[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ঘটনার পিছনে আরো বহুঘটনা লম্বা রহিয়াছে, সঠিক ঘুঁটা দিলেই হ¹ল বাহির হইয়া যাইবে

১৪৫

ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। আমাগো শেখ হাসিনা জেঠিতো ব্যাটা করোনার টুঁটি চাপিয়াই ধরিয়াছে। এই বজ্জাতের হাড্ডি গোটা পৃথিবীর জেঠা-জেঠির অস্থিমজ্জাও চুষিয়া খাইতেছে। লাখ লাখ জেঠা-জেঠিগোর জীবন সাঙ্গ করিয়া বন্ধন ছিন্ন করিয়াছে। জোট বাধিঁয়াছে ওমিক্রন….বহুতের লগে। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে, কঠোর দমন নাই, নিপীড়ণ, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি আপুত্তি-বিপুত্তি। আমি জেঠাও সর্ব বেকায়দায়। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমজেঠা-জেঠিরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপুনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….

ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর জেঠা-জেঠিগোর ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিলো তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওন যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনে হয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি। পাহাড় পর্বতের মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের বয়ান উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। করোনা-১৯তো কারো কথাই হুনিতে চাহে না। বহু ভাইরাসের মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং এখন হরদম। বেকার এই জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, বায়না ধরে জঙ্গল দেখিবো, পাহাড়-নদী-নালা দেখিবো, আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো, খুবই চিন্তায় আছি… যাউ¹া…

মং জেঠা কহিলো, আমাগো লামার রেংয়েন কারবারী পাড়ায় রাবার কুম্পানীর অত্যাচার চলমানই রহিয়াছে। আদিবাসীগোর জমিজমা দখল করিতে লাগাতার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাইতেছে। গেল রবিবারও রাইতের অন্ধারে হেইখানের ৯বাড়ী হামলা করিয়া ৩টি বাড়ীতে আগুন দিয়া পুড়াইয়াছে লগে গৃহপালিত পশুও লুট করিয়াছে। ম্রো জনগুষ্ঠির জেঠা-জেঠিরা আভিযোগ করিয়াছে বারবার এইসব ঘটনা করিয়া গেলেও লোকাল প্রশাসন নির্বাকই রহিয়াছে। কথা হইলো পাহাড় পর্বত লইয়া এই ষড়যন্ত্র বহুদিনের, তাগো বিরুদ্ধে কঠোর সোচ্চার না হইলে ষড়যন্ত্রের তন্ত্রমন্ত্র চালাইতেই থাকিবে, চিন্তায় আছি…

জিউ জেঠা কহিলো, কাউখালীর তারাবুনিয়ার ইটভাটা হইতে তিন শ্রমিক অপহরণ ঘটনার পর পুলিশ নানান তথ্য তালাশ লইয়া অপহৃত তিন শ্রমিকরে চাঁটগার হাটহাজারী হইতে উদ্ধার করিয়াছে। গেল সোমবার ভোরে চৌধুরহাট এলাকা হইতে উদ্ধার করিতে সক্ষম হয়। পুরিশ লগে অপহৃতরা কহিলো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীগোর একটি দল লাইতে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করিয়া লইয়া যায়। এই ঘটনায় জড়িত ক্যমং, উক্যওয়াইরে আটক করিয়াছে। যা মনে লইতেছে ঘটনার পিছনে আরো ঘটনা লম্বা রহিয়াছে, সঠিক ঘুঁটা দিলেই হ¹ল বাহির হইয়া যাইবে, চিন্তায় আছি…

মূল্য জেঠা কহিলো, বৌদ্ধ ধর্মীয়গুরু ড.এফ দীপংকর মহাথের (ধুতাঙ্গ ভান্তে) পাহাড়ের ধমীয় সফর করিলেই বহুতের মাথা চক্কর মারিয়া ওঠে। সত্যবাদী এই গুরুর ধর্মীয় দেশনা, ধর্ম লালন পালন তথা গত বুদ্ধের নিয়মে চলনের কারনে বহুতের সহ্য হয়না। লোকসমাজে বহুত গুরু ঠকবাজ আর লুকোচুরি দক্ষিনার ব্যাংক ব্যালেন্সের তালে রহিয়াছে। অথচ এই সত্যবাদী বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরে লইয়া বহু ঠকবাজের তালিমালি। ধর্মীয় শান্তিও নষ্ট করিয়া যাইতেছে। কথা হইলো চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনীর অবস্থা। যারা অশান্তি সৃষ্টি করিয়া যাইতেছে তাগোরে দিয়া বহু ষড়যন্ত্রকারী নিজেগোর তল্পীতল্পা পাকাপোক্ত করিতেছে, চিন্তায় আছি…

কবির জেঠা কহিলো, আমাগো কাপ্তাই উপুজিলার নির্বাহী কর্তা মুনতাসির জাহান কনকনে শীতের মইধ্যে রাইতেও কম্বল লইয়া দৌড়াইতেছে। অসহায় জেঠা-জেঠিগোরে একটু উষ্ণ দিতে তাঁগো ঘরের দরজায় কড়া নারিয়া কম্বল পৌছাইতেছে। এই মানবিক কাম লইয়া বহুতে তাইনেরে দোয়া আশীর্বাদ করিতেছে। কথা হইলো যার কাছে মানবতার মন রহিয়াছে সেতো রাইত দিন কাজই চালাইয়া যাইবে। জনগনের ভোট লইয়া যারা আরামসে ঘুমাইতেছে তারাতো খবর রাখিতেছেনা, চিন্তায় আছি…

সোহেল জেঠা কহিলো, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপুজিলার মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারমন মাহমুদা বেগম লাকীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামিয়াছে এলাকার জেঠা-জেঠিরা। নানা আকামের ফিরিসতি লইয়া ঝাড়ু মিছিলও করিয়াছে। গেল শুক্রবার তাগো বর্ধিত সভা শেষ হইলে অসহায় ভুক্তোভোগিরা মাহমুদার বহু দুর্নীতির ফিরিসতি তুলিয়া এই বিক্ষোভ চালাইয়াছে। কথা হইলো যাগোরে কুমিরে গিলিয়াছে তারা ঢেুঁক দেখিলেও ভয় পায়, চিন্তায় আছি…

সেন জেঠা কহিলো আমাগো শহরের হ¹ল ফুটপাত মাছ, লেসফিতা, লুঙ্গি, ফল, শুটকি লগে হরেক রকুমের ব্যবসায়ীগোর দখলেই থাকিতেছে। পৌর জেঠারা চলাফেরাও করিতে পারিতেছেনা। আমাগো লোকাল প্রশাসন আর পৌরসভাও তাগোর বিষয় আশয়ে কোনু রকুমের ব্যবস্থাও লইতেছে না। যেইখানে জেঠা-জেঠিগোর হরদম ব্যস্ততা হেইখানের কয়েক স্থানে ফুটওভার ব্রীজ দেওনেরও দরকার। কথা হইলো উন্নয়নের টেকসই ঠিকসই ঠিক করিতে হইবে খালি প্রকল্প লইয়া টাকাকড়ি ঢালিতে থাকিলে চলিবে না, চিন্তায় আছি…

শান্ত জেঠা কহিলো, বান্দরবানের আলীকদমে চোরাকারবারীগোর লাগাতার চুরির মাল আনাগোনা লইয়া আমাগো বিজিবিও হিমশিম খাইতেছে। গেল ছয়মাসে নানান স্থানে অভিযান তল্লাসী চালাইয়া বহুত চোরাই গরু আটক করিয়াছে। গেল ছয় মাসে প্রায় সাড়ে ছয় কুটি টাকার চোরাই গরু আর তিন কুটি টাকার কাঠ উদ্ধার করিয়াছে, লগে বহুত মামলাও হইয়াছে। কথা হইলো হ¹লে হজাগ থাকিলে চুনোপুটিও জালে আকটাইয়া যাইবে। যাউ¹া আমাগো বিজিবির হ¹ল কর্মকর্তা কর্মচারী চোরাকারবারীগোর বিষয় আশয়ে হজাগ থকানের কারনেই অবৈধ পন্থা বন্ধ হইয়া যাইবে।

আবার আমাগো মাত্তাল লেদু কহিলো আর কত্ত। সারা বছরই জেঠা-জেঠিগোরে চুষিয়াই খাইলি। ক্ষেমতার অধিকারী হইয়া রাজনৈতিক লেজুরভিত্তি চালাইয়া শহর নগরের অসহায় জেঠা-জেঠিরে ভালবাসার পল্টি মারিয়া লাগাতারই ছেঁচড়াইতেছে। জন্ম নিবন্ধন লইয়া বহুতে কহিলো যেই অত্যাচারিত হইতেছি তয় মানবকুলে আর জন্ম লওনের দরকার নাই। ঢের ভালা পাখি হইয়া জন্মিলে গোটা পুত্থিবী ঘুরিলেও, পাসপোর্ট, ভিসা, পুরিচয়পুত্র, জন্ম নিবন্ধুনের দরকার হইবে না। এই কামে, হেই কামে বহুতে ফিরিকশন লাগাইয়া দিয়া চুইংগামের মতন লম্বা করিতেছে, আবার নানান কিছিমের আকাম লইয়াও দৌড়াইতেছে। লেদু কহিলো খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। লুটেরার দল আছমকা গন্ডোগোল আর আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হ¹লই হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইতেছে। তয় কি ভালোভাসা, বহুতেতো বাসাবাড়িও দখল করিতেছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…

ভাইপো-রে পার্বত্য এলাকায় আর কতো রকম-বেরকমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ আমি জেঠাও কখন জেলে ঢুকি এই চিন্তা লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….

ইতি-

পা.স.চি.জে.মি.ব.

৮জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিঃ