জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত
॥ বরকল উপজেলা প্রতিনিধি ॥
” নির্ভুল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করব,শুদ্ধ তথ্যভাণ্ডার গড়ব” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাঙ্গামাটি বরকলে উপজেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে বিভিন্ন দপ্তরের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার(৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কার্যালেয়ে কনফারেন্স কক্ষে এ সভা আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তরুণ বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা,বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা।
আইমাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুবিমল চাকমা বলেন,একটি শিশুর জন্য জন্ম নিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেখা যায় যে, শিশুর জন্মের পর ১ হতে ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন করার কথা থাকলেও অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে অধিকাংশ শিশুকে জন্মনিবন্ধন করা হয় না। পরবর্তী শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে তারা হয়রানির শিকার হতে হয়। সেজন্য জন্ম নিবন্ধন হোক বা মৃত্যু নিবন্ধন হোক দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সুবিধা পেতে গেলে অবশ্যই নিবন্ধন প্রয়োজন রয়েছে।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রিয় রতন চাকমা বলেন,একজন নাগরিকদের জন্য জন্ম সনদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বিশেষ করে এ শতাব্দীতে জন্ম নিবন্ধন ছাড়া সবকিছু অচল।যেহেতু জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেহেতু হাসপাতালের সাথে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের লিংক থাকা উচিৎ।সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে জন্মনিবন্ধনে ব্যাপক ভূল তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।একজনের নামে অন্যজন,বয়স,ঠিকানা,পিতা-মাতার নাম ইত্যাদি জন্ম নিবন্ধনে ভূল তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।আর সাধারণ মানুষ হয়রানি হচ্ছে।সুতরাং তথ্যভান্ডার সঠিক রাখতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য অতীব প্রয়োজন বলে মনে করেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রিয় রতন চাকমা।
প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা বলেন,প্রাণীকুল মাত্রই জন্ম ও মৃত্যু হয়ে থাকে। সেজন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করাটাও সঠিক কাজের মধ্যে পড়ে। একজন শিশু জন্মের পর তার সঠিক ডাটার জন্য জন্মনিবন্ধন করা অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। আর একজন মানুষের নির্ভূল তথ্য পাওয়ার জন্য নিবন্ধন থাকা জরুরি।তাছাড়া নির্ভূল ডাটাবেইজ না থাকলে অন্যান্য সূচকগুলো পেতেও সমস্যা হয়।কারণ এর পেছনে
সামাজিক,ব্যক্তিগত ও অন্যান্য সুবিধা জড়িত রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন না করলে নির্ভূল এবং সঠিক ডাটা পাওয়া সম্ভব হবে না।যদি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পারি তাহলে নির্ভূল তথ্যভাণ্ডার গড়া সম্ভব। এসময় বিভিন্ন দপ্তরের নেতৃবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।