বাংলাদেশ দলের সাফ শিরোপা অর্জন
খাগড়াছড়ির দূর্গম লক্ষ্মীছড়িতেও উল্লাস-মিষ্টি বিতরণ
॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে। যা বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জন। আর এই শিরোপা জিতার উল্লাসে মেতেছে গোটা দেশ। প্রশংসা কুড়িয়েছেন দলে থাকা সকল খেলোয়াড়-কোচসহ সংশ্লিষ্টরা।
সারাদেশের মানুষ সাফ চ্যাম্পিয়প হওয়ার গৌরবে আনন্দ-উল্লাস করছে। সেই উল্লাসের কমতি নেই পাবর্ত্য অঞ্চলও। কেননা গোলপোষ্টের দায়িত্বে থাকা পাবর্ত্য জেলা রাঙ্গামাটির মেয়ে রুপনা চাকামা ও খাগড়াছড়ি জেলার আনাই মগিনী, আনুচিং মগিনী ও খাগড়াছড়ির দূর্গম লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার মনিকা চাকমা ছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে। তাই সারাদেশের ন্যায় আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা সর্বস্থরের জনসাধারণ। কেননা এই এলাকার কৃতি সন্তান মনিকা চাকমাও যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতে ট্রফিটা দেশের মাটিতে নিয়ে আসার পেছনে অনবধ্য অবদান রেখেছেন। আর এ অবদানের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস আনাই মগিনী, আনুচিং মগিনী, মনিকা চাকমার ও দলের সহকারি কোচ তৃষ্ণা চাকমার জন্য চার লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে উপজেলার ক্রীড়ামোদি স্থানীয়দের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইশতিয়াক ইমন। এ সময় লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরীসহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুুষ উপস্থিত ছিলেন। মিষ্টি বিতরণকালীণ আনন্দঘন মুহূর্তকে বাড়তি আনন্দ জুগিয়েছেন মনিকা চাকমার পিতা বিন্দু চাকমা। কেননা এখন লক্ষ্মীছড়ি উপজেলাবাসী মনিকা চাকমাকে পায়নি কিন্তু তার পিতা বিন্দু চাকামাকেতো পেয়েছেন।
মনিকা চাকমার বাবা বিন্দু চাকমা বলেন, সাফ নারী ফুটবলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটি অত্যান্ত আনন্দের। আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে আমার মেয়ে দেশের পরিচয় বহন করে যে শিরোফা জিতেছে এতে আমি পিতা হিসেবে গর্বিত। এ সময় আগামীতে দেশের জন্য আরো বেশি কিছু উপহার দেয়ার জন্য দেশবাসির কাছে মানিকা চাকমার জন্য দোয়াও চেয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক ইমন বলেন, বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতায় দেশবাসী যেমন আনন্দিত, তেমনি দূর্গম লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার সর্বসাধারণও। কেননা আমাদের লক্ষ্মীছড়ির কৃতি সন্তান মনিকা চাকমাও দেশের জার্সি পরে চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন। আমরা এই আনন্দঘন মুহূর্তে তার বাবাকে পেয়ে আমরাও বেশ আনন্দিত। আশা করছি মনিকা চাকমা লক্ষ্মীছড়ি দূর্গম এলাকার পরিচয় বহণ করে দেশের ফুটবল অঙ্গণে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে এবং দেশের সুনার বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গণে ছড়িয়ে দিবে।