[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দুই গ্রামের মানুষের সুপেয় পানির অভাব দূর হয়নি আজও

৪৪

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানকছড়ি ॥

পার্বত্য অঞ্চলে সরকারিভাবে সুপেয় পানি সরবরাহের কাজ করে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। দুর্গম পাহাড়ি জনপদের বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে গভীর নলকূপ। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ ওয়াটসন কমিটি কতৃক নির্বাচিত স্থানে এসব গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিবছর মানিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় শতাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলেও সেসুবিধার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন উপজেলাধীন যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দুর্গম জনপদের নগুরামপাড়া ও রামচন্দ্র পাড়ার বাসিন্দারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি জনপদের প্রত্যন্ত এলাকার নগুরামপাড়া ও রামচন্দ্র পাড়ায় প্রায় অর্ধশত পরিবারে প্রায় ২ শতাধিক নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীর বসবাস। দুর্গম হওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌছেনি সেখানে। সেই সাথে আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত তারা। রামচন্দ্রপাড়া এলাকায় ১৮ পরিবারের বসবাস আর নগুরামপড়া এলাকায় ২৯ পরিবারসহ দুই পাড়ায় প্রায় ২শতাধিক মানুষের বসবাস। এতো লোকের বসাবাস এই দুটি পাড়ায়। অথচ সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ২০০০ সালের দিকে নগুরামপাড়া এলাকায় বেসরকারিভাবে স্থাপন করা একটি নলকূপ। সেটা থেকেও আর ঠিকমত পানি উঠে না। পানি ঢেলে দীর্ঘক্ষণ আপ্রাণ চেষ্টার পর একটু একুট পানি উঠালেও বয়স্ক-শিশুদের পক্ষে এত কষ্ট করে পানি উঠানো সম্ভব হয় না। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে কুয়া বা নালার পানিই ব্যবহার করছেন বেশিভাগ মানুষ। ফলে চরম সুপেয় পানির অভাব অনুভব করছেন এলাকাবাসী। সেই সাথে বাড়ছে ডায়রিয়া, কলেরাসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে প্রকোপ!

নগুরামপাড়া প্রধান ধনী কুমার ত্রিপুরা জানান, নির্বাচন এলে প্রার্থীরা নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলে ভোট নিয়ে গেলেও নির্বাচনে বিজয়ের পর আর খবর রাখে না। দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যা সমাধানের কথা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোনো কাজে আসেনি। ফলে কুয়ো আর জমিনের নালা থেকেই এই পাড়ার মানুষ তাদের প্রয়োজনী পানি সরবরাহ করে থাকে।

নগুরামপাড়া এলাকার পাড়াকর্মী ঝিনুক মালা ত্রিপুরা জানান, আমাদের তথ্য মতে দুই পাড়ায় ৪৭ পরিবারে প্রায় ২শতাধিক মানুষের বসবাস। এখানে একটি টিউবওয়েল ২০০০ সালের দিকে স্থাপন করলেও সেটি আর এখন ঠিকঠাক চলে না। পানি অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ চাপার পরে পানি উঠলেও তা পর্যাপ্ত না। সুপেয় পানির এ সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, দুটি পাড়ায় সুপেয় পানির অভার দূরিকরণে একাধিকবার নামের তালিকা জমা দিলেও অজ্ঞাত কারণেই বাদ পড়ে যায়। যার কারণে নগুরামপড়া ও রামচন্দ্র পাড়ায় সুপেয় পানি সমস্যার সমাধান হয়নি। এ সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন ওয়াটসন কমিটির প্রদত্ত তালিকায় দুই পাড়ায় স্থান নির্বাচনের মাধ্যমে গভীর নলকূপ স্থাপনের অনুরোধ জানান তিনি।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মেকানিক এসএম জাসিম উদ্দিন জানান, উপজেলা ও ইউনিয়ন ওয়াটসন কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত এলাকায় বা স্থানেই গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। তারা যদি উক্ত দুইটি পাড়ায় স্থান নির্বাচন করেন তাহলে সেখানে গভীর নলকূল স্থাপন করা হবে। সেই সাথে সেখানে একটি সাপ্লাই পানির ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। আর দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের কথা জানালেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন।