খাগড়াছড়িতে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা
পার্বত্য জেলার সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন
॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। জেলার কমিউনিটি ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ও পর্যটন মোটেলের সহযোগিতায় বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, জেলার আলুটিলার রহস্যময় গুহা, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিছাং ঝর্ণা, পার্বত্য জেলা পরিষদের হর্টিকালচার পার্কসহ বিস্তৃত এলাকা জুড়ে কমিউনিটি টুরিজমের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় বর্তমানে বেশ কিছু রিসোর্ট ও পর্যটন স্পট গড়ে উঠেছে যা পর্যটন খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আগামীতে একটি উন্নত পর্যটন জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে-এমনটাই আশা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আলোচনা সভায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক পিপিএম, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মো: আকতার হোসেন, হোটেল অরণ্য বিলাসের মালিক স্বপন দেবনাথ, হোটেল হিল হেভেন এর মালিক মো: জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সভার আগে সকালে খাগড়াছড়ি পৌরসভা ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গন থেকে একটি র্যালি বের করে খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বর হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিটি খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। পরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সন্ধ্যায় স্থানীয় স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের হর্টিকালচার পার্কে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।