[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে তিন উপজেলায় ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা বাড়ল ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

১১২

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা আবারও নতুন করে বান্দরবানে তিন উপজেলা থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়িতে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এর আগে অষ্টম দফায় শুধু রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও এবার নবম দফায় থানচি উপজেলাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসে। এই তিনটি উপজেলায় দেশি-বিদেশি কোনো পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন না বলে শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন সদর দপ্তরের ১ ডিসেম্বরের চিঠির ভিত্তিতে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
জানা যায়, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় গত ৯ অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলমান। ২৩ অক্টোবর থানচি ও আলীকদমকে অভিযানের আওতায় নেওয়া হয়েছিল। অভিযান চলাকালে নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ১৭ অক্টোবর থেকে পর্যটক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে ২৩ অক্টোবর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থানচি উপজেলা থেকে ১৬ নভেম্বর প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর আলীকদম থেকে তা প্রত্যাহার ১২ নভেম্বর। আরো জানা গেছে, জনস্বার্থে ও নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে এর আগে ২৭ নভেম্বর অষ্টম দফায় জারি করা নিষেধাজ্ঞা আগামীকাল রোববার শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এ নিষেধাজ্ঞা জারি কবে নাগাদ খোলা হবে তা জানা যায়নি।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে বলেছেন, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের গোপন আস্তানায় সমতলের জঙ্গিগোষ্ঠীর অবস্থান ও প্রশিক্ষণের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলমান। এবারে থানচিকেও আবার অভিযানের আওতায় আনা হয়েছে। সূত্রে আরো বলেছেন, জঙ্গিবিরোধী এ অভিযানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া ও কেএনএফের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের একটি অংশের সদস্যরা এখনো দুর্গম এলাকায় অবস্থান রয়েছে। জঙ্গিদের অবস্থান নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ অভিযান চলাকালে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ভ্রমণের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।