ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা, আমজেঠা-জেঠিরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপুনে অন্তত ভালা থাকিবেন
ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। আমাগো শেখ হাসিনা জেঠিতো ব্যাটা করোনার টুঁটি চাপিয়াই ধরিয়াছে। এই বজ্জাতের হাড্ডি গোটা পৃথিবীর জেঠা-জেঠির অস্থিমজ্জাও চুষিয়া খাইতেছে। লাখ লাখ জেঠা-জেঠিগোর জীবন সাঙ্গ করিয়া বন্ধন ছিন্ন করিয়াছে। জোট বাধিঁয়াছে ওমিক্রন। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে, কঠোর দমন নাই, নিপীড়ণ, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি আপুত্তি-বিপুত্তি। আমি জেঠাও সর্ব বেকায়দায়। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমজেঠা-জেঠিরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপুনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….
ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর জেঠা-জেঠিগোর ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিলো তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওন যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনে হয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি। পাহাড় পর্বতের মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের বয়ান উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। করোনা-১৯তো কারো কথাই হুনিতে চাহে না। বহু ভাইরাসের মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং এখন হরদম। বেকার এই জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, বায়না ধরে জঙ্গল দেখিবো, পাহাড়-নদী-নালা দেখিবো, আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো, খুবই চিন্তায় আছি… যাউ¹া…
দহ জেঠা কহিলো, আমাগো প্রধানমুন্ত্রী হাসিনা জেঠিতো খাগড়াছুড়ি জেলায় ৪২টি সেতু উদ্বোধন করিয়াছেন। তাইনের এই উন্নয়নে হেই পাহাড়ের হ¹লই খুশি। হাসিনা জেঠি কহিলো পাহাড় উন্নয়নে আমামীলীগের আগে কেহই ভাবেও নাই। শান্তি আর উন্নয়নে তাইনের সরকার পাহাড়ের জেঠা-জেঠিগোর লগেই থাকিবেন। কথা হইলো আসাগো প্রধামুন্ত্রী পাহাড় উন্নয়নে একাট্টা হইলেও ষড়যন্ত্রকারীগোর নানান বাবাতের চক্রান্ততো চুইগামের মতন চলিতেছে। লগে নানান দল বলের লোহালংকড়ের জনঝনানীও কমিতেছেনা, চিন্তায় আছি…
হোসেন জেঠা কহিলো, লংগদু উপুজিলা পুরিষদের চেয়ারমন আব্দুল বারেক তাইনের ইউনিয়ন আমামীলীগের সেক্রেটারী বেলালরে বেদম জুতাপেঠা করিয়াছেন। এই সব ঘটনা লইয়া লংগদু পুরো উপুজিলার নেতাকর্মীরা বেলুনের মতন ফুলিতেছে। জুতাপেঠা লইয়া সংবাদ সম্মেলন করিয়াছেন ক্ষিপ্তরা। দলের কর্মী সমর্থক জেঠা-জেঠিরা কহিলো ক্ষেপারাতো বারেক জেঠারে যে কোন মুহুর্তে লাঠিপেঠা করিতে পারে। কথা হইলো বহুতে ক্ষেমতারে পাইয়া মনে করিতেছে আইন আদালত তাঁগোরই ইচ্ছায় চলে। তয় যাহা দরকার তাহা হইল বে-আইন প্রয়োগকারীগোরে ক’দিনের জন্য হাজতবাস করানো দরকার, চিন্তায় আছি…
