খাগড়াছড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশে বই উৎসব
॥ খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১জানুয়ারী ) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ঠাকুরছড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বই বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরার সভাপতিত্বে পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) টিটন খীসা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যান মিত্র বড়ুয়া, পাজেপ সদস্য ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আহবায়ক নিলোৎপল খীসা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাহাব উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
বছরের প্রথম দিনে নতুন পাঠ্যপুস্তক পেয়ে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোন পাঠ্যপুস্তক পায়নি। একই অবস্থা মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও।
খাগড়াছড়িতে বছরের প্রথম দিনে প্রায় ৩৯হাজার পাহাড়ি আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাঝে মাতৃভাষায় রচিত নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। গত রবিবার (১জানুয়ারী) জেলায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকমা ভাষায় ৩৮হাজার ৬৮জন, মারমা ভাষায় রচিত ২২হাজার ৫শ ৩৫টি বই ও ত্রিপুরা ভাষায় রচিত ২৬হাজার ৩শ ৯৮টি বই বিতরণ করা হয়। প্রথম থেকে তৃতীয শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষায় রচিত বই দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রাক-প্রাথমিকে ২০হাজার ১শ ৪৬টি বই বিতরণ করা হয়।
এদিকে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে বই বিতরণ উৎসবে খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন। অন্যদিকে খাগড়াছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান।
পানখাইয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুনুপ্রু মারমা বলেন, শ্রেণিগত বই পাওয়া যায়নি, গবে আমরা মাতৃভাষার বইগুলো পেয়েছি। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির বই পাওয়া গেছে। আমাদের হাতে যা আছে, তাই সব শিক্ষার্থীর হাতে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন জানান, খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক পর্যায়ে ১লক্ষ ১৩হাজার ২শ ৩২জন শিক্ষার্থীর জন্য ৪লক্ষ ৫৭হাজার ৬শ ৯২টি পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা বিপরীতে মিলেছে ১লক্ষ ৭৪হাজার ৬শ ৫৯টি। যা মোট চাহিদার ৩৮শতাংশ। তবে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য শতভাগ পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ পাওয়া গেছে। মাধ্যমিকে পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা সাড়ে ৯লক্ষ হলেও দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ছাড়া অন্য মাধ্যমের পুরেপুরি বই পাওয়া যায়নি।