[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে বিরল প্রজাতির গুইসাপ উদ্ধার

১৬৬

॥ তুফান চাকমা, নানিয়ারচর ॥

রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর থেকে বিরল প্রজাতির এক গুইসাপ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে একটি গুইসাপ নানিয়ারচর বাজার এলাকায় পাহাড়িদের হাতে ধরা পড়ে। গুইসাপটি দেখতে তামাটে লালচে বর্ণের। যার ওজন প্রায় ২ কেজি। এ ধরনের গুইসাপ সচরাচর এই এলাকায় এখন আর দেখা যায় না। সাধারণত এই গুইসাপ গুলো বনে জঙ্গলে দেখা মেলে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা গুইসাপটি উদ্ধারের জন্য লোক পাঠিয়ে গুইসাপটিকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরে সেটি একটি বাক্সে বন্দি করে বনবিভাগ কর্মকর্তার হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, প্রাণীর প্রতি মায়ার কারণে আমরা গুইসাপটিকে মারতে না দিয়ে সেটিকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেছি। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজামাল হাওলাদার বলেন, গুইসাপ মানুষ এবং পরিবেশবান্ধব একটি প্রাণী। ময়লা নোংরা, বিষাক্ত পোকামাকড় এবং ইঁদুর ও বিষাক্ত সাপ খেয়ে এরা বেঁচে থাকে। এতে মানুষ অনেকটা নিরাপদে বসবাস করতে পারে। গুইসাপ মিঠা এবং লবণ পানিতে বসবাসের উপযোগী একটি উপকূলীয় প্রাণী। তবে এটি বর্তমানে অনেকটা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, না বুঝে এটিকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। আবার গুইসাপ মেরে টাকার লোভে চামড়া বিক্রি করা এবং অনেক সম্প্রদায়ের লোকজন এটির মাংস খাওয়ার ফলেও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অর্জুন দেব নাথ বলেন, গুইসাপ পরিবেশবান্ধব ও মানুষের জন্য অনেক উপকারী একটি প্রাণী। একে আমাদের বাঁচিয়ে রাখা দরকার।