কবির জোঠা কহিলো, তাইনের কাপ্তাই উপুজিলার কাপ্তাই হ্রদে যেইভাবে কচুরিপনা জট বান্দাইয়াছে তাহাতে আমাগো স্কুল কলেজ পড়ুয়া পরীক্ষার্থী জেঠা-জেঠিরাতো চরম বিপদে পুড়িয়াছে। দশ মিনিটের পথ এক দেড়শ মিনিট লাগিতেছে। আভিভাবক জেঠা-জেঠিরাও তাইনেগোর পোলাপাইন লইয়া মহা চিন্তায় পড়িয়াছেন। কচুরিপনা সরাইতে কেহই নাকি উদ্যোগ লইতেছে না। উপজিলার হৃদ নির্ভর ভুক্তভুগি জেঠা-জেঠিরা এখুন দিশেহারা। কথা হইলো এইভাবে চলিতে থাকিলে অসুখ বিসুখে পতিত জেঠা-জেঠিরা হাসপাতালে যাইতে যাইতে কচুরিপনার টালেই পরপারে চলিয়া যাইবে, চিন্তায় আছি…
রফিক জেঠা কহিলো, লামার মেরখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র শিক্ষক সংকটের কারুনে ছোট্ট জেঠা-জেঠিগোর পড়ালেখাতো গোল্লায় যাইতেছে। বিদ্যালয়ে হ¹ল শ্রেনী মিলিয়া সাড়ে পাঁচ শত জেঠা-জেঠি শিক্ষার্থীরা এখুন স্যারগোর অভাবে পড়ালেখার জীবন অসার হইতেছে। আভিভাবক জেঠা-জেঠিরা কহিলো তাইনেগোর এই বিদ্যালয়ে হ¹লই আছে তয় খালি শিক্ষকই নাই। নানান রকুমের তদবির চালাইয়াও কোন ফল নাই। কথা হইলো আমাগো লোকাল প্রশাসন ভালা ব্যবুস্থা না করিলেতো ছোট্ট জেঠা-জেঠিগোর অবস্থাও খারাপ হইয়া যাইবে, চিন্তায় আছি…
বিজয় জেঠা কহিলো, আমাগো শহরের যত্রতত্র খালি ময়লা আর ময়লা। পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেঠা-জেঠিরা মনে চাইলেই পুরিস্কারের কাইজ কাম চালায়। ব্যস্ত সড়কগুলাইনের দুইপাশ খালি ফেরিওয়ালাগোর দখলেই থাকে। দিনের পর সন্ধ্যা নামিলেই রাইত পর্যন্ত পথচারী আর পর্যটকরা বেকায়দায় পড়িতেছে। বাজার এলাকাগুলাইনের পুরস্থিতিতো বহুত চরমে। পথচারী, পর্যটক, ক্রেতা বিক্রেতারা তাগো উচ্চিষ্ট গুলাইন যত্রতত্র ফেলনের কারনেও ময়লার স্তুপ জমিতেছে। নাগরিকগোরে ভালা রাখিবের কথা থাকলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তাঁগো কোন কথাই সঠিকভাবে পালন করিতে পারিতেছেনা। নেতারাতো খালি পল্টি মারনের তালেই রহিয়াছে। কথা হইলো ক্ষেমতায় একবার যাইতে পারিলেই কেল্লা ফতে। তয় নির্বাচন আসিলে হারে হারে টের পাইবে, চিন্তায় আছি…
আরিফ জেঠা কহিলো, শেষ মেষ কাপ্তাই হ্রদ হইতে দুই জেঠা-জেঠির মরদেহ উদ্ধার হইয়াছে। গেল ৪ নভেম্বর ভাড়ায় চালিত স্পীড বোট যোগে বাঘাইছুড়ি উপুজিলা হইতে রাঙ্গামাটি আসিবার পথিমইধ্যে লংগদু উপুজিলার কাপ্তাই হ্রদের কাট্টলীবিল এলাকায় আসিলে বিপরীত দিকের বালুভর্তি ইঞ্জিন বোটের লগে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটিলে স্পীড বোটে থাকা ৯ যাত্রীই হ্রদে পড়িয়া গেলে শিক্ষক রিটন ও শিক্ষথী এলোমিনা চাকমা ডুবিয়া যায়। বহুত খোঁজাখুঁজি করিয়াও তাঁগোরে উদ্ধার করা যায় নাই। পরে রিটনের মরদেহ জেলেদের জালে আটকে আসে আর এলোমিনার মরদেহ ভাসিয়া উঠে। এই ঘটনা লইয়া পরিবারে দুঃখের মাতম চলিতেছে। স্থানীয় জেঠা-জেঠিরা কহিলো স্পীড বোট চালকের অবহেলার কারুনে এই অঘটন ঘটিয়াছে। ভাড়ায় চালিত স্পীড বোট চালকরা তাঁগো যাত্রীরে নাকি কোন লাই জ্যাকেটও পড়ায় না। কথা হইলো হ¹লই যদি সচেতন না হইয়া চলাফেরা করে বিপদতো ঘঘটিবেই, চিন্তায় আছি…
আমাগো তিন পার্বুত্য জিলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৩৯তম মুত্যুবার্ষিকী শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মইধ্যদিয়া পালন করিয়াছেন পাহাড়ের জেঠা-জেঠিরা। মানবেনন্দ্র নারায়ন লারমার ত্যাগ, গনতন্ত্র আর অধিকার পুতিষ্ঠার আন্দোলনরে শ্রদ্ধার লগে স্মরণ করিয়া হ¹লরে একীভুত হইতে আহ্বান করিয়াছেন নেতা-কর্মীবৃন্দ। শান্তিকামী এই নেতার চিন্তা চেতনারে কাজে লাগাইতে আহ্বানও জানাইয়াছেন।
