থানচিতে কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত
॥ থানচি উপজেলা প্রতিনিধি ॥
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও নানা আয়োজনে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আনন্দের উৎসবমুখর পরিবেশে বান্দরবানে থানচিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় দানোত্তম উৎসব কঠিন চীবর দানোৎসবসহ ওয়াংকাবা পোয়েঃ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে থানচির বলিপাড়া ইউনিয়নের বলিপাড়া বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে প্রব্রজ্যা ও উপ-সম্পদা দীক্ষা গ্রহন, ভিক্ষু সংঘের পবিত্র চীবর দান, নর-নারীদের পঞ্চশীল গ্রহন অনুষ্ঠান, ভিক্ষু সংঘের ছোয়াইন ও আহারযোগ্য ফলদান, বিহার প্রাঙ্গনে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব এর তাৎপর্য নিয়ে ধর্মীয় দেশনা, ঐতিহ্যবাহী ওয়াংকাবা পোয়েঃ এর ধর্ম গুরু উদ্ধোধনে শেষে নর-নারীর, শিশুসহ সকলে আনন্দের উপভোগ করেছেন। এ ঐতিহ্যবাহী ওয়াংকাবা পোয়েঃ উৎসবের উৎসবমুখর আনন্দের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অংশ নেন।
এ দানোত্তম কঠিন চীবর ও ওয়াংকাবা পোয়েঃ উৎসবের আসা পুন্যার্থীরা জানান, এ কঠিন চীবর দান বৌদ্ধ ধর্মীবলম্বীদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিক্ষু সংঘের তিন মাস বর্ষাবাস শেষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এ কঠিন চীবর দানোৎসব। এবারের এখানে আনন্দের উৎসবমুখর পরিবেশে প্রধান দানোৎসব কঠিন চীবর পাশাপাশি ঐতিহ্য ওয়াংকাবা পোয়েঃও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পুন্যার্থীরা আরো বলেন, ভগবান বুদ্ধের সময়কালে তার প্রধান সেবিকা বিশাখা এ দান প্রবর্তন করেছিলেন। যার কারণে বৌদ্ধদের মাঝে এ দানকে শ্রেষ্ঠদান হিসেবে বিবেচিত কঠিন চীবর দান। এ দনোত্তম উৎসব বুদ্ধের সময়কাল থেকে উদযাপন করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
সূত্রে জানা যায়, বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদে ভিক্ষু সংঘের তিনমাস বর্ষাবাসের শেষে মাসব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে কঠিন চীবর দানোৎসব। এ প্রধান ধর্মীয় দানোত্তম উৎসবটি থানচি উপজেলাতে বিভিন্ন বিহারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাসব্যাপী এ দানোত্তম উৎসব থানচির রেমাক্রী বড় মদকের সমাপ্তি ঘটবে।
এদিকে এ কঠিন চীবর দানোৎসব ও ওয়াংকাবা পোয়েঃ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে পুন্যার্থীর বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য বাশৈচিং চৌধুরী বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ভিক্ষু সংঘের তিন মাসব্যাপী বর্ষাবাস শেষ হচ্ছে প্রবারণা পূর্ণিমার উৎসবের। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রবারণার পরিসমাপ্তির মধ্যদিয়ে মাসব্যাপী বিভিন্ন বিহারে বিহারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব।
তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রধান দানোত্তম উৎসব কঠিন চীবর দানোৎসব পাশাপাশি ঐতিহ্য ওয়াংকাবা পোয়েঃ অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলিপাড়া বৌদ্ধ বিহারে প্রাঙ্গনে। আজকের এই পবিত্র দিনের বন্দনা-প্রার্থনা করেছি, সকল সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তির এবং দেশ ও জনকল্যাণে মঙ্গল হোক।
এ দানোত্তম কঠিন চীবর উৎসবের নিরাপত্তা বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহাঃ আবুল মনসুর বলেন, থানচিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম দানোত্তম কঠিন চীবর উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।