[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিজিবি’র অভিযানে সাড়ে ১৩ লাখ টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দউন্নয়নের পূর্বশর্ত শান্তি, রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসকবান্দরবানে জন্মনিবন্ধন-নাগরিকত্ব সনদ, রোহিঙ্গা নয় প্রত্যয়নপত্র তৈরীর দোকান সিলগালাখাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতবান্দরবানে খেয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ-সমাবেশবান্দরবানে নারী ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা প্রশাসন ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে দাবিবান্দরবানে থানচিতে খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে চার সংগঠনের নিন্দানিলামে বৈধতা পাচ্ছে, আগামীতে জব্দ বালু নিলাম বন্ধ: বান্দরবান জেলা প্রশাসকখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা, দুঃখের বিষয় আসামীকে বিজ্ঞ আদালত জামিন দিয়েছেনবান্দরবানের থানছিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে তিন শতাধিক ভিক্ষু পিন্ডচারণ মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হল কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান

১২৪

॥ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ॥

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ ধমার্বলম্বীদের মহাপিন্ড দান অনুষ্ঠান। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এ মহাপিন্ড দানের মাধ্যমে শেষ হল মাসব্যাপী কঠিন চীবন দান উৎসব।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে বান্দরবান রাজগুরু ববিহার (খিয়ং ওয়া কিয়ং) থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের একটি বর্ণাঢ্য ধর্মীয় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এই পিন্ডানের তিন শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু শহরেপ্রদক্ষিণ করে পিন্ডদান গ্রহণ করেন।

এসময় পুণ্যলাভের জন্য নর-নারীরা সারিবদ্ধভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষুদের নিকট পিন্ড (নগদ অর্থ, চাউল, মৌমবাতি, বিভিন্ন কাঁচা ফলসহ পূজা সামগ্রী) দান করেন ভক্তরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডদান করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা সহ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী নারী-পুরুষেরা।

বিকালে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে দায়ক-দায়িকাসহ বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা পারণিপূর্ণ বুদ্ধ মহাথেরোদের সম্বনয়ে শীল ও ধর্ম দেশনা শ্রমনের পর দেশজাতি ও সকল প্রাণীকুলে মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা এবং হাজার প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘটবে।

মুলত আষাড়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষামাস পালনের পর প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করে থাকেন। প্রবারণা পূর্ণিমা পালনের পর দিন থেকে কার্তিক পূর্ণিমা এক মাস ব্যাপী বৌদ্ধধর্মালম্বীরা কঠিন চীবর দান পালন করে থাকেন।

উল্লেখ্য যে,কথিত আছে গৌতম বৌদ্ধ খালি পায়ে হেঁটে বিভিন্ন বৌদ্ধ পল্লীতে ছোয়াং (খাদ্য) সংগ্রহ করতেন। তারই ধারবিহিকতায় বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মলম্বীরা যুগযুগ ধরে এই উৎসব পালন করে আসছে।