[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

“মুক্তিযুদ্ধে অবিভক্ত বৃহত্তর জেলা পার্বত্য চট্টগ্রাম- (০২)”

১২১

॥ মোঃ সিরাজুল হক (সিরাজ) ॥

বিশ্বের ইতিহাসে কোন দেশ-ই স্বাধীনতার জন্য এত বৃহৎ ত্যাগ স্বীকার করেনি। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ভিয়েতনাম এবং আলজেরিয়া তাদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বিশাল মূল্য দিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে, তবে-সে আত্মোৎসর্গ বাঙালী জাতির আত্মোৎসর্গের মতো এত বিরাট ও কলঙ্কময় নয়। কারণ পাকবাহিনী এ দেশে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তা ছিল নিরস্ত্র-নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর বিভৎস রূপ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, গ্রেফতার হওয়ার পূর্বেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, এটিই সত্য। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সেই ভয়ানক কালোরাতে বাংলার নিরীহ-নিরস্ত্র অসহায় মানুষের উপর পাক-বাহিনীর আক্রমণ শুরু হলো। নির্বিচারে অসহায় মানুষের বুকে তারা গুলি চালাতে লাগলো, সমগ্র দেশ যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হলো। চারিদিকে ঘখন সম্ভ্রম হারা মা আর বোনদের গগন বিদারী হাহাকার। এ চির সবুজ পার্বত্য চট্টগ্রাম-সহ ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ পুরোটাই যখন এক মগের মল্লুকে পরিনত। আতংক আর আশংকার মাঝে যখন বাংলার নিরীহ সাধারণ মানুষের বসবাস। এ বাংলার মেহনতি কৃষক, শ্রমিক ছাত্র-জনতা যখন স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র তুলে নিল হাতে, তখন পাহাড়ের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীরও কিন্তু বসে থাকেন-নি। তৎকালীন অবিভক্ত বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গামাটি মহকুমায় বয়সের দিক থেকে তিনিই একমাত্র কনিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর পিতার নাম মোঃ খলিলুর রহমান। রাঙ্গামাটি পৌরসভার ০৩ নং ওয়ার্ড রিজার্ভ মুখ এলাকায় তাঁর বাসস্থান।

মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই তিনি রাঙ্গামাটির এক শহীদ বীর মুক্তিমোদ্ধাকে তাঁর যুদ্ধে যাবার সংকল্পের কথা জানালেন। প্রতি উত্তরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তাঁকে শান্তনা দিয়ে বললেন-যুদ্ধ মানে মরণ নিয়ে খেলা, তোমার বয়স কম। দেশ স্বাধীন হলেও যুদ্ধ করতে হয়। বড় হলে সে যুদ্ধে তুমি অংশ নিও। ডান পিঠে এই বীরযোদ্ধা কোনভাবেই দমবার নয়। অবশেষে রাউজানের পরিচিত মুক্তিবাহিনীর সাথে তিনি ভারতে চলে যান। বয়স কম তাই ভারী অস্ত্রের প্রশিক্ষন নেয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। ভারতের এক আর্মি ক্যাম্পে সুবেদার অজিউল্লাহ ও হাবিলদার হাবির এর নেতৃত্বে তিনি হান্ড গ্রেনেডনিক্ষেপ এবং খবরা-খবর সংগ্রহের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষনশেষে চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি আবু মোহাম্মদ হাশেম, তৎকালীন হাই কমান্ডার তোফায়েল হোসেন, সাবেক থানা কমান্ডার কামাল উদ্দীন চৌধুরী-সহ বর্তমান বাংলাদেশ মুক্তিমোদ্ধা সংসদ রাউজান এর নেতৃত্বে দুই শতাধিক মুক্তিসেনার একটি দল বৈষ্ণবপুর বর্ডার অতিক্রম করে দেশে ফিরে আসে।

