[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মানিকছড়িতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তারা

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই হালদা নদীকে বাঁচানো সম্ভব

১৫০

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥

হালদা খালের উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলাধীন বেশ কিছু এলাকায় পুনরায় তামাক চাষাবাদ শুরু হওয়ায় ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবাধে বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে আইডিএফ।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন’র সহযোগিতায় মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আইডিএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রফেসর শহীদুল আমিন চৌধররী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও হালদা রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল কিবরিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসিনুর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার সরকার, আইডিএফ চট্টগ্রাম জোনাল ম্যানেজার মোঃ শাহ আলম, খাগড়াছড়ি জেলার জোনাল ম্যানেজার মোঃ শাহজাহান। এছাড়াও সভায় ইউপি সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন মজনু, যোগ্যাছোলা ইউপি সচিব অপু দে, প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, সাংবাদিক মিন্টু মারমা, মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ রবিউল হোসেন প্রমূখ।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে আইডিএফ’র চট্টগ্রাম যোনাল ম্যানেজার মোঃ শাহ আলম বলেন, ২০১৬ সাল থেকে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ‘হালদা নদীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও হালদা উৎসের পোনার বাজার সম্প্রসারণ’-শীর্ষক ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আইডিএফ’র অর্থায়নে কাজ করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন। বর্তমানে মানব সৃষ্ঠ নানা কারণে হালদী নদী আজ হুমকীর মুখে। তাই জাতিয় এই মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রকে রক্ষা করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ আহবান জানান।

হলদা খালের গুরুত্ব, সমস্যা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তুলে ধরে ডকুমেন্টারী উপস্থাপন করেন, হালদা রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া। তিনি বলেন, দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে ইতোমধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ’ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা দিনদিন হুমকির মুখে পড়ছে মানব সৃষ্ট কারণে। হালদা পাড়ে অবাধে তামাকের চাষাবাদের ফলে যেমনি ভাবে হালদার পানি দূষিত হচ্ছে। অন্যদিকে প্রভাবশালী অবেধ বালু উত্তোলনকারীরা হালদার উজান মানিকছড়ি অংশ থেকে শুধু বালু বিক্রি করইে খাচ্ছে না, হালদা নদী বিক্রি করে খাচ্ছে। আইডিএফ’র ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ২০২০ সালের দিকে হালদার উজান মানিকছড়ি অংশে তামাক চাষ শূণ্যের কোটায় মেনে এসেছিল। যা পুনরায় বৃহৎ আকারে চাষাবাদের জন্য উৎসাহিত করে যাচ্ছে টোবাকো কোম্পানী গুলো। ফলে স্থানীয় চাষিরা তামাক চাষে ঝুঁকছেন! খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান না করতে পারলে হালদাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। তাই হালদাকে বাঁচাতে এক সাথে সকলকে কাজ করার আহব্বান জানান তিনি। এছাড়াও স্থানীয় চাষী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই হালদাকে বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করেন অতিথিরা।