[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

সরকারি অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচি

মানিকছড়িতে ১৮জন উপকারভোগী সদস্য দৈনিক মজুরির ভাতা পায়নি

১৩৪

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কর্মক্ষম দুস্থ পরিবারগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) চালু করা হয়েছিল। এলাকার অতিদরিদ্র এবং মৌসুমী বেকার শ্রমিক পরিবারের জন্য এই প্রকল্প চালু করেন সরকার। শ্রমিক যারা কাজ করতে চায় কিন্তু কাজ পায় না, মূলত তাদের জন্যই দৈনিক ৪শ টাকা মজুরিতে একটি পরিবারের একজন সদস্য এ কাজের জন্য নির্বাচিত হন। উক্ত কর্মসূচির আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মানিকছড়ি উপজেলার ৫৩৫জন উপকারভোগী সদস্যের কাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়। গত ছয় মাস হলো প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে কিন্তু এখনও ১৮জন উপকারভোগী শ্রমিক তাদের দৈনিক মজুরীর ভাতা পায়নি বলে জানিয়েছেন।
মানিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলাধীন চারটি ইউনিয়নের ৫৩৫জন অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় কাজ করেছিলেন। প্রথমবারের মত তাদের দৈনিক ৪শ টাকা মুজুরীর ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে প্রদানের জন্য বিকাশ একাউন্ট ও এনআইডি নাম্বার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিল। এতে করে তাদের মোবাইল নাম্বারে একাউন্ট খোলা নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হলেও সব ঠিকঠাক করেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিল। উক্ত অর্থবছরের প্রথম পর্যায়ে ৫১৭জন উপকারভোগী তাদের মজুরীর ভাতা পেলেও আরও ১৮জন ভাতা বঞ্চিত থেকে যায়। যাদের মধ্যে কারো ৪০দিন, কারো ২০দিন ভাতা এখনও বাকি রয়েছে।
এসব অসহায় পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কিছুদিন পরপর সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও ভাতাভোগীরা উপজেলা প্রকল্প অফিস ও ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাজে আসেনি।
ভাতাভোগাী বাটনাতলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আম্বর আলী জানান, কর্মসূচির কাজ করেছি ছয় মাস হলো, এখনও ভাতা পাইনি। বহুবার প্রকল্প অফিসে গিয়েছি কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। জানি না কখন কাজের ভাতা পাব।
মানিকছড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দুনু মিয়া অক্ষেপ করে বলেন, কাজ না থাকায় স্বল্প মজুরিতেই কর্মসূচির কাজে নাম লিখিয়েছিলাম। কিন্তু লাভ কি হলো? ছয় মাস হলো প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে এখনও ভাতার টাকা নাই।
যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের উসাই ত্রিপুরা জানায়, অসহায় পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী সদস্য এমনিতেই সংসার চালাতে কষ্ট হয়। ছয় মাস আগে কাজ করেছি, কিন্তু এখনও সেই টাকা পাইনি। বর্তমানে সংসার চালতেই কষ্ট হচ্ছে। যদি কর্মসূচির টাকা গুলো পেতাম তাহলে অনেক উপকার হতো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদ-উজ-জামান জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিকাশ একাউন্ট ও তাদের এনআইডি কার্ডের জটিলতার কারণে উপজেলার ১৮জন উপকারভোগী সদস্য ভাতা পাননি। প্রকল্পের মেয়াদ ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তারা তাদের পরিশ্রমের মজুরি এখনও পায়নি। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বরণাপন্ন হলেও, এখন পর্যন্ত তাদের একাউন্টে ভাতা আসেনি। আশা করছি অতিশীগ্রই উপকারভোগী সদস্যরা তাদের প্রাপ্ত মজুরির ভাতা পাবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী বলেন, উপজেলার অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির ১৮জন উপকারভোগী সদস্য তাদের ভাতা পায়নি এখনও। এ নিয়ে বহুবার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। আশা করি অচিরেই উপকারভোগীদের ভাতা তাদের একাউন্টে জমা হবে।