রাঙ্গামাটির এই কনিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ১১নং সেক্টরের রাউজান থানার আওতাভুক্ত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমান্ডের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। রাউজানের বারুলিয়া সেতু ধ্বংস থেকে শুরু করে, অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশনে কৃতিত্বের সাথে অংশগ্রহণ করে, সফলতা অর্জন করেছিলেন। জীবন বাজী রেখে পাক-বাহিনীর ক্যাম্পের আশে-পাশে ঘুরে-ফিরে, শত্রুবাহিনীর গতিবিধি অবলোকন করতেন এ বীর যোদ্ধা। তারপর ক্যাম্পে এসে মুক্তিবাহিনীকে জানানোর মতো এক কঠিন দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, পাহাড়ের কনিষ্ট এ বীরসেনা। ১৯৭১-এর সেই ভয়ানক সময়ে তাঁরই সংকেত পেলে মুক্তিযোদ্ধারা শত্রু সেনাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তো। এমনিভাবে বিশাল ত্যাগের বিনিময়ে এ বাংলার দামাল ছেলে-মেয়েরা অর্জন করেছে স্বাধীনতার রক্তিমসূর্য সবুজের বুকে লাল-বিজয় নিশান। তারপর ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট সেই ভয়ানক কালো রাতের পর ——–। স্বাধীনতার দুই যুগ যখন পেরিয়ে গেলো, দৈনিক গিরিদর্পণের বিজয় দিবস সংখ্যায় আমাকে লিখতে হলো-অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধা আলমগীরদের করুন আর্তনাদ আর কতদিন….।

শিক্ষা জীবন শেষে সরকারী চাকরীর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর ও সরকারি চাকরী নামক সোনার হরিণটি তাঁর অধরা থেকে যায়। অতঃপর ডানপিঠে এ মুক্তিসেনা আবারও সংকল্প করলেন। এবার স্বাধীনতাযুদ্ধের এক মহান বীর শহীদের ইচ্ছা বাস্তবায়নের সংকল্প। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে, যে বীর সেনানীকে তিনি যুদ্ধে যাবার সংকল্পের কথা জানিয়েছিলেন। আর প্রতি উত্তরে সেই অকুতোভয় বীর সেনা তাঁকে বয়স কম বলে, “যুদ্ধের পরের যুদ্ধে” অংশ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এবার আমাদের কনিষ্ট বীরযোদ্ধা সেই বীর শহীদের পরামর্শ বাস্তবায়নের যুদ্ধে যাবেন। শুরু হলো তাঁর যুদ্ধের পরের যুদ্ধ। শিক্ষার আলোর মশাল হাতে এগিয়ে আসলেন এ বীর সৈনিক। গৃহ শিক্ষকতাকে মনে প্রাণে ভালোবেসে, আমৃত্য তিনি অন্ধকার দুর করার সংগ্রামে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি সত্যিকারের কমান্ডার ছিলেন বলেইতো রাঙ্গামাটির সকলের প্রিয় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর স্যার।

আমাদের বীর মুক্তিসেনাদের মতো তিব্বতি বীরযোদ্ধারাও পার্বত্য চট্টগ্রামে দেশের স্বাধীনতার পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর সমর্থনে মিজো বিদ্রোহী নেতা লাল ডেঙ্গাঁর অনুসারীরা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়। এই মিজো বাহিনীই পার্বত্য চট্টগ্রামে আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অতঃপর মিজো বাহিনীকে প্রতিরোধের জন্য ভারতে তিব্বতি শরণার্থীদের নিয়ে গঠিত স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের আকুতোভয় যোদ্ধাদের পাঠানো হয়। ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের তিন হাজার যোদ্ধাকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তের কাছে নামিয়ে দেয়া হয়। তারপর সীমান্তের অপর পাশে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অংশে তাদের গেরিলা অপারেশন চালানের নির্দেশ দেওয়া হয়। “অপারেশন মউন্টেন ঈগল” নামের অভিযানে অংশ নিয়ে ৫৬ জন তিব্বতি বীরযোদ্ধা শহীদ হন এবং ১৯০ জন যোদ্ধা আহত হন।

অবিভক্ত বৃহত্তর জেলা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ তিন মাস তিব্বতি বীর যোদ্ধারা কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ভারতের অন্যতম গেরিলা যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল সুজন সিং উবান। যিনি এস এস উবান নামে পরিচিত, তিনিই তিব্বতি বীর যোদ্ধাদের প্রশিক্ষন দিয়েছিলেন। খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় তিব্বতি যোদ্ধারা দুটি ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন। তার মধ্যে একটি দীঘিনালার বোয়ালখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আর অপরটি উপজেলার রত্নমোহন মেম্বার পাড়ার প্রেমেন্দ্র বড়ুয়ার বাড়ীতে। প্রেমেন্দ্র বড়ুয়া এখন আর বেঁচে নেই। প্রেমেন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে রূপম বিকাশ বড়ুয়ার দেয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে, তাদের বাড়ীতে ত্রিশ-জন তিব্বতি বীরযোদ্ধাদের একটি দল ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন। এ ক্যাম্পের কমান্ডার ছিলেন হাবিলদার পান্ডে নামক এক তিব্বতি বীরযোদ্ধা।

মুক্তিযুদ্ধের সময় রূপম বিকাশ বড়ুয়া সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের নিরব স্বাক্ষী তাদের বাড়ীর সামনের বটগাছটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে। যে বটগাছের নিচে সার্বক্ষনিক পাহারায় পাঁচজন তিব্বতি বীরসেনা নিয়োজিত থাকতেন। বাড়ীর চারপাশে চারটি পাহারা চৌকি বসানো হয়েছিল। হালিদার পান্ডে একটু একটু বাংলা বলতে পাড়তেন। পান্ডের সাথে রূপমের ভাব জমে উঠেছিল বেশ। দু’জনের মধ্যে অনেক কথা হতো। একদিন গল্পের ফাঁকে পান্ডে বলে উঠলেন, শোন রূপম, আমরা ইন্দীরা গান্ধীর অনুরোধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করতে এসেছি। এ-দেশ যখন স্বাধীন হবে, আমরা আবার চলে যাব। তখন কিন্তু আমাদের ভুলে যেও-না। অথচ আমরা এখন তাঁদের ভুলে যেতে বসেছি। ১৯৭১ সালে রেবা বড়ুয়া বোয়ালখালী সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের ছাত্রী ছিলেন। এখন কিন্তু তিনি সেই বিদ্যালয়েরই শিক্ষক। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিব্বতি বীরযোদ্ধাদের বহু অনন্য গৌরব গাথাঁর নিরব স্বাক্ষী হয়ে আছেন তিনি।

অবিভক্ত বৃহত্তর জেলা পার্বত্য চট্টগ্রামে এক ব্যাটালিয়ন তিব্বতি বীর যোদ্ধা পাকবাহিনী এবং তাদের দোসর মিজো বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এসব প্রতিরোধ যুদ্ধে ৫৬ জন তিব্বতি বীরযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন। তিব্বতি যোদ্ধাদের সঙ্গে দীঘিনালার মধ্যে বোয়ালখালী ও বাঘাইছড়ির মারিশ্যা এলাকায় মিজো বাহিনী এবং পাঞ্জাবিদের যে সম্মুখ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিল, দীঘিনালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার মোঃ হারুনুর রশিদও সে সব যুদ্ধে স্বক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। বাঘাইছড়ির মারিশ্যায় সম্মুখ যুদ্ধে দুই জন তিব্বতি বীরযোদ্ধা ঘটনাস্থলেই শহীদ হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল। দীঘিনালসহ অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের নানা দুর্গম এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে, পাকবাহিনী ও মিজো বাহিনীকে নাকাল করেছিলেন-অকুতোভয় তিব্বতি বীরযোদ্ধারা। এই বীরসেনারা সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে না-পড়লে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় বিজয় অর্জন আরও কঠিন হয়ে পড়তো।

এ পার্বত্য চট্টগ্রাম-সহ সমগ্র দেশ জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের অজশ্র গৌরবগাঁথা। স্বাধীনতা সংগ্রামের হাজারো ইতিহাস আজো আমাদের অজানাই রয়ে গেছে। যেমনী অজানাই থেকে গেছে, তিব্বতি বীরযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধের অনন্য গৌরব গাঁথা। এ প্রজন্মের বেশির ভাগ মানুষই জানে না, “অকুতোভয় তিব্বতিবীরযোদ্ধাদের ইতিহাস”। আমরা মুক্তিযুদ্ধের অ-প্রকাশিত অজানা প্রকৃত সত্য ইতিহাস উৎঘাটন করতে চাই। এই ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে, আমরা হব বাধিত। পরিশেষে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অকুতোভয় তিব্বতি বীরযোদ্ধাদের-সহ সকল বীর সেনানীদের প্রতি রইলো- বিনম্র শ্রদ্ধা। আর তিব্বতি বীর যোদ্ধাদের ইতিহাস ও স্মৃতি রক্ষার আহ্বান জানাই…………

লেখক: মোঃ সিরাজুল হক (সিরাজ)
কবি, কলামিষ্ট ও সাংস্কৃতিক কর্মী