মানিকছড়িতে খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু
প্রথমদিনে উপচে পড়া ভীড়, চাল না পেয়ে ফিরেছেন অনেকেই
॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
সারাদেশে নিম্ম আয়ের মানুষকে মূল্য সহায়তা দিতে ও চালের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় মানিকছড়িতেও খোলাবাজারে ন্যায্যমূলে চাল বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে প্রেসক্লাব সংলগ্ন ওএমএস বা খোলাবাজরে চাল বিক্রির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী। এ সময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাঈন উদ্দিন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জুলিয়াস চাকমা, ওসিএলএসডি সুপ্রিয় চাকমা, তদারকি কর্মকর্তা মোঃ কামরুল আলম, ডিলার মোঃ মাসুদ হোসেন পাপ্পী ও উহ্লাপ্রু মারমা উপস্থিত ছিলেন।
খোলাবাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রমের মাধ্যমে উপজেলার দুটি স্থানে প্রতি রবিবার-বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জনপ্রতি ৫কেজি করে সাপ্তাহে পাঁচদিন উপজেলার দুজন ডিলারের মাধ্যমে ৪ মেট্রিক টন চাল ন্যায্যমূলে ৩০ টাকা ধরে কিনতে পারবেন নিম্ম আয়ের মানুষ। তবে টিসিবি’র কার্ডধারীরা মাসে দুবার এ সুবিধা পাবেন। বাকিরা প্রতিদিন কিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জুলিয়াস চাকমা।
তবে খোলাবাজারে চাল বিক্রির প্রথমদিনেই চাল না পেয়ে ফিরে গেছেন অনেকেই। তারা বলছেন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিতরনের কথা থাকলেও দুপুর নাগাদ চাল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ডিলাররা। তবে ডিলাররা বলছেন প্রতিদিন ৪ (প্রতি ডিলার ২ মেট্রিক টন করে) মেট্রিক টন করে ন্যায্যমূলে চাল বিক্রির কথা রয়েছে। কিন্তু প্রথমদিন হওয়ায় মানুষের চাপ বেশি থাকায় তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে যায়। যার ফলে অনেকেই ফিরে গেছেন।
প্রেসক্লাব সংলগ্ন ডিলার মোঃ মাসুদ হোসেন পাপ্পী জানান, খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্য চাল বিক্রির প্রথম দিন হওয়ায় নিম্ম আয়ের মানুষের একটু ভীর বেশি ছিল। তাই তাড়াতাড়ি আমাদের নির্ধারিত ২ মেট্রিক টন চাল বিক্রি হয়ে গেছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জুলিয়াস চাকমা জানিয়েছেন, সারাদেশের ন্যায় মানিকছড়িতেও ওএমএস বা খোলাবাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে সাপ্তাহিক শুক্র-শনিবারের পাশাপাশি সরকারি যে কোনো বন্ধের দিন এ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে প্রথমদিন মানুষের একটু ভীড় হওয়াতে চাল তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়েছে, কিন্তু ধীরে ধীরে সকলেই যখন এর আওতায় আসা শুরু করবে তখন এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কেউ আর চাল না নিয়ে ফিরে যাবে না।