আবার আমাগো মাত্তাল লেদু কহিলো আর কত, এইবারতো বিদ্যুতে মারিতেছে। সারা বছরই জেঠা-জেঠিগোরে চুষিয়াই খাইলি। ক্ষেমতার অধিকারী হইয়া রাজনৈতিক লেজুরভিত্তি চালাইয়া শহর নগরের অসহায় জেঠা-জেঠিরে ভালবাসার পল্টি মারিয়া লাগাতারই ছেঁচড়াইতেছে। জন্ম নিবন্ধন লইয়া বহুতে কহিলো যেই অত্যাচারিত হইতেছি তয় মানবকুলে আর জন্ম লওনের দরকার নাই। ঢের ভালা পাখি হইয়া জন্মিলে গোটা পুত্থিবী ঘুরিলেও, পাসপোর্ট, ভিসা, পুরিচয়পুত্র, জন্ম নিবন্ধুনের দরকার হইবে না। এই কামে, হেই কামে বহুতে ফিরিকশন লাগাইয়া দিয়া চুইংগামের মতন লম্বা করিতেছে, আবার নানান কিছিমের আকাম লইয়াও দৌড়াইতেছে। লেদু কহিলো খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। লুটেরার দল আছমকা গন্ডোগোল আর আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হ¹লই হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইতেছে। তয় কি ভালোভাসা, বহুতেতো বাসাবাড়িও দখল করিতেছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…
ভাইপো-রে পার্বত্য এলাকায় আর কতো রকম-বেরকমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ আমি জেঠাও কখন জেলে ঢুকি এই চিন্তা লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….
ইতি-
পা.স.চি.জে.মি.ব.
১৩ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিঃ
ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা, আমজেঠা-জেঠিরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপুনে অন্তত ভালা থাকিবেন
ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। আমাগো শেখ হাসিনা জেঠিতো ব্যাটা করোনার টুঁটি চাপিয়াই ধরিয়াছে। এই বজ্জাতের হাড্ডি গোটা পৃথিবীর জেঠা-জেঠির অস্থিমজ্জাও চুষিয়া খাইতেছে। লাখ লাখ জেঠা-জেঠিগোর জীবন সাঙ্গ করিয়া বন্ধন ছিন্ন করিয়াছে। জোট বাধিঁয়াছে ওমিক্রন। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে, কঠোর দমন নাই, নিপীড়ণ, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি আপুত্তি-বিপুত্তি। আমি জেঠাও সর্ব বেকায়দায়। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমজেঠা-জেঠিরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপুনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….
ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর জেঠা-জেঠিগোর ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিলো তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওন যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনে হয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি। পাহাড় পর্বতের মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের বয়ান উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। করোনা-১৯তো কারো কথাই হুনিতে চাহে না। বহু ভাইরাসের মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং এখন হরদম। বেকার এই জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, বায়না ধরে জঙ্গল দেখিবো, পাহাড়-নদী-নালা দেখিবো, আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো, খুবই চিন্তায় আছি… যাউ¹া…
দহ জেঠা কহিলো, আমাগো প্রধানমুন্ত্রী হাসিনা জেঠিতো খাগড়াছুড়ি জেলায় ৪২টি সেতু উদ্বোধন করিয়াছেন। তাইনের এই উন্নয়নে হেই পাহাড়ের হ¹লই খুশি। হাসিনা জেঠি কহিলো পাহাড় উন্নয়নে আমামীলীগের আগে কেহই ভাবেও নাই। শান্তি আর উন্নয়নে তাইনের সরকার পাহাড়ের জেঠা-জেঠিগোর লগেই থাকিবেন। কথা হইলো আসাগো প্রধামুন্ত্রী পাহাড় উন্নয়নে একাট্টা হইলেও ষড়যন্ত্রকারীগোর নানান বাবাতের চক্রান্ততো চুইগামের মতন চলিতেছে। লগে নানান দল বলের লোহালংকড়ের জনঝনানীও কমিতেছেনা, চিন্তায় আছি…
হোসেন জেঠা কহিলো, লংগদু উপুজিলা পুরিষদের চেয়ারমন আব্দুল বারেক তাইনের ইউনিয়ন আমামীলীগের সেক্রেটারী বেলালরে বেদম জুতাপেঠা করিয়াছেন। এই সব ঘটনা লইয়া লংগদু পুরো উপুজিলার নেতাকর্মীরা বেলুনের মতন ফুলিতেছে। জুতাপেঠা লইয়া সংবাদ সম্মেলন করিয়াছেন ক্ষিপ্তরা। দলের কর্মী সমর্থক জেঠা-জেঠিরা কহিলো ক্ষেপারাতো বারেক জেঠারে যে কোন মুহুর্তে লাঠিপেঠা করিতে পারে। কথা হইলো বহুতে ক্ষেমতারে পাইয়া মনে করিতেছে আইন আদালত তাঁগোরই ইচ্ছায় চলে। তয় যাহা দরকার তাহা হইল বে-আইন প্রয়োগকারীগোরে ক’দিনের জন্য হাজতবাস করানো দরকার, চিন্তায় আছি…
কবির জোঠা কহিলো, তাইনের কাপ্তাই উপুজিলার কাপ্তাই হ্রদে যেইভাবে কচুরিপনা জট বান্দাইয়াছে তাহাতে আমাগো স্কুল কলেজ পড়ুয়া পরীক্ষার্থী জেঠা-জেঠিরাতো চরম বিপদে পুড়িয়াছে। দশ মিনিটের পথ এক দেড়শ মিনিট লাগিতেছে। আভিভাবক জেঠা-জেঠিরাও তাইনেগোর পোলাপাইন লইয়া মহা চিন্তায় পড়িয়াছেন। কচুরিপনা সরাইতে কেহই নাকি উদ্যোগ লইতেছে না। উপজিলার হৃদ নির্ভর ভুক্তভুগি জেঠা-জেঠিরা এখুন দিশেহারা। কথা হইলো এইভাবে চলিতে থাকিলে অসুখ বিসুখে পতিত জেঠা-জেঠিরা হাসপাতালে যাইতে যাইতে কচুরিপনার টালেই পরপারে চলিয়া যাইবে, চিন্তায় আছি…
রফিক জেঠা কহিলো, লামার মেরখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র শিক্ষক সংকটের কারুনে ছোট্ট জেঠা-জেঠিগোর পড়ালেখাতো গোল্লায় যাইতেছে। বিদ্যালয়ে হ¹ল শ্রেনী মিলিয়া সাড়ে পাঁচ শত জেঠা-জেঠি শিক্ষার্থীরা এখুন স্যারগোর অভাবে পড়ালেখার জীবন অসার হইতেছে। আভিভাবক জেঠা-জেঠিরা কহিলো তাইনেগোর এই বিদ্যালয়ে হ¹লই আছে তয় খালি শিক্ষকই নাই। নানান রকুমের তদবির চালাইয়াও কোন ফল নাই। কথা হইলো আমাগো লোকাল প্রশাসন ভালা ব্যবুস্থা না করিলেতো ছোট্ট জেঠা-জেঠিগোর অবস্থাও খারাপ হইয়া যাইবে, চিন্তায় আছি…
বিজয় জেঠা কহিলো, আমাগো শহরের যত্রতত্র খালি ময়লা আর ময়লা। পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেঠা-জেঠিরা মনে চাইলেই পুরিস্কারের কাইজ কাম চালায়। ব্যস্ত সড়কগুলাইনের দুইপাশ খালি ফেরিওয়ালাগোর দখলেই থাকে। দিনের পর সন্ধ্যা নামিলেই রাইত পর্যন্ত পথচারী আর পর্যটকরা বেকায়দায় পড়িতেছে। বাজার এলাকাগুলাইনের পুরস্থিতিতো বহুত চরমে। পথচারী, পর্যটক, ক্রেতা বিক্রেতারা তাগো উচ্চিষ্ট গুলাইন যত্রতত্র ফেলনের কারনেও ময়লার স্তুপ জমিতেছে। নাগরিকগোরে ভালা রাখিবের কথা থাকলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তাঁগো কোন কথাই সঠিকভাবে পালন করিতে পারিতেছেনা। নেতারাতো খালি পল্টি মারনের তালেই রহিয়াছে। কথা হইলো ক্ষেমতায় একবার যাইতে পারিলেই কেল্লা ফতে। তয় নির্বাচন আসিলে হারে হারে টের পাইবে, চিন্তায় আছি…
