বিপন্ন প্রাণ-প্রকৃতি পরিবেশ এবং ইসলাম
॥ মোঃ সিরাজুল হক (সিরাজ) ॥
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি ক্ষুদ্রতম দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। জনসংখ্যার তুলনায় দেশের আয়তন অত্যন্ত অপ্রতুল। এ দেশের এক দশমাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে পার্বত্য অঞ্চল তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, তখন বন-বনানী বৈচিত্রময় জীব-জন্তু দ্বারা আচ্ছাদিত পর্বতমালার সমন্বয়ে ভরপুর ছিল এ অঞ্চলটি। কিন্তু কালের আবর্তে তা এখন আর নেই। মানুষ নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষায় অপরিকল্পিতভাবে বেঁচে থাকার ভিত্তি এখানকার জীব-বৈচিত্র্য ও পরিবেশকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে। প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ বিরোধী নানামুখী কর্মকান্ডে আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য আজ হুমকির সম্মুখীন। শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, সমগ্র দেশজুড়ে এর ভয়াবহতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার বহুবিধ কারণ রয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম কারণ হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, কীটনাশকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, শিল্প ও কলকারখানার বজ্য পানিতে ফেলা, ইট ভাটার কালো ধোঁয়া, অবাধে প্লাষ্টিক দ্রব্যের ব্যবহার, পাহাড় কাটাসহ ইত্যাদি।
পরিবেশ দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ হলো নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন এবং বনভূমি উজাড়। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে দেশের পরিবেশ এখন হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে বাতাসে প্রতি বছর পরিবেশের জন্য চরমভাবে ক্ষতিকর ২২ কোটি টন কার্বন ডাই-অক্সাডাইড সঞ্চিত হচ্ছে। প্রকৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বৃক্ষকে বলা হয় মানব জাতির পরম বন্ধু। আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান উপাদান প্রয়োজনীয় অক্সিজেন বৃক্ষ-ই সরবরাহ করে এবং ত্যাগ করা দূষিত কার্বন ডাই-অক্সাডাইড বৃক্ষই গ্রহণ করে। একটি পুর্ন বয়স্ক বৃক্ষ ১০ জন মানুষের বার্ষিক অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করে। আধুনিক বিশ্বে এখনো অক্সিজেনের অভাবে মানুষের মৃত্যু হয়। কারোনা কালে মানুষ বুঝতে পেরেছে, বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যে অকৃত্রিম বৃক্ষ নামক মহান বন্ধুটি মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান উপাদান অক্সিজেন বিনামূল্যে সরবরাহ করে থাকে, আবার মানুষ-ই সে বৃক্ষকে নির্বিচারে ধ্বংস করে চলেছে। একটা বৃক্ষ বাতাস থেকে ৬০ পাউন্ডেরও বেশী বিষাক্ত গ্যাস শোষন করে নেয় এবং ১০টা এসির সমপরিমাণ তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এক হেক্টর পরিমাণ মাঝারি মানের বনভূমি ১০ ডিসিবল শব্দ হ্রাস করতে পারে। বনভূমি ধ্বংসের ফলে এখন বন্য প্রাণীর সংখ্যা ও প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে। গত ১৩ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখ ডাব্লিউ.ডাব্লিউ.এফ এবং জওলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ১৯৭০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পৃথিবীতে বন্য প্রাণীর সংখ্যা ৬৯ শতাংশ কমেছে। বিশ্বের ৫২৩০ প্রজাতির ৩২ হাজার বন্যপ্রাণীর উপর এ গবেষনা চালানো হয়েছে, জীব-বৈচিত্র্য বিবেচনায় পৃথিবীতে সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকা লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল। অথচ এই দুই অঞ্চলে গত ৫০ বছরে প্রাণী কমেছে প্রায় ৯৪ শতাংশ। যা বিশ্বের যে কোন অঞ্চলের তুলনায় সবচেয়ে বেশী। জুওলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের সংরক্ষন ও নীতি বিষয়ক পরিচালক অ্যান্ড্রু টেরি বলেন, এই তথ্যই বলে দেয় আমরা কিভাবে জীবনের উৎস ধ্বংস করে ফেলেছি এবং এ পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি প্রকৃতির সুরক্ষাবলয় ক্রমে ক্রমে ভেঙে যাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ উজাড় হয়ে যাচ্ছে বলে উদ্ধেগ প্রকাশ করেন। এ পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সমগ্র দেশ এবং বিশ্বের পরিবেশ এখন ভারসাম্যহীনতার সম্মুখীন। যার প্রেক্ষিতে তীব্র দাবদহে এবং বজ্রপাতে এখন মানুষসহ প্রাণীকুলের মৃত্যু প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সময় মতো বৃষ্টি হচ্ছেনা এবং অসময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত, অকাল বন্যা, ঘুর্ণিঝড় জলোচ্ছাস, প্রচন্ড খরা, এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পবিত্র কোরআন মজিদে বলেছেন, মানুষকে আমি উত্তম পন্থায় সৃষ্টি করেছি, আবার তাদেরই কর্মের ফলে মানুষকে আমি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে দিই। মানুষের অপকর্মের ফলে আজ প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ। যে প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ মানুষকে নিজের সবটুকু দিয়ে লালন পালন করছে, সে মানুষগুলোই নির্মমভাবে নির্বিচারে ধ্বংস করে চলেছে প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ। ফলে প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ মানুষের প্রতি ভয়ানক রূপ ধারণ করে ভয়ংকর আচরণে লিপ্ত রয়েছে। মূলতঃ মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাঁর সর্বশ্রেষ্ট সৃষ্টি মানুষেরই কল্যাণের জন্য মানুষ সৃষ্টির হাজার হাজার বছর আগে পাহাড়, সাগর, নদী, খাল, বিলের সমন্বয়ে তরুলতা বৃক্ষের সমারোহে নীল সবুজের মাখামাখী নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে বৈচিত্র্য পরিপূর্ণ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির সময় পৃথিবীকে এমনভাবে সাজিয়েছেন যে, এখানে মানুষের যেন ভয়াবহ কোন প্রাকৃতিক দূর্ভোগ পোহাতে না হয়।
