[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটিতে জেলা পরিষদ পরিদর্শনে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দেশের দাতা সংস্থা

৮৯

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটিতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর এর সাথে এক সৌজন্যে সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধিগণ মিলিত হন । মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল রাঙ্গামাটি সফরে আসলে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিদর্শন করেন এবং পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

এসময় প্রতিনিধি দল সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন তার মধ্যে এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বুঝতে চান। পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠিত পরিষদগুলো এখানে কিভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করে এবং এখানকার মানুষ কিভাবে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করছে সম্পর্কে তারা জানতে চান।

পরিষদ চেয়ারম্যান পরিদর্শনে আসা দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শান্তি চুক্তির পর সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বান্তবায়ন করে যাচ্ছে তার মধ্যে স্বাস্থ্য,শিক্ষা,রাস্তাঘাট,কৃষি,বনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন সহ এলাকার পিছে পড়া জনগোষ্টির জন্য জেলা পরিষদও কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত পরিষদ ব্যবস্থা, হস্তান্তরিত বিভাগ, জেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড সমন্বয়, এনজিও সমন্বয় এবং পরিষদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন এবং শান্তি চুক্তির পর ইউএনডিপির মাধ্যমে বিদেশী দাতাদের সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন জেলার প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল জাতীয়করণ, ম্যালেরিয়া নির্মূলকরণ এবং কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য আত্বসামাজিক উন্নয়নসহ নারীশিক্ষা উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দাতা সংস্থাদের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বনায়ন, এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করলে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শক্তি শালীকরণের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে সচেতন এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করা সম্ভব হবে ।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের অংশ হিসাবে চুক্তি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, ভারত প্রত্যাগত এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে টাস্কফোর্স এবং ভূমি সমস্যা সমাধানে ভূমি কমিশন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামের দারিদ্রতা বিমোচন এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দাতা সংস্থাগুলো এগিয়ে আসবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেপান লিলার, ক্রিস্টিন ব্লকহাস ইউএনএফপিএ, এফএও কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট সিমসন, মিঃ শোল্ডেন ইয়েট, এইচ ই মিঃ চার্লস হোয়াইটলি হেড অফ ইইউ প্রতিনিধি, এইচ ই মিঃ রবার্ট চ্যাটারন ডিকসন, ইউকে হাই কমিশনার, এইচ ই এসপেন রিক্টর সেভেন্ডসেন, মিঃ গাইওয়ান লিউইস, কো-অর্ডিনেটর ইউনিসেফ। এছাড়া পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া,ঝর্না খীসা, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মোঃ শিবলী নোমান উপস্থিত ছিলেন।