আরিফ জেঠা কহিলো, শেষ মেষ কাপ্তাই হ্রদ হইতে দুই জেঠা-জেঠির মরদেহ উদ্ধার হইয়াছে। গেল ৪ নভেম্বর ভাড়ায় চালিত স্পীড বোট যোগে বাঘাইছুড়ি উপুজিলা হইতে রাঙ্গামাটি আসিবার পথিমইধ্যে লংগদু উপুজিলার কাপ্তাই হ্রদের কাট্টলীবিল এলাকায় আসিলে বিপরীত দিকের বালুভর্তি ইঞ্জিন বোটের লগে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটিলে স্পীড বোটে থাকা ৯ যাত্রীই হ্রদে পড়িয়া গেলে শিক্ষক রিটন ও শিক্ষথী এলোমিনা চাকমা ডুবিয়া যায়। বহুত খোঁজাখুঁজি করিয়াও তাঁগোরে উদ্ধার করা যায় নাই। পরে রিটনের মরদেহ জেলেদের জালে আটকে আসে আর এলোমিনার মরদেহ ভাসিয়া উঠে। এই ঘটনা লইয়া পরিবারে দুঃখের মাতম চলিতেছে। স্থানীয় জেঠা-জেঠিরা কহিলো স্পীড বোট চালকের অবহেলার কারুনে এই অঘটন ঘটিয়াছে। ভাড়ায় চালিত স্পীড বোট চালকরা তাঁগো যাত্রীরে নাকি কোন লাই জ্যাকেটও পড়ায় না। কথা হইলো হ¹লই যদি সচেতন না হইয়া চলাফেরা করে বিপদতো ঘঘটিবেই, চিন্তায় আছি…
আমাগো তিন পার্বুত্য জিলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার ৩৯তম মুত্যুবার্ষিকী শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মইধ্যদিয়া পালন করিয়াছেন পাহাড়ের জেঠা-জেঠিরা। মানবেনন্দ্র নারায়ন লারমার ত্যাগ, গনতন্ত্র আর অধিকার পুতিষ্ঠার আন্দোলনরে শ্রদ্ধার লগে স্মরণ করিয়া হ¹লরে একীভুত হইতে আহ্বান করিয়াছেন নেতা-কর্মীবৃন্দ। শান্তিকামী এই নেতার চিন্তা চেতনারে কাজে লাগাইতে আহ্বানও জানাইয়াছেন।
আবার আমাগো মাত্তাল লেদু কহিলো আর কত, এইবারতো বিদ্যুতে মারিতেছে। সারা বছরই জেঠা-জেঠিগোরে চুষিয়াই খাইলি। ক্ষেমতার অধিকারী হইয়া রাজনৈতিক লেজুরভিত্তি চালাইয়া শহর নগরের অসহায় জেঠা-জেঠিরে ভালবাসার পল্টি মারিয়া লাগাতারই ছেঁচড়াইতেছে। জন্ম নিবন্ধন লইয়া বহুতে কহিলো যেই অত্যাচারিত হইতেছি তয় মানবকুলে আর জন্ম লওনের দরকার নাই। ঢের ভালা পাখি হইয়া জন্মিলে গোটা পুত্থিবী ঘুরিলেও, পাসপোর্ট, ভিসা, পুরিচয়পুত্র, জন্ম নিবন্ধুনের দরকার হইবে না। এই কামে, হেই কামে বহুতে ফিরিকশন লাগাইয়া দিয়া চুইংগামের মতন লম্বা করিতেছে, আবার নানান কিছিমের আকাম লইয়াও দৌড়াইতেছে। লেদু কহিলো খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। লুটেরার দল আছমকা গন্ডোগোল আর আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হ¹লই হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইতেছে। তয় কি ভালোভাসা, বহুতেতো বাসাবাড়িও দখল করিতেছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…
ভাইপো-রে পার্বত্য এলাকায় আর কতো রকম-বেরকমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ আমি জেঠাও কখন জেলে ঢুকি এই চিন্তা লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….
ইতি-
পা.স.চি.জে.মি.ব.
১৩ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিঃ