[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সমাজসেবক লিয়াকত আলীর সংবাদ সম্মেলন

১৪০

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ, ব্যক্তিগত সমস্যাকে সামাজিক সমস্যা হিসাবে উল্লেখ, এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ, ধর্মীয় অনুভূতিকে ইস্যু করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, বৈধভাবে ক্রয়কৃত সম্পদ জবরদখলের পায়তারা এবং মিথ্যা প্রভাকান্ড ছড়িয়ে সম্মানহানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোঃ লিয়াকত আলী নামে এক সমাজসেবক। লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্যম হায়দারনাশী গ্রামের মৃত ফিরোজ আহমদের ছেলে এবং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্যম হায়দারনাশী তালিমুল কুরআন জামে মসজিদ ও নুরানী ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সভাপতি। শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় লামা রিপোর্টার্স ক্লাবের মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লামা উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লিয়াকত আলী বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ মধ্যম হায়দারনাশী গ্রামে সরকারি তৌজিভুক্ত নিজ নামীয় জায়গায় বসতবাড়ি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস, জমিতে চাষাবাদ ও ফলদ-বনজ বাগান সৃজন করে আসছি। আমি চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং চাকরির সুবাধে যশোর তালবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে স্নাতক পাস করি। আমি বিগত ২০০৯ইং সালে পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরে একজন সরকারি কর্মচারী হিসাবে চাকরি জীবন শুরু করি। বর্তমানে আমি বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস মনসুরাবাদ চট্টগ্রামে কর্মরত আছি।

ইদানিংকালে স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু ও দুষ্ট প্রকৃতির লোকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ, ব্যক্তিগত সমস্যাকে সামাজিক সমস্যা হিসাবে উল্লেখ, এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ, ধর্মীয় অনুভূতিকে ইস্যু করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, বৈধভাবে ক্রয়কৃত সম্পদ জবরদখলের পায়তারা এবং মিথ্যা প্রভাকান্ড ছড়িয়ে সম্মানহানি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। গত ১৬ অক্টোবর ২০২২ইং কক্সবার্তা টিভি নামে এই ফেসবুক পেইজ সহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে আমার ও আমার পরিবারের নামে মিথ্যা, অসত্য ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার পায়তারা। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

গত ২৪ জুলাই ২০২১ইং তারিখে মধ্যম হায়দারনাশী তালিমুল কুরআন জামে মসজিদ ও নুরানী ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সাধারণ সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুসল্লীদের উপস্থিতিতে আমাকে সকলের সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে মসজিদের কোন আর্থিক হিসাবপত্র স্বচ্ছ ছিলনা। আমি দায়িত্বে আসার পর নিজ অর্থায়নে মসজিদের নামে ২০টি রিসিট বই ছাপায় এবং রিসিট ব্যতিত সকল লেনদেন বন্ধ করে দিই। আয়-ব্যয় হিসাব স্বচ্ছ সংরক্ষণের জন্য পৃথক ৫টি রেজিস্টার চালু করি। কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ক্যাশিয়ার, মসজিদের ইমাম ও গ্রামের স্ব-স্ব সর্দ্দারের কাছে তা সরবরাহ করি। আয়-ব্যয়ের হিসাব ও মসজিদের কোন অর্থ আমার কাছে থাকেনা। সুতারাং টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অমূলক। স্বার্থনেশীমহল মসজিদের অর্থ আত্মসাতের সুযোগ না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও কুচ্ছা রটাচ্ছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমি মসজিদ, কবরস্থান ও ফোরকানিয়ার উন্নয়ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সমাজের কিছু লোক নেতৃত্ব হারিয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রভাকান্ড ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে কবরস্থানে লাশ দাফনে বাঁধা ও মসজিদের সম্পদ আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে তিলে তিলে এই মসজিদ, ফোরকানিয়া ও মাদ্রাসার উন্নয়ন করে যাচ্ছি। মসজিদের গেইটের সাইনবোর্ডে একটি বাণী লিখে তাতে আমার নাম লেখায় সেটাকে তারা ভূলভাবে মানুষের কাছে উপস্থাপন করছে। মূলত তারা ধর্মীয় ইস্যু সৃষ্টি করে আমাকে হেয় করতে চাচ্ছে। বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানে মসজিদ, ফোরকানিয়া ভালো চলছে।

