[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মহালছড়ির মিলনপুর বন বিহারে বিশাখার প্রবর্তিত নিয়মে কঠিন চিবরদানোৎসব সম্পন্ন

১১১

॥ মিল্টন চাকমা, মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি ॥

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মিলনপুর বন বিহারে বুদ্ধের প্রধান উপাসিকা মিগারমাতা বিশাখার প্রবর্তিত নিয়মে কঠিন চিবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে বেইনবুনন (কোমর তাঁত) শুরু হয়। বুনন শেষে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) মূল অনুষ্ঠানে আগত ভিক্ষুসংঘকে এ চিবর দান করা হয়। সকালের পর্বে সংঘ প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মিলনপুর বন বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রদ্ধাতিষ্য মহাস্থবির। এছাড়াও বিভিন্ন বিহার থেকে আগত শতাধিক ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দায়ক দায়িকারা পঞ্চশীল গ্রহন ও উপস্থিত ভিক্ষুসংঘ ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন।

প্রধান উপাসক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ভিক্ষুসংঘকে বুননকৃত চিবরসহ বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, আকাশ বাতি দান, হাজার বাতি দানসহ নানাবিধ দান করা হয়। এ সময় সকল জীবের হিতার্থে উপাসক উপাসিকাগণের সমবেত প্রার্থনা ও ধর্মীয় দেশনা শ্রবণ করা হয়।

উল্লেখ্য, বুদ্ধের প্রধান উপাসিকা কর্তৃক প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সুতা কেটে, সুতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় কোমর তাঁতে কাপড় বুনে চিবর তৈরী করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয়। তাই এ অনুষ্ঠানকে বৌদ্ধরা কঠিন চিবর দান হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন।