সন্ত্রাসীদের হুমকিতে ৫২ পরিবার ঘরছাড়া
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে কেএনএফ সদস্য নিহত
॥ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ॥
বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার দুর্গম অঞ্চলে পাহাড়ের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ১ কেএনএফ এর এক অস্ত্রধারী সদস্য নিহত হয়েছে। তবে ঐ অস্ত্রধারীর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। রবিবার (২৯ জানুয়ারী) সকালে রুমা পাইন্দু ইউনিয়ন দুর্গম এলাকার আরথা পাড়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।
সূত্রে জানা যায়, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের দুর্গমাঞ্চলে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এর কিছু সদস্য সেখানে অবস্থান নিয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় থেমে থেমে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে কেএনএফ-এর এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাশটি উদ্ধার করে। এসময় সেখান থেকে ৭০ রাউন্ড কার্টুজ গুলি, দুই নলা ১টি বন্দুক উদ্ধার কওে সেনা বাহিনীর সদস্যরা।
রুমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই পক্ষে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফ-এর এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে তবে তার পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে ২৮ জানুয়ারি রুমার মুয়ালপি পাড়া এলাকায় অবস্থান নেয় কেএনএফ সদস্যেরা। এসময় পাড়ায় অবস্থানরত ৫২ পরিবারকে পাড়া ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ ও বিভিন্ন হুমকি দেয় তারা। এতে ভয়ে পেয়ে পাড়া ছেড়ে ৪০ পরিবার আশ্রয় নেয় রুমা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে।
উল্লেখ্য যে, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার সদস্যরা রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) গোপন আস্থানাতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেওয়ার সংবাদ ভিক্তিতে ৯অক্টোবর হতে ওই সব এলাকায় জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। ২০অক্টোবর ওই সব এলাকা থেকে ৭জন জঙ্গি ও ৩জন কেএনএফ সদস্য এবং ১১জানুয়ারি আরো ৫জন জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়েছিল।