[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপনরাঙ্গামাটির রাজস্থলীস্থ কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার নিরাপত্তায় দেওয়াল নির্মানের দাবিকাপ্তাইয়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ সম্পন্ন ও পুরস্কার বিতরণবরকলে গৃহহীন পরিবারের পাশে আইমাছড়া ইউপি চেয়ারম্যানবান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, নিম্নাঞ্চলের মানুষের জনজীবন দুর্ভোগেবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির জব্দ গরু ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা সংঘর্ষে আহত ৪বান্দরবানের থানচিতে পাহাড় ধসে গুরুতর আহত ১রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায় বন্যহাতির তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বসতবাড়িকাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে এক হাজার পরিবারদীঘিনালায় আশ্রয় কেন্দ্রে বিএনপি’র ত্রান সহায়তা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

অবশেষে হত্যার রহস্য উন্মোচন করলো পুলিশ

খাগড়াছড়িতে ছোট ভাইয়ের হাতেই প্রবাসী বড় ভাই খুন

১,১৪২

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥

গত ১০ ডিসেম্বর শনিবার রাত ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলাধীন যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের অন্তর্গত সেমুতাং গ্যাসফিল্ড এলাকার নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (২৪) নামের এক প্রবাসীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মেচন করলো পুলিশ। এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে পুলিশের হেফাজতে থাকা তারই ছোটভাই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (১৯)। মঙ্গলবার (১৩ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মেচনের ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক।

এ সময় তিনি জানান, গলাকেটে হত্যার ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে জন্য পুলিশের একটি কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। পরে ঘটনা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা গঠিত কমিটির কাছে তিনি স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা, হাতুড়ি এবং রক্তমাখা কাপড় আসামীর দেখানো ও সনাক্তমতে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ডের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিহত সাজ্জাদ বিদেশ থেকে দেশে আসার পর তার ছোটভাই মোস্তাফিজুর রহমান (আসামী) চট্টগ্রাম ইসলামী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায়। নিহত সাজ্জাদ তাকে ভর্তি হওয়ার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তখন নিহত সাজ্জাদের পাশে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আসামীকে (নিহতের ছোটভাই মোস্তাফিজুর রহমান) আঘাত করার কথা বলে হাতুড়ি নিচে রেখে দেয়। যার ফলে আসামীর (মোস্তাফিজুর রহমান) এর মনে তার বড়ভাইয়ের প্রতি ক্ষোভ ও প্রতিহিংসা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নিহত সাজ্জাদ মোবাইলে কথা বলতে শুরু করলে আসামী ছোট ভাই পিছন থেকে আক্রমণ করে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন।

পরবর্তি আইনী কার্যক্রম পক্রিয়াধীণ আছে বলে জানিয়েছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শংকর মজুমদার।