বিলাইছড়িতে কৃতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সংবর্ধনা জানাল বিলাইছড়ি জোন
॥ পুষ্প মোহন চাকমা,বিলাইছড়ি ॥
রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সকল প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী এবং বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের সংবর্ধনা জানালেন ৩২ বীর, বিলাইছড়ি সেনা জোন। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দীঘলছড়ি স্টেডিয়ামে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিলাইছড়ি সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ আহসান হাবিব রাজীব, পিপিএম, পিএসসি।
অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সকল কৃতিশিক্ষার্থীর অভিভাবকবৃন্দ এবং নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে কৃতিত্বের সাথে সফলতা অর্জনকারী ২৬০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রদান এবং ৫২ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব বীরোত্তম তঞ্চঙ্গা উপজেলার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করার জন্য বিলাইছড়ি জোনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরণে এই মহতী উদ্যোগ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।
প্রধান অতিথি, জোন কমান্ডার, বিলাইছড়ি জোন সকল শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের সাথে ভালো ফলাফল অর্জন করায় অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন “শিক্ষাই উন্নয়নের একমাত্র মাধ্যম। প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে আত্মমুক্তি ও দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে প্রতিটি শিক্ষার্থীদেরকে অধ্যবসায় এর মাধ্যমে শিক্ষিত হয়ে মানব সম্পদে পরিনত হতে হবে”।
দূর্গম জনপদে নানা সীমাবদ্ধতায় থাকা শিক্ষার্থীদেরকে দেশের আদর্শ সন্তান হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষে বিলাইছড়ি জোন ধারাবাহিকভাবে তাদের পাশে থেকে বিভিন্ন সময়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়মূলক কাজের পাশে দাড়িয়েছে।
সর্বোপরি তিনি শিক্ষার প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং তারই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন এবং এই অগ্রযাত্রায় সেনাবাহিনীর সকল প্রকার সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকগণ এই উদ্যোগকে পরবর্তী প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ‘অনুকরণীয় আদর্শ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে যারা এই স্মারক গ্রহণ করতে পারেনি তারা আগামী শিক্ষাবর্ষে যথেষ্ট প্রতিযোগীতামূলক মনোভাবে এবং দেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যেতে পারবে। সংবর্ধনা শেষে মধ্যান্য ভোজের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।