[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

থানচিসহ তিন উপজেলায় ৬ষ্ঠ দফায় ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা

১৬১

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা,থানচি ॥

বান্দরবানে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের থানচিসহ তিন উপজেলায় নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞার ৬ষ্ঠ দফায় ফের বাড়ানো হয়েছে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়। এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিঠিতে বলা হয়, ‘সদর দপ্তর, বান্দরবান রিজিয়ন, সেনানিবাসের ১২ নভেম্বর ১৪০/৩১/জিএস (ইন্ট) পত্রের আলোকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করতে বান্দরবান পার্বত্য জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, এবং থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।

এদিকে প্রতিবছর শীত মৌসুমে থানচিতে হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটলেও এবার নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় পর্যটক না আসার কারনে উপজেলার হোটেল-মোটেল ও বিনোদনস্পটগুলো এখন পর্যটক শূন্যতার ফলে আর্থিক ভাবে লোকসান গুনছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

সূত্রে জানা যায়, রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি এই তিন উপজেলায় পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থের আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করেছে জেলা প্রশাসন। এর আগে এ নিষেধাজ্ঞার চলতি মাসের ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।

আরো জানা গেছে, বান্দরবানে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আগত পর্যটকদের উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা তিন উপজেলায় ভ্রমণে না আসার অনুরোধ করা হয়েছে। অচিরেই দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শেষ হলে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা জারি কবে নাগাদ খোলা হবে তা জানা যায়নি।

এ নিষেধাজ্ঞা জারি বিষয়ে জানতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলেছেন, দুর্গম পাহাড়ে কুকিচীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে সমতল থেকে আসা জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। জঙ্গিরা সেখানে তাদের সঙ্গে অবস্থান করছে দুর্গম পাহাড়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা চলাকালে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ভ্রমণের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে থানচি নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাঃ আবুল মনসুর জানান, চলতি বছরে ২৩ অক্টোবর থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমনে নিষিদ্ধ করা হলেও তা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, জনস্বার্থে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১৭ অক্টোবর ১ম দফা পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেন। সেই ধারাবাহিকতা আজ ৬ষ্ঠ দফা নিষেধাজ্ঞা জারি করল জেলা প্রশাসন।