নানিয়ারচরে নির্মিত হতে যাচ্ছে ৩০৬ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বুদ্ধমূর্তি
॥ তুফান চাকমা, নানিয়ারচর ॥
নানিয়ারচরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র তীর্থভূমি রত্নাংকুর বন বিহারে দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ ৩০৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ত্রিলোক শ্রেষ্ঠ মহাকারুণিক তথাগত সম্যক সম্মুদ্বের প্রতিমূর্তি নির্মাণ কাজ এর শুভ উদ্ভোদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নানিয়ারচর রত্নাংকুর বন বিহারে ৩০৬ফুট উচ্চতার এই বুদ্ধমূর্তি নির্মাণকল্প শুভ উদ্ভোদন করেন, রত্নাংকুর বন বিহার অধ্যক্ষ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির।
এ উপলক্ষে বুদ্ধের স্মরণে ধর্মীয় সভার আয়োজন করে রত্নাংকুর বন বিহার পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। এসময় পঞ্চশীল প্রার্থনা সহ বুদ্ধ মূর্তি দান, সঙ্ঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান সহ নানাবিধ দানের আয়োজন করা হয়।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঙ্ঘ প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফুরমোন আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ভৃগু মহাস্থবির, খাগড়াছড়ি ধর্মপুর বন বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদ্দশী মহাস্থবির, নানিয়ারচর রত্নাংকুর বন বিহার অধ্যক্ষ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির, খাগড়াছড়ি পাড়াবন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ব্রক্ষ্মদত্ত মহাস্থবির ও রাজবন বিহারের সিনিয়র ভিক্ষু জ্ঞান প্রিয় মহাস্থবির।
এসময় প্রধান পূণ্যার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সহধর্মীনী রিপা চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা, নানিয়ারচর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাপ্পি চাকমা, বুড়িঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কল্পনা চাকমা, রত্নাংকুর বন বিহার সভাপতি কমল কান্তি দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক প্রভাত কুসুম চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক উষা কিরণ চাকমাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পূণ্যার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিহার সূত্রে জানা যায়, দেশের সব চেয়ে বড় এই বৌদ্ধমূর্তি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক ৪শত কোটি টাকা। নির্মাণ কাজে ইঞ্জিনিয়ার থাকবে থাইল্যান্ড ও বার্মা থেকে। মূর্তিটি নির্মাণ কল্পে নানা শ্রেণির মানুষ আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করে চলেছে। ধারণা করা হচ্ছে মূর্তিটি নির্মাণ সমাপ্তি হতে ১০/১৫ বছর সময় লাগবে। সরকারের পক্ষ থেকে মূর্তিটি নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে বিহার সুত্রে জানা যায়।
অনুষ্টানে আসা পূণ্যার্থী সুমতি লাল চাকমা বলেন, বৌদ্ধ মূর্তিটি নির্মাণে যারা কায়িক-বাসনিক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে তারা জন্মজন্মান্তরে সুফল ভোগ করবে। এ দানের পূন্যের ফলে সকলের সৎগতি উদয় হবে। নির্মাণ শেষ হলে বৌদ্ধ মূর্তিটি দেখতে দূর দুরান্ত থেকে অনেক পূণ্যার্থীর সমাগম হবে।