কাপ্তাইয়ে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত পিতা-পুত্র
মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন মা’কে খুঁজে বেড়াচেছ ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া ফারিয়া
॥ কাপ্তাই উপজেলা প্রতিনিধি ॥
অবিস্ফোরিত গ্রেনেড যন্ত্রাংশ বিস্ফোরণে নিহত বাবা,ভাই ও মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন মাকে খুুঁজে বেড়াচেছ বেঁচে যাওয়া ছোট শিশু ফারিয়া।
সোমবার সকাল ১১টায় দূর্ঘটনা এলাকা বাদশা মাঝির টিলায় সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহান ফারিয়া(৮), নিহত বাবা, ছোট ভাই ও মৃত্যুশয্যায় মাকে খুজছে। ফারিয়া স্থানীয় দারুল আরকাম মাদরাসার ২য় শ্রেণীর ছাত্রী। দুর্ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ আগে সে পাশের এক বাড়িতে সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সে প্রাণে গিয়েছে।
উল্লেখ্য,রবিবার পরিত্যক্ত অবস্থায় বন হতে কুড়িয়ে পাওয়া অবিস্ফোরিত পুরাতন কিছু গ্রেনেড যন্রাংশ নিহত ইসমাইল মিয়া বাসায় নিয়ে আসে। এবং সন্ধ্যায় ৬টায় কুড়িয়ে পাওয়া ঐ যন্রাংশ রান্নাঘরের পাশে রেখে চা খাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিল। ইসমাইল ও তার পরিবার। হঠ্যৎ গ্রেনেড যন্রাংশ বস্তুটি বিস্ফারণ ও বিকট শব্দে কম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। এবং বিস্ফোরণে পাশে থাকা ইসমাইলের হাতের কবজি উড়ে যায়। এবং শরীর জ্বলসে যায়।এছাড়া পাশা থাকা তার সাড়ে ৪বছরের শিশু রিফাতের মুখমণ্ডল জ্বলসে গিয়ে ঘটনাস্থলে মারাযায়। এবং নিহত ইসমাইলের স্ত্রী সখিনা বেগম এ বিস্ফোরণে গুরুত্বর ভাবে আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে। উপরোক্ত ঘটনার বিবরণ জানান নিহত ইসমাইলের ছোট বোন পারভিন আক্তার ও বৃদ্ধ বাবা আশাদ উল্লাহ।
ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, বিস্ফোরণে নিহত ইসমাইলের ডান হাতের ক্বজি উড়ে গেছে।এবং পেট জ্বলসে গেছে। ঘটনার পর হতে গত দু’দিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, লোকাল প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিস্ফোরিত যন্রাংশ উদ্বার করে কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়িকে দেয়া হয়েছে। লাশ সুরতহাল শেষে বিকাল ৫টায় বাদশা মাঝির টিলায় পিতা-পুত্রের দাফন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এএসপি সার্কেল রওশন আরা রব জানান কি ভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত চলছে। তদন্ত পর প্রকৃত ঘটনা যানা যাবে। তিনি আরো জানান সৃষ্ঠ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি,আইনি প্রক্রিয়া চলছে।