[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লংগদুতে আগুনে বসত ঘর ও গৃহপালিত পশু পুড়ে ছাই

১৪৩

॥ মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু ॥

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার সোনাই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বসত বাড়ি ও গৃহপালিত পশু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৮.৩০ টার সময় বিদ্যুৎ এর শর্টসার্কিট থেকে ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলম লংগদু উপজেলার মাইনী ইউনিয়নের ৫নং সোনাই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয় যুবক সাইফুল ইসলাম ছুটে এসে দুটি গরু আর কিছু আসবাবপত্র বের করতে সক্ষম হয়। সাইফুল বলে, আমি এসে দেখি পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, পরবর্তীতে চিৎকার চেচামেচি শুনে এলাকার লোকজন সবাই এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল উদ্দীন, এস.আই শাহাবুর, এস.আই এনামুল সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ করে। একটু পরেই লংগদু জোন থেকে মেজর রিয়াজ আহমের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করে।কিন্তু আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে যাওয়ায় ঘর সহ কোন কিছু বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

জাহাঙ্গীরের আলমের স্ত্রী নুর নাহার বেগম বলেন, সন্ধ্যার পরে আমি আমার ছোট সন্তানকে নিয়ে পাশের বাড়িতে অবস্থান করছিলাম, হঠাৎ আমার ছেলে এসে চিৎকার করে বলছে মা আমাদের ঘরে আগুন লেগেছে, এটা শুনে সবাই দৌড়ে আসি। এর আগে ঘরের দিকে একটি বিকট শব্দ হয়, মনে হচ্ছে বিদ্যুৎ এর মিটার থেকে অগ্নিকাণ্ড হয়। ঐ সময় আমার বাড়িতে কেউ ছিলোনা।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যখন ঘরে আগুন লাগে তখন আমি বাজারে, খবর পেয়ে দৌড়ে আসি। কিন্তু ততক্ষণে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। আগুন কিভাবে লেগেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ একবার চলে গেছে,যখন আবার আসছে তখনি আমার ঘরে বিকট শব্দ হয়, আর সাথে সাথে ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন যেখান থেকে লেগেছে সেখানে আমাদের বিদ্যুৎ এর মিটার লাগানো ছিলো। ধারণা করা যাচ্ছে মিটার ব্লাষ্ট হয়েই অগ্নিকাণ্ড হয়। তিনি জানান, এঘটনায় নগদ ও আসবাবপত্র সহ তার প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় দুটি গরু ও দুটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

এলাকার সাধারণ জনগনের মুখে একটি দাবী ছিলো লংগদুতে যে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করা হচ্ছে তা যেনো খুব শীঘ্রই চালু করা হয়।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল উদ্দীন বলেন, আজকের ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে এসব বিদ্যুৎ, আগুন ইত্যাদি বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।