[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় স’মিল মালিককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে ৪৩ বিজিবির ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভাবাঘাইছড়িতে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণ বিতরণখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ধান চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ সনদ প্রদানরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভারাঙ্গামাটির লংগদুতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণখাগড়াছড়িতে দেড় দশক পর সরাসরি ভোটে কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিল সম্পন্নরামগড় ৪৩ বিজিবির উদ্যোগে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ ও খাদ্যশস্য বিতরণরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসী আটকএকটি দল দেশে চাঁদাবাজি দখলদারি নিয়ে ব্যাস্ত আছে, খাগড়াছড়িতে চরমোনাই পীর
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বিদ্যালয় ভবন নিমার্ণ কাজ ৩ বছরেও শেষ হয়নি, ঠিকাদার কোথায় ?

১১২

॥ মোঃ আজগর আলী খাঁন রাজস্থলী ॥

কর্তৃপক্ষে অবহেলা ও ঠিকাদারের গাফিলতিতে তিন বছরেও শেষ হয়নি রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার এমপিও ভুক্ত হওয়া ঘিলাছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ। নতুন ভবন নির্মাণে পুরাতন ভবন ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় অনিশ্চতায় পড়েছে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ এ অভিযোগ করেন।

সূত্রে জানা গেছে, ঘিলাছড়ি নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫০ জন। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত বিদ্যালয়টি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ২০১৯ সালের শেষে শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি টাকার বরাদ্ধে ( উটিমং নামক) ঠিকাদার কে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজ দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২১ সালের জুন মাসে বেঁধে দেওয়া হলেও কেটে গেছে প্রায় তিন বছরের অধিক। এখনো পর্যন্ত ৬ শতাংশ নির্মাণ কাজও শেষ করতে পারেনি এ ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে লিখিত ভাবে জানিয়েও সুফল পাচ্ছে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে গাদাগাদি করে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষকেরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, এত দিনেও বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম অনিশ্চতার মধ্য দিয়ে ক্লাস করছি। যার ফলে প্রচন্ড গরমে খুবই কষ্ট হয়। ঝড় বৃষ্টি হলে আরো বেশী ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজল কুমার তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ভবন নির্মান কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে বারবার অনুরোধ করেছি। অপর দিকে প্রকল্পের নির্ধারিত সময় পার হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি কেন জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের উপ সহকারি প্রকৌশলী শিমুল বাবু বলেন, আঞ্চলিক সংগঠনের চাঁদার কারণে এবং নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে কবে নাগাদ কাজ শুরু করবেন জিজ্ঞেস করা হলে তার কোন সদুত্তর তিনি দেননি। স্থানীয় অভিভাবকগণ এ ব্যাপারে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে পাঠদান স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লংবতি ত্রিপুরা বলেন, দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ বিদ্যালয়ের কাজ সম্পন্ন না হওয়াতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে চরম ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।