সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য প্রতিবেদককে নিষেধ করেন
বান্দরবানে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটছে ইয়াসিন চক্র
॥ আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান ॥
বান্দরবান জেলা শহরের বিভিন্ন উন্নয়নের নামে-বেনামে বসতিঘর নির্মাণ থেকে শুরু করে পাহাড়িয়া ভূমিতে নির্বিচারে পাহাড় কেটে ধ্বংসযজ্ঞ করে ফেলছে। এতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে নতুন কৌশল অবলম্বন এর পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। পাহাড় দিনের বেলায় না কেটে মধ্যরাতে লোকালয়ে একের পর এক পাহাড় কেটে সাবাড় করছে চক্রটি। এই চক্রে মূল হোতা মোহাম্মদ ইয়াসিন আহমেদ। পাহাড় কাটার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। এছাড়াও পরিবেশ অধিপ্তদের মামলায় জরিমানা করা হয়েছিল। তাদের সিন্ডিকেট দলটি প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। মাটি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক স্থায়িত্ব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুক্তির ভিত্তিতে কয়েক দিন আগে রাতে আঁধারে পৌর ক্যচিংঘাটা নতুন পাড়ায় বীর বাহাদুর স্কুল এন্ড কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে বসতি নির্মাণের জন্য বিশাল পাহাড় কেটে ফেলেছে। তাছাড়া নীলাচল যাওয়ার পথে টাইগার পাড়ার এক প্রভাবশালী বাগান মালিক কে বিশাল পাহাড়ের টিলা কেটে রাস্তার সু-ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ট্রাকে ভর্তি করে বিভিন্ন জায়গায় টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রি করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্যচিং পাড়ার স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মধ্যরাতে ভারি স্কেবেটার (মেশিন) দিয়ে উঁচু পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের জন্য সমতল করছে। সেই মাটি আবার ট্রোকে যোগে অন্যত্র সরানো হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ সারাদিন কাজে লিপ্ত থাকি। গভীর রাতে হঠাৎ আশেপাশে মানুষের মেশিন এর শব্দে মানুষের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। তারা আরো বলেন, সামান্য বৃষ্টি পড়লে সেই মাটি সরিয়ে রাস্তার পড়ে সাধারণ মানুষের ওই রুটে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় মাটি পড়ে থাকে, এতে বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা তাদের পরনে কাপড়-চোপড় কাদা লেগে নষ্ট হয়। তাই প্রশাসনে কাছে মিনতি পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার্থের এই চক্রটিকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
পাহাড় কাটার বিষয়ে ইয়াসিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য প্রতিবেদককে নিষেধ করেন। এলাকায় কিছু প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় পাহাড় কাটা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মোঃ ফখর উদ্দিন জানান, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা বিষয়ে জড়িত ব্যবসায়ীদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পর্যন্ত পরিবেশ আইন আমান্য করে যারা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রের্কডভুক্ত আছে।