[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিতখাগড়াছড়ির রামগড় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলজ চারা বিতরণরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল৭২এর মুজিববাদী সংবিধানে সকল জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ ইসলামকাপ্তাইয়ে ভোক্তা অধিকার এর অভিযানে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানানৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদরাঙ্গামাটি শ্রী শ্রী লোকনাথ যোগাশ্রমের (মন্দির) ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের অভিযোগরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলাস্থ ভাইবোনছড়ায় বৃদ্ধ মজিবুর এর জায়গা দখলের অভিযোগকাপ্তাই বাংলা কলোনি মসজিদের মুয়াজ্জিনের ইন্তেকাল
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মহালছড়ির মিলনপুর বন বিহারে বিশাখার প্রবর্তিত নিয়মে কঠিন চিবরদানোৎসব সম্পন্ন

১১২

॥ মিল্টন চাকমা, মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি ॥

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মিলনপুর বন বিহারে বুদ্ধের প্রধান উপাসিকা মিগারমাতা বিশাখার প্রবর্তিত নিয়মে কঠিন চিবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে বেইনবুনন (কোমর তাঁত) শুরু হয়। বুনন শেষে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) মূল অনুষ্ঠানে আগত ভিক্ষুসংঘকে এ চিবর দান করা হয়। সকালের পর্বে সংঘ প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মিলনপুর বন বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রদ্ধাতিষ্য মহাস্থবির। এছাড়াও বিভিন্ন বিহার থেকে আগত শতাধিক ভিক্ষু উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দায়ক দায়িকারা পঞ্চশীল গ্রহন ও উপস্থিত ভিক্ষুসংঘ ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন।

প্রধান উপাসক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ভিক্ষুসংঘকে বুননকৃত চিবরসহ বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, আকাশ বাতি দান, হাজার বাতি দানসহ নানাবিধ দান করা হয়। এ সময় সকল জীবের হিতার্থে উপাসক উপাসিকাগণের সমবেত প্রার্থনা ও ধর্মীয় দেশনা শ্রবণ করা হয়।

উল্লেখ্য, বুদ্ধের প্রধান উপাসিকা কর্তৃক প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সুতা কেটে, সুতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় কোমর তাঁতে কাপড় বুনে চিবর তৈরী করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয়। তাই এ অনুষ্ঠানকে বৌদ্ধরা কঠিন চিবর দান হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন।