লামায় হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের বন বিভাগের আর্থিক সহায়তা প্রদান
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন সময় তান্ডব চালিয়ে বাগান ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে বন্যহাতির দল। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আর্থিক সহযোগিতা হিসাবে চেক বিতরণ করে লামা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাঙ্গাঝিরি মোঃ ইউনুচ চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে লামা বন বিভাগের উদ্যোগে জনসচেতনতা মূলক সেমিনার ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরনের চেক বিতরণ করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওমর ফারুক, লামা বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি বুলবুল আহমেদ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন সহ প্রমূখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন, লামা বন বিভাগের এসিএফ খোন্দকার মোঃ গিয়াস উদ্দিন।
বান্দরবানের লামায় বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার অনুদানের চেক দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ পরিবারের সদস্যদের হাতে চেক তুলে দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল।
ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন- কপিল উদ্দিন, মহি উদ্দিন, খুইল্যা মিয়া, রহিমা আক্তার, শফিকুল ইসলাম, মোঃ হাকিম আলী, এস কে সাব্বির আহম্মদ, নুরুল আবছার, সাহাব উদ্দিন, মোঃ আব্দুল কাদের, মাওয়াং মার্মানী, নুর মোহাম্মদ, মনির আহম্মদ, রশিচন্দ্র ত্রিপুরা, মোঃ রাজিব গণি, নুরুল আবচার, নজির আহম্মদ, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, লাকিং য়াই মার্মানী, জান্নাতুল ফেরদৌস, শামীমা আক্তার, ফরিদা বেগম, মাচিংয়াই মার্মানী, মংরি মার্মা, মংছা থোয়াই মার্মা, নুরুল আমিন, নুরুল কবির, জালাল উদ্দিন, মোঃ ফারুক, শরিফুল ইসলাম, মর্জিনা খানম, আবু সাঈদ, নাছির উদ্দিন, মোঃ ইউনুচ, আব্দুল মালেক, জামাল হোসেন, মোঃ জাকির, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ সৈয়দ হোসেন ও ফাতেমা বেগম।
চেক প্রদানের সময় লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল বলেন, পাহাড়ে আবাস্থল ও করিডোর নষ্ট হওয়ায় বন্যহাতিগুলো লোকালয়ে নেমে পড়ছে। তাই দুর্গম এলাকায় বসবাসকারীদেরকে জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে বেশি বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী মানুষের ক্ষতি করে থাকলে, বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।