মহান বিজয় দিবসে পরিবারের আক্ষেপ
স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মংপ্রুসাইন বাহাদুর’র রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি
॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
মানিকছড়ি উপজেলাধীন মং রাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা মংপ্রুসাইন বাহাদুর মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পরিচিতি সভা ও শিশু কিশোরদের নিয়ে কবিতা আবৃতি, গান, নাচ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে মং রাজ বাড়ির প্রাঙ্গণে মং রাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা মংপ্রুসাইন বাহাদুর মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কুমার সুইচিংপ্রুর উক্ত অনিষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এ সময় ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান কুমার সুইচিংপ্রু উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রয়াত মং রাজা বীর মুক্তিযোদ্ধা মংপ্রু সাইন বাহাদুর’র স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমার নানা মংরাজা মংপ্রুসাইন বাহাদুর ১৯৭১ সালে দেশের ক্রান্তিলগ্নে সরাসরি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও তিনি তার রাজ প্রাসাদে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সেই সাথে নিজের ব্যবহৃত গাড়ি, অস্ত্র ও নগদ অর্থ সহায়তার পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিয়ে মুক্তিবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিলেন।
অত্যান্ত আক্ষেপ করে এ সময় তিনি আরো বলেন, দুঃখের বিষয় হলো স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও এই প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার এখনো কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি। ইতোমধ্যে একাধিকবার উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে নানার তথ্য প্রদান করা হয়েছে। আশা করি অতি শীঘ্রই সরকার বিষয়টির প্রতি আন্তরিক হয়ে নানা মংপ্রুসাইন বাহাদুরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মংরাজা মংপ্রসাইন বাহাদুরের আত্মাকে শান্তি দিবেন।’
এ সময় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মংহ্লা মারমা, দৌলত আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সদস্য ডালিয়া রায়, বাদল বরণ সেন, শিক্ষক রুখ চৌধুরী ও আব্রে মারমা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সবাইকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কেটে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের পরিচিতির ব্যাপকতা ও ভবিষ্যৎ জনকল্যাণকর কর্মপরিকল্পনা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও শিশুদের নিয়ে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কুমার সুইচিংপ্রু ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।