উদ্বোধন উপলক্ষে আগামী ১৬,১৭,১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠান চলবে
রাঙ্গামাটির জুরাছড়িতে ১২৬ ফুট সিংহ শয্যা বুদ্ধ মূর্তি উদ্বোধন
॥ পলাশ চাকমা ও দেবদত্ত মুৎসুদ্দী ॥
রাঙ্গামাটির জরাছড়িতে ১২৬ ফুট লম্বা সিংহ শয্যা বুদ্ধমূর্তির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মানের এক বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠান জুরাছড়ির সুবলং শাখা বন বিহারে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৬,১৭,১৮ নভেম্বর তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান চলবে বলে জানিয়েছেন বিহার পরিচালনা কমিটি।
জুরাছড়ির সুবলং শাখা বন বিহার পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ৩ দিন ব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ দেশ বিদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভারত,থাইল্যান্ড থেকে লাখো পূণ্যার্থীর আগমন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও সরকারে গুরুত্বপূর্ণ অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জুরাছড়ির সুবলং শাখা বন বিহার প্রাঙ্গণে সম্প্রতি নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১২৬ ফুট বিশিষ্ট সিংহশয্যা বুদ্ধ মূর্তির। এ মুর্তিটি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বড় সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তি বলে বিহার কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
শ্রাবক বুদ্ধ পরিণির্বাণপ্রাপ্ত সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তে) এঁর স্মরণে জুরাছড়ি সুবলং শাখা বনবিহারে এ বুদ্ধমূর্তিটি নির্মিত করা হয়। বুদ্ধমূর্তির দৈর্ঘ্য ১২৬ ফুট প্রস্থ ৪০ ফুট, উচ্চতা ৬০ ফুট করে নির্মাণ করা হয়।
জুরাছড়ির সুবলং শাখা বন বিহার পরিচালনা কমিটি সূত্রে আরো জানা যায়, সকল প্রাণীর কল্যাণার্থে বুদ্ধ মূর্তির শুভ উদ্ধোধন করবেন, ভদন্ত প্রজ্ঞা লংকার মহাস্থবির বনভান্তের শিষ্য সংঘের প্রধান ও রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার এর আবাসিক প্রধান। ভদন্ত ভৃগু মহাস্থবির, বনভান্তের শিষ্য সংঘের উপ-প্রধান ও অধ্যক্ষ ফুরমোন আন্তর্জাতিক সাধনাতীর্থ বন ধ্যানকেন্দ্র রাঙ্গামাটি, ভদন্ত বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির বনভান্তের শিষ্য সংঘের সুপ্রিম কাউন্সিল সদস্য ও জুরাছড়ি সুবলং শাখা বনবিহার অধ্যক্ষও থাকবেন।
জুরাছড়ি সুবলং শাখা বন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য প্রবর্তক চাকমা বলেন, তিন দিনের অনুষ্ঠানে লাখো মানুষের সমাগম ঘটবে এটা আমরা আশা করছি। থাইল্যান্ডের ধম্মকায়া ফাউন্ডেশন গণ শ্রামনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফাউন্ডেশন ৫০০ জনকে শ্রামন করে দেবে। এ আয়োজনের সব খরচ তাঁরা বহন করবে।
তিনি আরো বলেন, এ বুদ্ধ মূর্তিটি নির্মাণে ৮ কোটির অধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। যা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান এবং সাধারণ মানুষের অর্থ দানে এটি নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এ মূর্তি নির্মাণে স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়েছেন। ২০১৪ সালে বুদ্ধ মূর্তিটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
এ অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের পূণ্যার্থী ছাড়াও থাইল্যান্ড, ভিযেতনাম থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষু উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।