রাজস্থলীতে দুই বছর ধরে নেই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা
॥ মোঃ আজগর আলী খাঁন,রাজস্থলী ॥
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলার দুই বছর ধরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, পাশা পাশি অফিসের কোন কর্মচারীও নেই। এতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা। গতবছরে মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার বিভিষন চাকমা কে জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় বদলী করা হয়। তিনি বদলী হবার পরও তার স্থলে কোন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়নি। কাপ্তাই উপজেলা হতে একজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও তাকে মাসে দুইমাসে একবারও দেখা মেলেনি। অফিসিয়াল কার্যক্রম সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পালন করতে দেখা গেছে।
সাময়িক দায়িত্ব প্রাপ্ত কাপ্তাই উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার সোসাল চাকমা রাজস্থলীতে মৌখিক ভাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরোদমে কাজ হচ্ছে না। দেখা দিছে স্থবিরতা। অফিসিয়াল এবং শিক্ষা প্রতিষ্টানের বিভিন্ন সমস্যার ত্বরিত সমাধান সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষকরা পড়ছেন নানা সমস্যায়। সমস্যা নিয়ে কখনে ইউএনও, কখনো জেলায় দৌড়াদৌড়িতে ব্যস্থ। পাচ্ছেন না সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। উল্টো নষ্ট হচ্ছে সময় ও অর্থ।
রাজস্থলীতে এমপিএ- নন এমপিও সরকারি সহ ৬ টি উচ্চ বিদ্যালয়, ২ টি সরকারি কলেজ, একটি নন এমপিও বালিকা বিদ্যালয় সহ শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে। চলতি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়। পরীক্ষার বিভিন্ন তথ্যাদি নির্বাহী অফিস হতে সংগ্রহ করতে হয়। এ দিকে নভেম্বরে অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা তাও তথ্যাদি সংগ্রহে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারী না থাকায় সময়মত তথ্য পেতেও বেগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায় সময় ধরে অফিসে তালা বদ্ধ থাকে। সরকারে নিয়ম অনুসারে অফিস আট টার সময় খোলার নিয়ম হলে ও তা মানছেনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মৃদুল কান্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সারা দেশে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদ সংকট রয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার, রাজস্থলী সহ কয়েকটি উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত শুন্যপদ পূরণে উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পর কোন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দেখেন নাই। শিক্ষা বিভাগের যাবতীয় কাজ তাকে করতে হচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একজন পিয়ন আছে বলে শুনেছি। তিনি অসুস্থ বলে জানা গেছে। দ্রুত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগে শুন্যপদে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারে প্রতি দাবী রইলো ভুক্তভোগীদের।