[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

নদী দিবসে চেংগী নদী যেন তার দুঃখ মেলে ধরেছিল

খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজারের ময়লা-আবর্জনা চেংগী নদীতে

১৮৬

॥ মোঃ ইসমাইল, পানছড়ি ॥

দেখে মনে হতে পারে একটা আবর্জনার ভাগাড়। যত্রতত্র পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। এ যেন দেখেও না দেখার ভান করে আছেন সংশ্লিষ্টরা। খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির বুক চিড়ে বয়ে চলা চেংগী নদীতে ফেলা ময়লা-আবর্জনার কথা। পানছড়ি বাজারের ময়লা-আবর্জনাই যেন শোভা পাচ্ছে চেংগী নদীতে। ফলে দূষণ ও হুমকির মুখে রয়েছে চেংগী নদী।

বিশ্বের সব দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার পালিত হয় নদী দিবস। তবে এই নদী দিবসে যেন চেংগী নদী তার দুঃখ মেলে ধরেছিল। কিন্তু নদীর বুকের ক্ষতচিহ্ন দেখার যেন কেউ নেই।
শুষ্ক মৌসুমে এমনিতেই শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয় চেংগী নদীটি। হেঁটেই পার হওয়া যায় নদীর এপার-ওপার। পলি জমে গজিয়ে ওঠে চর। এরই মধ্যে নদীতে বর্জ্যের কারণে এখন মৃত প্রায় চেংগী। আবার বর্ষা এলে তীর উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে আশ পাশের জনপদে। দেখা মেলে বন্যার নমুনা।

পানছড়ি সদরের বাজার এলাকা জুড়েই চেংগী নদীকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। বাজারের সকল আর্বজনা ফেলা হয় এই নদীতে। এই এলাকা ঘুরে দেখা যায় একেবারে বিবর্ণ হয়ে গেছে নদীটি। নদীর পানিতে ভাসছে অসংখ্য আবর্জনার স্তুপ। অপরদিকে নদীর উপর বয়ে চলা ব্রিজের রোলিংয়েও দেখা মিলে ময়লার স্তুপ সহকারে নানান ধরনের দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য পদার্থ। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া বড়ই দুষ্কর। পথচারীদের অভিযোগ, পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাক চেপে ধরি তবুও গন্ধে বমি চলে আসে।

স্থানীরা বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। পথচারীদের দাবি বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করা হোক। আমরা আর নদী দূষণ হোক সেটি চাই না। এসবের কারণে রোগ জীবাণু ও মশা-মাছির উপদ্রপও বাড়েই চলেছে। সেই সাথে ব্রীজের উপর মুরগির বৃষ্ঠা, ময়লার ভাগাড় না ফেলার জন্য অনুরোধ করেন পথচারীরা।
পানছড়ি বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি হেদায়েত আলী তালুকদার জানান, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নির্ধারন করে দেয়া হয়নি। তাছাড়া সরকারি ভাতায় পুরো বাজারের মালি রয়েছে শুধুমাত্র একজন। জনবল কম থাকার কারনে এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে।

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ জানান, বাজার ফান্ড কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন কমিটি গঠনের জন্য গত ৩ মাস ধরে তাগাদা দিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে তাদের ডেকেছি কিন্তু কেউ আসেনি। বাজারের বর্জ্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করতে পানছড়ি সদর চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।।
এ ব্যাপারে পানছড়ি বাজার এলাকার ৩নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান উচিত মনি চাকমাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।