আমার নিজ নামীয় লামা উপজেলার ২৮৬নং ফাঁসিয়াখালী মৌজার আর/১০৬৬নং হোল্ডিংয়ে ৮০ শতক জায়গা রয়েছে। আমি অত্র এলাকায় একজন স্থায়ী বাসিন্দা। অথচ এলাকার কিছু লোকজন, আমি এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নয় বলে অপপ্রচার করছে। নিজ এলাকা মধ্যম হায়দারনাশী গ্রামের উন্নয়নে আমি সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি। নিজ উদ্যোগে ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাট সংষ্কার করেছি। আমি এলাকাবাসীর পক্ষে গ্রামের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, ড্রেন, মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থান নির্মাণে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা পৌরসভার মেয়র এর কাছে অসংখ্য দরখাস্ত করেছি এবং তাদের ব্যক্তিগত আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯-২০ অর্থসালে ৩০ লাখ এবং ২০২১-২২ অর্থসালে ২০ লাখ টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদন হয়েছে। এতে করে দক্ষিণ ও মধ্যম হায়দারনাশী গ্রামের সড়ক যোগাযোগ সংযুক্ত হয় এবং কয়েক গ্রামের মানুষ অবনর্ণীয় ভোগান্তি থেকে রক্ষা পায়। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমানে মধ্যম হায়দারনাশী এলাকায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ ও এইচবিবি রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। যা সরেজমিনে গেলে আপনারা দেখতে পারবেন। উন্নয়ন কাজটি আমার বাড়ির সামনে হওয়ায় ও প্রতিনিয়ত নির্মাণ সামগ্রী চুরি হওয়ায় ঠিকাদার মালামাল গুলো আমার বাড়ির আঙ্গিনায় রাখে এবং ঠিকাদারের অনুপস্থিতিতে উন্নয়ন কাজ আমি ও আমার পরিবারের লোকজন তদারকি করি। যেহেতু কাজটি ঠিকাদারের মাধ্যমে বান্দরবান জেলা পরিষদ করছে, তাতে আমার অর্থ আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। কিছু লোক হিংসাবশত, আমি উন্নয়ন কাজের মালামাল আত্মসাৎ করেছি বলে মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে। যা ঠিকাদারের সাথে কথা বললে আপনারা সত্যিটা জানতে পারবেন।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে আমি স্থানীয় লোকজনকে মামলা দিয়ে হয়রাণী করছি। কাউকে ২০টির অধিক মামলা দিয়েছি। আমার ক্রয়কৃত সম্পদ নিয়ে এলাকায় শুধু এক পরিবারের সাথে ১টি জিডি ও ২টি ভূমি সংক্রান্ত মামলা আছে।

আমার তৌজিভুক্ত জায়গা জোরপূর্বক দখল করলে আমি তাকে আইনগতভাবে উচ্ছেদের জন্য বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বান্দরবানে দায়েরকৃত মামলা ১০৭৪/২০১৫ এর অনুকূলে বিজ্ঞ আদালত গত ২৭/০৬/২০১৯ তারিখে আমার পক্ষে ডিগ্রী প্রদান করেন।

এদিকে ২০১৪ সালে লামা থানার নন-জিআর মামলা ৫/২০১৪ বিগত ০৮/০২/২০১৭ তারিখ আমার পক্ষে রায় হয় এবং বিবাদীদের মুচলেখা প্রদানের রায় দেয় আদালত। ২০১৫ সালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিস সি আর মামলা নং-১০/২০১৫ইং ফৌজদারী কায্যবিধির ১৪৪ ধারা মতে আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৬/০৯/২০১৫ইং তারিখে আদালত নালিশীয় ভূমিতে ২য় পক্ষগণের অবৈধ অনুপ্রবেশ বারিত করা হল মর্মে আদেশ প্রদান করেন। স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহল মামলায় হেরে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি একজন সরকারি কর্মচারী হিসাবে নিজে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। চাকরির কাজে চট্টগ্রামে থাকি। সপ্তাহে এক দুইদিন বাড়িতে আসি। মানুষের সাথে বিবেদ করার সময় কোথায় ? এছাড়া জালিয়াতি করে মানুষের ভূমি কেড়ে নিচ্ছি, এই কথার কেউ প্রমাণ দিতে পারলে আমি আইনে যে শাস্তি দেয় তা মেনে নেব। কারো সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। আমি সকলের সাথে মিলেমিশে ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।