[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড় কাটার কারনে জীবন ও প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে

১১৭

প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানব সমাজের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় পর্বতগুলো যেমন নিজের মতো করে দন্ডায়মান তেমনি বনবনানীগুলোরও একই অবস্থান। কিন্তু পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট এসব সম্পদগুলো রক্ষায় প্রশাসনসহ দেশের পরিবেশবিদরা যদি এগিয়ে না আসে প্রশাসনের আইনগুলো যদি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা না হয় তাহলে প্রকৃতি যখন তাঁর বিপদগামীর বর্তা শুরু করবে তখন চরম ক্ষতি হয়ে যাবে মানবসমাজের। কেননা নিজের অজান্তে, একক স্বার্থে মানুষ পাহাড় পর্বত কেটে, বনবনানী কেটে উজার করে প্রকৃতি এবং তার নির্ভর পরিবেশকে চরমপর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে বিপদ বাড়তেই থাকবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশাসনের জানা অজানার মধ্যে যে ভাবে পাহাড় পর্বত বনবনানী কেটে ধ্বংস করা হচ্ছে তাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ প্রাকৃতিক পরিবেশ চরম আকার ধারণ করবে। জানা গেছে গত এক দশকে শুধুমাত্র খাগড়াছড়িতেই শতাধিক পাহাড় পর্বত কেটে সমতল ভুমিতে পরিণত করা হয়েছে। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয় এবং কোন কোন সময় অর্থদন্ড দেয়া হয় কিন্তু সম্পূর্ন বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যার কারনে ভুমিদস্যু বা প্রভাবশালী মহল তাদের ইচ্ছেমত করেই পাহাড় পর্বতগুলো কেটেই যাচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় গত এক দশকে বনবনানীসহ শতাধিক পাহাড় কেটে সমতলে পরিণত করা হয়েছে। আইন থাকলেও প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাবে প্রভাবশালীরাই এসব পাহাড় কেটে সমতলে রূপান্তর করেছে।

এখনও অব্যাহত রয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালীদের পাহাড় কাটা। এর ফলে পরিবেশ যেমন বিপর্যস্ত হচ্ছে, তেমনি কমছে জঙ্গল, পশু-পাখি হারাচ্ছে আবাসস্থল। পরিবেশকর্মীরা বারবার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এনে পাহাড় কাটা বন্ধের আহ্বান জানালেও এ বিষয়ে নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি কম বলে তারা দাবি করছেন। মাঝে মাঝে দু’একবার অভিযান চালিয়ে, দু’চারজনকে জেল-জরিমানা করেই নিজেদের কাজ শেষ করছে। তবে পরিবেশকর্মীদের আশঙ্কা, এভাবে পাহাড় কাটা চলমান থাকলে আরও হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ পরিস্থিতি। পরিেিবশের ভারসাম্য এবং বনবনানী রক্ষায় প্রশাসনকে আইনীভাবে আরো শক্ত অবস্থানে যেতে হবে বলে তারা মনে করনে। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ হতে অভিযান চালিয়ে, মোবাইল কোট বসিয়ে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পরিবশে সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী দাবি করেছেন, খাগড়াছড়িতে পাহাড় বাঁচানোর জন্য তারা দীর্ঘ সময় ধরেই আন্দোলন করে আসছেন। সেখানে সাড়ে ১৩শ’ গ্রামের মধ্যে প্রায় হাজার খানেক গ্রামেই রয়েছে পাহাড় অথচ লোকজন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসত ঘর করেছে পাহাড় কেটে সমান করে। জেলায় প্রায় ৫০টি ব্রিক ফিল্ডের সব কটিতেই পাহাড় কাটা মাটি ইট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। প্রশাসন সহ পরিবেশ অধিদফতরের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন বলে তাদেরও দাবি। এছাড়াও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট ল ইয়ারস অ্যাসোসিয়েশন (বেলা) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য মুহাম্মদ আবু দাউদ দাবি করেছেন পাহাড় কাটার কারনে তাদের নর্ভির প্রানীর জীবন সেই সাথে প্রাকৃতক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে, পরিবেশ, প্রাণিকুল নষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে পাহাড় রক্ষা করতেই হবে। এজন্য দরকার প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ।