে ভিসিএফ নেটওয়ার্ক সেন্ট্রাল কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত

৪৪

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

প্রাকৃতিক ভারসাম্য, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পাহাড়ে বনের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামীণ সাধারণ বনগুলো সংরক্ষণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চাকমা সার্কেলের চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়। তিনি বলেন, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ রক্ষায় যে অঞ্চল ভূমিকা রাখবে সেসব অঞ্চলে উন্নয়ন কাজে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের মত দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারলে পরিবেশ রক্ষায় সবার অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা যাবে। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশিরভাগ নদীর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে। সুতরাং এ সুবিধা গ্রহণ করে এলাকার পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। আর্থিক সংশ্লেষ ব্যতীত পার্বত্য চট্টগ্রামের গ্রামীণ সাধারণ বনগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হওয়া উচিত। তিনি হেডম্যান-কার্বারীদের প্রাকৃতিক বন রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য আহবান জানান।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের হলরুমে (এনেক্স ভবন) ভিসিএফ নেটওয়ার্ক সেনট্রাল কমিটি এবং ভিসিএফ নেটওয়ার্ক রাঙ্গামাটি জেলা কমিটি এবং জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায় এসব কথা বলেন।

এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, সদস্য সবির কুমার চাকমা, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, এসআইডিসিএইচটি-ইউএনডিপির কর্মকর্তা জয় খীসা এবং ভিসিএফ নেটওয়ার্ক সেনট্রাল কমিটির সভাপতি থোয়াই অং মারমা।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামীণ সাধারণ বনগুলি আমাদের সম্পদ। আমাদের মানুষেরা প্রকৃতি নির্ভর জনগোষ্ঠী। ভিসিএফগুলো প্রাকৃতিক বন এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এসমস্ত বন রক্ষা করতে না পারলে আমাদের বেঁচে থাকার অস্তিত্বে আঘাত আসবে। আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে পানির অভাব ছিলোনা। এখন চারিদিকে পানির তীব্র অভাব। ভিসিএফ এলাকায় পানির অভাব দূর করার জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে ভিসিএফ এলাকার পানির অভাব অনেকটা দূর করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পরে অতিথিরা নব নির্বাচিত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ এবং ১১জন সদস্যকে যোগাযোগের সুবিধার্থে মোবাইল সেট প্রদান করেন।