[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

জুলুছে হাজারো মানুষের ঢল

রাঙ্গামাটি শহরে ঐতিহাসিক জশ্নে জুলুছ

৯৮

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক॥

‘আজে ঈদে মিলাদুন্নবীর জুলুছ চলতেছে,আনন্দে উল্লাসে সারা জগৎ ভরেছে’ এমন মধুর কণ্ঠে হাম-নাত আর দরুদ মুখর পরিবেশে রাঙ্গামাটি শহরে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে ঐতিহাসিক জশনে জুলুছ। জশনে জুলুছে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। জুলুছের পতাকা, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, তরুনের সাজে রাঙ্গামাটি শহরের সড়ক ও মোড়গুলো। হামদ-নাত আর দরুদে মুখর পরিবেশে জুলুছে হাজারো মানুষের ঢল নামে। জুলুছে শিশু কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে একাকার হয়ে পড়ে শহরের রাজপথ। বাসাবাড়ির ছাদে শুধু মানুষ আর মানুষ। যেদিকে চোখ যায় শুধু পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত মুসল্লিদের ভিড় ।

শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) বাদে জুমার নামাজের পরে রাঙ্গামাটি জেলার গাউছিয়া কমিটির উদ্যোগে বনরূপা জামে মসজিদ থেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে ঐতিহাসিক জশনে জুলুছের একটি বর্ণাঢ্য বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে হাজারো মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নানা রঙ-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন ও কালেমা খচিত পতাকা নিয়ে ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালাত ইয়া রাসুলাল্লাহ (সঃ) ধ্বনিতে স্লোগান দিতে থাকে। এতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো শহর। এছাড়াও মন মুগ্ধকর নাতে রাসুল(দঃ) পরিবেশন করতে
থাকেন শায়েরগণ। জুলুছের সামনে ছিল শত শত মোটরসাইকেলের বিশাল বহর। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে রিজার্ভমুখ খানকায়ে কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়াতে জমায়েত হয়। পরে সেখানে নবী করিম হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জীবনী নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয় এবং মিলাদ-ক্বিয়াম ও মুনাজাতের মাধ্যমে জুলুছের সমাপ্তি করা হয়।

জশনে জুলুছে নেতৃত্ব দেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী মাওলানা আবদুল ওয়াজেদ। জেলা গাউছিয়া কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ আবু সৈয়দ। জেলা গাউসিয়া কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন নুরীর পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন,রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু নওশাদ নঈমী, জেলা গাউসিয়া কমিটির সাবেক সভাপতি হাজী জানে আলম সওদাগর, আবদুল হালিম ভোলা সওদাগর, শান্তি নগর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিউল আলম আল ক্বাদেরী, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা ক্বারী ওসমান গনি চৌধুরী, আমানতবাগ জামে মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ আখতার হোসেন চৌধুরী,কলেজ গেইট জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা সুলতান মাহমুদ আল ক্বাদেরী, কাঠালতলী জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা সেকান্দর হোসেন আল ক্বাদেরী প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, প্রিয় নবীজি(দঃ)-এর শুভাগমনে আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের নিয়ে উর্ধ্বাকাশে জুলুছ করেছিলেন, যা কোরআন-হাদিসের আয়াত দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমানিত। এছাড়াও এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এই জুলুছ নতুন কিছু নয়। তাই মিলাদুন্নবী(দঃ) উপলক্ষে জুলুছ করা উত্তম কাজ। দিন দিন জুলুছে লোক সমাগম বাড়ছে বলে সমাবেশে বলা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ) উদযাপনে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যান কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।