[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মানিকছড়িতে শীতের প্রকোপ, ফুটপাতের দোকান গুলোতে নিম্নআয়ের মানুষের ভীর

৪৪

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥

সারাদেশের ন্যায় বেশ কয়েকদিন ধরে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে কুয়াশার পাশাপাশি তীব্র শীতের দেখা মিলেছে। বিকেল হাতে না হতেই যেমন পাহাড়ি জনপদের কুয়াশায় মুখ ঢাকছে আকাঁবাকাঁ মেঠোপথ ও সড়ক। রাতভর টুপটুপ কুয়াশা ঝড়ছেই। সকালের সূর্য উকি দিচ্ছে দিনের মধ্যভাগে। ভোরের কুয়াশা আর দিনভর মেঘলাছন্নই যে জানান দিচ্ছে, এই বুঝি পাহাড়ী জনপদে এই বুঝি তীব্র শীত পড়া শুরু হলো। আর দিনযত যাচ্ছে পাহাড়ে শীতের তীব্রতাও ততো বাড়ছে। গেল দুদিন দুপুরে কিছুটা সূর্যের মূখ দেখা গেলেও বেশির ভাগ সময় কেটেছে মেঘলাচ্ছন্ন কুয়াশায় আর শীতে। যার ফলে বাজারে বড় দোকান গুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের শীতের কাপড় বিক্রি বেড়েছে।

সাপ্তাহিক শনিবার (৭ জানুয়ারি) মানিকছড়ি বাজারের ফুটপাতের দোকান গুলোতে পুরাতন শীতের কাপড়কেই বেছে নিচ্ছে পাহাড়ি প্রত্যন্ত জনপদের অসহায় নিম্নআয়ের মানুষেরা। বাজারের একাধিকস্থানে পুরোনো কাপড়ের পসরা সাঁজিয়ে বসেছে দোকানীরা। এসব দোকানীদের পুরো বছর দেখা না মিললেও শীতের আগমীবার্তা নিয়ে আসার পাশাপাশি শীতের শেষ পর্যন্ত দেখা মিলে তাদের। বছরের বেশিরভাগ সময় তারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা বাজারের ফুটপাতে কিংবা বন্ধ দোকানের সামনে পুরাতন কাপড় বিক্রি করে তাদের সংসার চালান। আর এসব ফুটপাতের পুরোনো কাপড় বিক্রেতাদের কদর সবচেষে বেশি অসহায় ও নিম্বআয়ের মানুষের কাছে। কেননা অর্থ সংকটের কারণে বাজারের বড় বড় দোকান থেকে তাদের চাহিদা মোতাবেক কাপড় কিনতে না পাড়ায় তারা ভীর জমান ফুটপাতের পুরোনো শীতের গরম কাপড় বিক্রির দোকান গুলোতে।

সাপ্তাহিক শনিবার মানিকছড়ি বাজারের ফুটপাত থেকে কাপড় কিনছিলেন দুর্গম লক্ষীছড়ি উপজেলা থেকে আগত মনিকা চাকমার সাথে। তিনি জানান, লক্ষীছড়ি ও মানিকছড়ি বাজারের বড় বড় দোকানে কাপড়ের দাম বেশি। তাই কিনতে পারছি না। কিন্তু বর্তমানে শীতও পড়ছে অনেক, তাই বাধ্য হয়ে এখান থেকেই শীতের কাপড় কিনছি।

আরেক ক্রেতা মনু মিয়ার বলেন, পুরোনো শীতের কাপড় দিয়ে ভেবেছিলাম এবারের শীতটা কাটিয়ে দিব কিন্তু যে হারে শীত পড়ছে তাতে আর শীতের গরম কাপড় না কিনে পারলাম না। বড় দোকেন বেশি দাম তাই ফুটপাতের দোকানেই ভরসা করছি।

দিন মজুর আলী মিয়া হতাশা প্রকাশ করে জানালেন, বড় দোকা গুলোতে যে দাম তাতে আমাদের মত গরিবে শীতের কাপড় কিনা সম্ভব না। তাই বাচ্চাদের জন্য বাজারের ফুটপাতে বসা মৌসুমী দোকানীর কাছ থেকে শীতের গরম কাপড় কিনলাম। তাদের মত ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা আছে বলে আমাদের মত গরিবরা শীত নিবারণের কাপড় কিনতে পারছেন।

আরের ক্রেতা বেলাল হোসেন জানান, পুরাতন কাপড় বিক্রি করা দোকনেও অনেক ভালো ও দামী কাপড় কিনতে পাওয়া যায়। তাই এসব ফুটপাতের দোকানে নিম্বআয়ের মানুষের ভীর বেশি থাকে।

শীতের কাপড় বিক্রেতা হাবিব জানান, শীতের শুরু থেকে পুরোনো গরম কাপড় শহর থেকে কিনে এনে বিক্রি করি। আর এসব কাপড় কিনতে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ভীড় জমান। তবে বেশিরভাগ মানুষ অসহায় ও নিম্নআয়ের পাহাড়ি প্রত্যন্তঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের এসব ফুটপাতের দোকান থেকে শীতের গরম কাপর কিনে তার স্বস্তিপান। কেননা বড় বড় দোকান গুলোতে শীতের কাপড়ের দামও বেশি, তাই সেগুলো তাদের নাগালের বাইরে।

এছাড়াও মানিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হাটের দিন অধিকাংশ বাজারেই বসছে পুরাতন কাপড় বিক্রির দোকান। আগ্রহ নিয়ে সেসব দোকান থেকে পুরোনো শীতের কাপড় কিনতে দেখা গেছে প্রত্যন্তঞ্চলের নিম্নআয়ের অসংখ্য মানুষকে।