পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৬৭
চোর-ডাকাইত ভান্ডার রক্ষকরা কুটি কুটি টাকার মালিক,ললাটে কি আছে আগে ভাগেই ফরমায়েশ দেন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড়-চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার-সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপুনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও নানান চরিত্রের অবাধ্য জীবানু করোনা-১৯’র অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক দাদু-দিদি লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপুরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, ষড়যন্ত্রের জেল খাটিয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৬৭ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় লইয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের সুক্ষ্ম ব্যবস্থাপত্রও বানাইবেন।
শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, স্বপ্নদ্রষ্টা, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই অভাগা পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার বার্তা লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসা দেখিয়া পক্ষও অপক্ষে গড়াইতেছে। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও নানান কিসিমের সাইন বোর্ড, আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্য, অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া দৌঁড়াইতেছে। বহুতে বন্দুকের নলায় ফটর ফটর করিয়া দাদু-দিদিগোরে খালি পরপারে দিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাতগোর দলাদলী বলাবলি লইয়া জীবন সাঙ্গে যোগই হইতেছে। ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস করিয়া ফুটায়। লাগাতার অত্যাচারে অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল শুন্য। অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে, চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে খালি মিনতি জানাইতেছে। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা-সমালোচনা-পরামর্শ হইলো….
মা’জননীগো বান্দরবনের বহু উপুজিলার সীমান্ত লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, ঝিড়ি-ঝর্ণায় নানান কিছিমের শয়তান বাসা-বাড়ি বান্ধিয়াছে। অপহৃত মংলুমাং (৫২)র ক্ষতবিক্ষত লাশ মিলিয়াছে। হেই পাহাড় লইয়া জঙ্গির আচ্ছাধনও নাকি যোগ হইয়াছে। মাদক লগে যোগ হইয়াছে পশু চোরাচালান তার মইধ্যে আবাধ্য রোহিঙ্গ্যার নানান বাবতের সন্ত্রাসী কু-কর্ম হেই পাহাড়ের শান্তি নষ্ট করিতেছে। কেএনএফ’র লগে সন্ধি করিয়া পাহাড়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ তিন পাহাড়ের দাদু-দিদিগোরেও ভাবাইয়া তুলিয়াছে। নিহত জঙ্গি আলামিন’র লাশতো কবর খুঁড়িয়াও পায় নাই। আমাগো সরকারি বাহিনীরাতো কহিলো কেএনএফ’রে অর্থের যোগানের বিনিময়ে তাইনেরা নাকি প্রশিক্ষণ দাতা। হাঠাৎ করিয়া কেএনএফ’র চক্রাকারতো হ¹লরে ভাবাইয়া তুলিয়াছে। আপুনার ডিজিটালের মানে পাহাড় লইয়া পালাক্রমে ষড়যন্ত্রের যানের পিছনে দড়ি বান্ধনেরও দরকার। তয় বিজ্ঞ দাদু বহুতে কহিলো পাহাড়ের দাদু-দিদিগোর ঘুমতো বরবাদই হইয়া যাইতেছে। আমামীলীগের বিজ্ঞ বহুতে কহিলো এইসব লইয়া আমাগো পাহাড়ের সুনাম অর্জনকারী মুন্ত্রী বাহাদুরের বদনাম লাগাইয়া রাখিতেও ষড়যন্ত্র হইতেছে। দয়া করিয়া আপুনি পাহাড় লইয়া গবেষণা-টবেষণা করিবেন।
মাদার ডিস্ট্রিক্টেতো আমামীলীগের পুরিস্থিতি ভাগে ভাগে মেঘে ঢাকিয়াছে। চেয়ার দখলের তালের দুঃস্বপ্ন লইয়া দলের নানান স্তরের নেতা-নেত্রীরা ফন্দি আঁটাইয়া নাকি কদম বাড়াইতেছে। ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে প্রানহারা আমামীলীগের বহুত নেতার মনেকরনের কাইজ কামও তাইনেরা ভুলিয়া গিয়াছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন পাহাড়ের মুক্তিযোদ্ধা কৃষকলীগের সভাপুতি অনিল তঞ্চঙ্গ্যা গায়েব হইয়া গেলেও বহুবছর তাইনের কোন খোঁজ নাই। আমামীলীগওতো অনিল দাদুরে ভুলিয়া গিয়াছে। দলের আরেক মুক্তিযোদ্ধা দাদু কহিলো তাইনে নাকি অন্যের কাঁটা হইয়া দাঁড়াইয়াছিল তয় এইসব ঘটনা লইয়া ঘুঁটা চালাইলে নাকি ফত্ ফত্ করিবে। অনিল দাদুর মতন আরো ক’জন অপহরণ, হত্যার শিকার হইয়াছে এইসবরে পিছনের নাটের গুরু-শিষ্য কারা তাও পাহাড়ের দাদু-দিদিগোরে জাননের দরকার। আমামীলীগের নেতা দাদু বহুতে কহিলো নব্য আওয়ামীলীগারদের দখলে বহুত স্থান। এই নব্যরাই বেকামে তালও দেয় তৈলও মারে তয় এইসব লইয়া ছাকনের দরকার।
মা’গো তিন পার্বুত্য জিলা পুরিষদ লইয়া ঝাঁকুনি দেওনের দরকার পড়িয়াছে। কুটি কুটি টাকার উন্নয়নের খবরাখবরও দরকার। বরাদ্দের খাদ্য শষ্য লইয়াওতো বহুতে নামে বেনামে কুটি কুটি টাকার সম্পদের মালিক বনিয়াছে। হরেক রকুমের রাক্ষস খোক্ষসের ফ্রন্টে দাদু-দিদিরাতো খোরাক হইয়া যাইতেছে। পার্বুত্য জিলা পরিষদ গুলাইনে লাগাতার কর্মচারী-কর্মরতরাও উন্নয়ন কামের ব্যবসায় মুলধন লইয়া জড়িত হইয়াছে। ভান্ডারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরা গরিবের খাদ্য শষ্য মারিয়া দিয়া চেয়ারমন-সদস্য আর সাধারণ দাদু-দিদিগোর মইধ্যে ফোসকা ফুটাইতেছে। ভান্ডার রক্ষকরা কুটি কুটি টাকার মালিক তলে তলে নামে বেনামে সম্পদেরও পাহাড় গড়িয়াছে। পুরিষদের ক্ষেপা এক দাদু কহিলো মাদার ডিস্ট্রিক্টের জিলা পরিষদ মনে হইতেছে বহুতের চাকুরী-ব্যবসা লগে লুটেরও মহা স্থান। যা মেসেজ পাইতেছি তাহাতে ইঞ্জিনিয়ার-ঠিকাদার, ঠিকাদার-পিএস, কর্মচারী-ঠিকাদার নাকি যৌথ। চোর আর স্বার্থপর বহুতে লোভের বসে দলের ঢাল পালাও ভাঙ্গিতেছে। ক’দিন আগের অনুষ্ঠানে আমাগো সন্তু দাদুওতো কহিলো জিলা পরিষদগুলাইন দূর্নীতির আঁখড়ার পুরিণত হইয়াছে। তয় মা’রে পাহাড় উন্নয়নের এই মহাপুতিষ্ঠান গুলাইনে জোরসে ধাক্কা লাগাইতে কৌশুলি হন, না হইলে ঘরের ইন্দুর বেড়া কাটনের মতনই হইবে।
মা’রে কুজেন দাদুর পাহাড়েরও আমামীলীগের বহুতে ষড়যন্ত্র লইয়া চালাচালিতে ব্যস্ত। হাম বড়ু হুমবড় করিতে করিতে দলের সুনামের পল্লায় বড় বড় ছিদ্র হইতেছে। নিজের ভেতরটায় খালি মোচর মারে আর কম্পন চলে। আগামী নির্বাচন লইয়া হেই পাহাড়েরও দাদু বহুতে হিসাবের খাতা খুলিয়া যোগ বিয়োগ গুণ চালাইতেছে। মহিলালীগের এক দিদিতো কহিলো কুজেন উজানে যাউনের অংশ। যাঁহার চক্কা মারনের তালে রহিয়াছে তাঁরাই দেখিবেন এক সমুয় ফক্কা মারিবে। পাহাড়ে নাকি ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈত বহুত নাগরিক। তয় বহুতেতো সীমান্ত পার হইয়া দেদারসে হেলে-দুলে ভারত-বাংলাদেশ কামিং-গোইং করিতেছে। আমাগো ভারত প্রত্যাগত শরনার্থীরা কেমুন আছে কিভাবে আছে বহুতে জানিতেও চাহে। কুজেন দাদুর পাহাড়ের ভালামন্দ খবরাখবরও লইওনের দরকার।
