মানিকছড়িতে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদশন
কালেকশন পয়েন্টের মাধ্যমে দূর্গম এলাকার দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা খুবই লাভবান হচ্ছেন
॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও এসআইডি-সিএইচটি, ইউএনডিপি যৌথভাবে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলাধীন তিনটহরী বাজারস্থ উক্ত প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন আসেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার তিনটহরী বাজারস্থ নবনিমিত নতুন কালেশন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন তারা। জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের হয়ে প্রকল্প পরিদর্শন করেন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, জাতিসংঘ’র আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইউনিসেফ প্রতিনিধি শিল্ডন ইয়েট, ইউএনডিপির প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লকহাস, এফএও প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার সভেনডসেন, শান্তি ও উন্নয়ন বিশ্লেষক (আরসিও) ফ্ল্যাভি বার্তুইল।
এ সময় সহকারি আবাসিক প্রতিনিধি (ইউএনডিপি) প্রসেনজিং চাকমা, ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার (এসআইডি, সিএইচটি-ইউএনডিপি) সুপ্রধীপ চাকমা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মাঈন উদ্দিন, শাহিনা আক্তার, ওসি মোঃ শাহানূর আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট্যরা। পরে নবনির্মিত কালেকশন পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশনেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কিত স্বাগত বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা ম্যানেজার (ইউএনডিপি) প্রিয়তর চাকমা।
এ সময় প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণকারী কৃষক ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বিগত দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধি দলকে অবগত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে উন্মুক্ত মতামত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ দূর্গম এলাকায় বসবাসের কারণে কৃষির উপর নির্ভরশীল। একটা সময়ে তাদের উৎপাদিত ফসলাদি যথা সমেয় যেমন পরিবহণ করা যেত না, সেই সাথে ন্যায্যমূল্য থেকেও বঞ্চিত হতো। তবে কালেকশন পয়েন্ট স্থাপনের পর কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিজ নিজ এলাকায় ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার কারণে দূর্গম এলাকার কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন। এতে করে তারা আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
এছাড়াও প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অতিবৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে সকল সমস্যা হয়ে থাকে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে কৃষকরা বলেন, শুষ্ক মৌসুমে যেমন পানি সমস্যা থাকে, সেই সাথে অতিবৃষ্টিতেও ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়। এ সময় সকল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রনোদনারও দারী জানান কৃষকরা। তারা আরো বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ইউএনডিপি যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত কালেকশন পয়েন্টের কারণে কৃষকদের উৎপাদিক সবজির চাহিদা দিনদিন বেড়েই চলেছে। কালেকশন পয়েন্টের মাধ্যমে দূর্গম এলাকার দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা খুবই লাভবান হচ্ছেন। সেই সাথে পার্বত্যঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।