পবিত্র কোরআন মজিদে আল্লাহ বলেছেন, পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করেছি পুরোপুরি ভারসাম্য রক্ষা করতে। আমি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি পরিমিতভাবে, অতঃপর আমি তা সংরক্ষিত করি, আমি তা অপসারিত করতেও সক্ষম। পানি দিয়ে তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করি। যেখানে তোমাদের জন্য অনেক ফল রয়েছে। যা তোমরা আহার কর (মুমিন)। আবার মহান আল্লাহ পাক মানুষকে পরিবেশের উপর প্রভাব বিস্তার করার মতো বিবেক, বৃদ্ধি, চিন্তাশক্তি ও জ্ঞানদান করেছেন। পবিত্র কোরআন মজিদে আল্লাহ পাক বলেছেন, নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি। আমি তাদের স্থলে ও জলে চলাচলের বহন দান করেছি। তাদের উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদের অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি (বনি ইসরাইল)। পবিত্র কোরআন মজিদের অনেক আয়াতে ইহসান ও তাকওয়া একই অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ইহসানের একটি সাধারণ অর্থ সদাচার ও সৌজন্য। মহান আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি দয়া এ অর্থের অর্ন্তগত। মানুষ মানুষের সাথে তো বটেই, সকল প্রাণী ও উদ্ভিদকুলের সাথে ও দয়া এবং প্রীতিময় আচরণ করতে বলা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে পবিত্র কোরআন এবং হাদিসের আলোকে নির্বাক পশু ও নিশ্চল গাছপালা তরুলতার প্রতি ও নির্দয় আচরণ নিষিদ্ধ। একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর ফলে একজন ব্যাভিচারিনীর মুক্তি লাভ এবং একটি বিড়ালকে না খাইয়ে মারার কারণে আযাবে পতিত হওয়া এক রমনীর কথা বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) বর্ননা করেছেন। অথচ মানুষ প্রতিনিয়ত সৃষ্টির প্রতি নির্মম আচরণে লিপ্ত রয়েছে। যা মানুষের জন্য অত্যন্ত অকল্যাণকর।
ফলশ্রুতিতে প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ এখন আর মানুষের অনুকূলে নাই। প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রতিকুল হলে তার ধ্বংসলীলা ও সর্বনাশা আক্রমন অবশ্যম্ভাবী। আমাদের প্রিয় পার্বত্য চট্টগ্রামের জীব-বৈচিত্র্য, পরিবেশ ধ্বংসের ইতিহাস নতুন কোন বিষয় নহে। পাহাড়ে সরিষার মাঝে ভুত আছে বলেই পরিবেশ ধ্বংসের অপকর্ম গুলো চলমান। এখানে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের ছোট মেরুং চোংড়াছড়ি এলাকায় রাতের অন্ধকারে পাহাড় কাটা হচ্ছে। আইন-কানুনের তোয়াক্কা না-করে মেরুং (দক্ষিণ) ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এক নেতার নেতৃত্বে এ পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। রাতের অন্ধকারে এই বিশাল পাহাড়টি কাটার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। দীঘিনালায় প্রতিনিয়ত এইভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন-২০১০ এর ৪ ধারার ৬ (খ) এ বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাইবে না। শেষ খবর পাওয়া পর্য্যন্ত গনমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল কালাম ভুট্টোকে না পাওয়ায় তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেননি। পরে কাগজপত্র সহ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হাজির করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। তিন পার্বত্য জেলায় এখন শুধু পাহাড়-ই নয়, রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তিগণসহ ভূমিদস্যুরা মিলে এখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদসহ খাল-বিল নদী-নালা দখল দূষণে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদের ভয়াবহ এ নির্মম পরিনতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে, উক্ত প্রতিবেদন সূত্রে ১৬ অক্টোবর/২০২২ইং তারিখ পরিবেশ বাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করা হয়।
রিট আবেদনে কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়, কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ দখল বন্ধ এবং জরিপ করে হ্রদের সীমানা নির্ধারণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানীতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদসহ আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মন্ডল অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটার্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর কাপ্তাই হ্রদে আর যাতে মাটি ভরাট বা স্থাপনা নির্মাণ না করা হয়, তা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ছয় বিবাদীকে এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ রিটের প্রাথমিক শুনানী নিয়ে বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ারর্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সাথে সীমানা জরিপ করে অবৈধ দখলদারদের তালিকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ছয় বিবাদীর প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে কাপ্তাই হ্রদের অবৈধ দখল বন্ধে প্রশাসনের নিষ্কৃয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল ও জারি করেছেন আদালত। আগামী ০৪ (চার) সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক (ডিজি), রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ মোট ১২ জনকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিপন্ন প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে এখন প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং ইসলামের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালনসহ আইনের কঠোরতা ছাড়া বিকল্প নেই। আমাদের প্রজন্মের বাসযোগ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ার লক্ষ্যে আদালতের প্রতিটি নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা আজ সময়ের শ্রেষ্ঠ দাবী। আমরা ভুলে গেলে চলবে না যে, ক্ষমতাধর রাজনৈতিক, প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি কিংবা সাধারণ মানুষ কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। …………………. (চলবে)
লেখকঃ- মোঃ সিরাজুল হক( সিরাজ)
কবি, কলামিষ্ট ও সাংস্কৃতিক কর্মী