মা’জননীগো, আগামী নির্বাচন লইয়া শক্তি-সমত্বে, অর্থে তলেতলে বৈঠক সৈঠকও লাগোয়ান। ছোট বড়-মাঝারি দলের জোটের ছুটে চেয়ারতো কারো কারো বটে এই হিসাবে জট চলিতেছে। উন্নয়নের চিন্তা শুন্য তয় নিজের উন্নয়নের চিন্তায় গড়াগড়ি অবস্থা। আমামীলীগের উন্নয়নের জোয়ারে দিশেহারা বহুতে খুঁত খোঁজের তালে থাকিলেও নিজেগোর টালমাটালে বেহুঁস। সত্যি হইলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুরে যাহারা অস্বীকার করিবে তাঁগো ধ্যান-ধারণা মিথ্যার প্রলেপই লাগিয়া থাকিবে। দেশ আর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ষড়যন্ত্র চলমান রাখিয়া তাঁগো ভাগ্যের পরিবর্তনই করিয়া আসিয়াছে। দেশরে মেধাশুন্য করিতে ষড়যন্ত্রকারীরা যুদ্ধ শেষ করে নাই সুযোগ পাইলেই মারিবে। মা’গো জাতিও জানে বঙ্গবন্ধু হত্যা পুরিকল্পনা একদিনে হয় নাই। ষড়যন্ত্রের দলের তালে দেশ বিদেশের ইশারাও পাকাপোক্ত কাজ চালাইয়াছে। শয়তানগোর লেজগোচ বাকী রাখন যাইবে না। আপুনার বহু বয়ানেতো আমামীলীগের ঘরের ইন্দুরও বেড়া কাটিয়াছে বলিয়াও পুরিস্কার। তাঁগো বিষয় আশয়ে আরো সজাগ হইবেন। তয় দেশ লইয়া আপুনার উন্নয়নের জোয়ারে ষড়যন্ত্রকারীরা কুল-কিনারা ছাড়াই ভাসিবে। মা’রে পিছনে ফিরিয়া দেখনের সমুয় নাই।
মা’জননীগো দেশের সহায়-অসহায় দাদু-দিদিরা কহিলো ভিতরে বাইরে হ¹লই জ্বলিতেছে। নিত্য পন্যের চড়াদামের মূল্য দিতে গিয়া জীবন যৈবনওতো ভাটায় যাইতেছে। হাট বাজার রাস্তাঘাটে খালি কহে জীবনখানা এই গেল গেল অবস্থা খালি অস্থীর অস্থীর। ডিমের বাজারেও দাদু-দিদিরা অমলেট। খাওনের তৈল যাওনের তৈল সমানেই বাড়িতেছে লগে যোগ হইতেছে বিদ্যুৎ। হ¹ল বিষয় আসয়ের ঘোলাটে ২৩ সাল লইয়া ললাটে কি আছে আগে ভাগেই ফরমায়েশ দেন। দেশের দাদু-দিদিগোর দিনতো যায় রাইত কাটিতেছে নির্ঘুম চিন্তায়। নির্বাচন যতই ফ্রন্টে আসিতেছে ততই পুরিস্থিতি ঘোলাটে হইতেছে। জঙ্গীরাও মাথাচাড়া, আদালত হইতে দুই জঙ্গীর পলায়ন শাসন ব্যবস্থার উদাসিনতা। দূর্নীতির লাগাম টানিতে কঠিন হন। দেশের পাচারকৃত অর্থ ফিরাইতে কি কি করনের দরকার হেই উদ্যোগ লইবেন। কূটনীতিরে শক্ত করিয়া সাজাইবেন। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের দিকে নজর দিবেন। নির্বাচনের আগেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাইবেন।
মা’গো দেশের ২তয়ি রাজধানী চাঁটগার দিকে দৃষ্টি রাখিবেন। হেইখানে চোর, ডাকাইত, কিশোর গ্যাং, মাদক কারবারী, ছিনতাইকারী হ¹লই আকামের কামে জোর কদমে আগাইয়া যাইতেছে। তথ্যমুন্ত্রী হাছান জেঠার রাঙ্গুনিয়ায় ভালা করিয়া তথ্য তালাশ লইবেন। দাইনের কাছে গোটা দেশের তথ্য তালাশ থাকিলেও নিজের ঘরেরটা মনে হইতে নাই। এই জেঠার নির্বাচুনী এলাকার পুরিস্থিতিতো বেহাল। খালি মারামারি আর খুনোখুনিতে মামলা লম্বা হইতেছে। হাজতখানা হইতে আসামী পলাইলেও জানিতে পারে তিন দিন পর, কি তাইজ্জব কান্ডরে মা। ছাত্রলীগও বেতালে থাকনের কারনে নেতাগোর মাথা চুলকানী বাড়িয়াছে।
মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপুনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায়ও পড়িয়াছে। এমনিতে মানব সৃষ্ট অত্যাচার,নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
মা’জননীগো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দুর্নীতিমুক্ত নেতা-দেশ গড়নের পিছনে আরো শক্ত হইবেন। জাতিরে কলঙ্কমুক্ত করিতে কঠিন উদ্যোগ লইবেন। যারা অন্ধকারে নিমজ্জিত করিতে চাহে তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপুনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কামে লাগিবে, কথা হইলো আপুনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন, হ¹লরে ভালা রাখিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।
ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা- এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২২জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রীঃ