১ঘন্টার পথে সময় যায় ৩ঘন্টা
কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানার কারণে তীব্র জলজট, বিপাকে পরীক্ষার্থীরা
॥ মোঃ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥
দেখে মনে হয় সোনালী সবুজের মাঠ। তবে তা কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানা। এই কচুরীপানায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলজট। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। রবিবার হতে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এইচ এসসি পরীক্ষা এবং এস.এস.সি টেস্ট পরীক্ষা। কিন্ত বিধিবাম! প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কাপ্তাই হ্রদে ধেয়ে আসছে কচুরিপানা। মাত্র ৩তিন মিনিটের সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে লাগছে ঘন্টার অধিক। আবার মাঝপথে ইঞ্জিন চালিত বোট বা লঞ্চের তেল ফুরিয়ে বিপাকে পড়ছে নৌযাত্রীরা। আবার কেউ কেউ কচুরিপানা কেটে পাড়ি দিতে গিয়ে ইঞ্জিনের পাখা ভেঙ্গে সীমাহীন দুর্ভোগে ভুগতে হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন এলাকা হতে কচুরিপানা যেটিঘাটে এসে জড়ো হচ্ছে। যার ফলে আইল্যান্ড এলাকা হতে জেটিঘাট ২-৩ মিনিটের জায়গায় পৌছাতে নৌযানের সময় লাগছে কয়েক ঘন্টা।
হরিণছড়ার ইউপি সদস্য অংসাচিং মারমা, নবীন কুমার তনচংঙ্গ্যা ও জেলে পাড়ার উজ্জল দাশ জানান, কচুরিপানার কারনে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে সঠিক সময় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রুত অপসারণ করা না হলে পরীক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। অভিভাবকরা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।
কাপ্তাই মাছ ব্যবসায়ী দিদারুল আলম জানান, কচুরিপানার তীব্র জটের ফলে তাদের মাছ সঠিক সময় পৌঁছাতে না পারায় মাছ পঁচে লাখ টাকা ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারি-ব্যসরকারি এবং বিভিন্ন সংস্থার লোকজন, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুড়াছড়ি বরকল সহ বিভিন্ন এলাকায় সঠিক সময় পৌঁছাতে পারছে না। যার ফলে ব্যবসাসহ বিভিন্ন কিছুতেই ধস নেমেছে।
কাপ্তাই মৎস্য উপকেন্দ্র শাখা ব্যবস্থাপক মাসুদ আলম জানান, মাছ পঁচনশীল তা বিভিন্ন উপজেলা হতে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারায় ব্যবসায়ী এবং সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তিনি কচুরিপানার তীব্র জট অপসারণের দাবি জানান। ৪নং কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ প্রতিনিধিকে জানান, কচুরিপানা এখন জাতীয় সমস্যার মত দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর এ কচুরিপানার জট লেগেই থাকে। যারফলে ব্যবসাসহ সব কিছুতেই ধস নামে। তিনি কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবস্থাপকে বিষয়টি জানান এবং তাদের মেশিন দিয়ে কচুরিপানা অপসরণের দাবি জানান। রবিবার হতে বিউবো কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন।