[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

যুবলীগ সহ-সভাপতিকে মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

৬৮

॥ মোঃ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৩নং চিৎমরম শাখার ওয়ার্ড যুবলীগ সহ-সভাপতিকে জেএসএস কর্তৃক মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী। সোমবার (২৯আগস্ট) বেলা ১২টায় চিৎমরম বাজারে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত রবিবার দুপুর ২টায় জেএসএস একদল কর্মী এসে চিৎমরম ওয়ার্ড যুবলীগ সহ-সভাপতি ও বাজার ব্যবসায়ী উক্যাসিং মারমা (প্রকাশ) রানাকে প্রথমে স্থানীয় দোকানে ও পরে মাঠে নিয়ে বেদম প্রহর করে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চিৎমরমে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন টহলে আসলে উক্ত যুবলীগ সহ-সভাপতি জেএসএস সমর্থকদের খবর না দেয়ার ফলে তারা কয়েক দফায় উক্ত যুবলীগ নেতাকে মারধর ও আহত করে চলে যায়। বর্তমানে সে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। জেএসএস এর এসব সমর্থক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে কাপ্তাই উপজেলা আ’লীগ সভাপতি বলেন, ৩নং চিৎমরমে প্রায় ১৫হাজার লোকের বসবাস। এ ১৫হাজার লোক জেএসএস সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি। কয়েক বছরের মধ্যে দলীয় বহু নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা ও অপহরণের মাধ্যমে গুম করে রেখেছে এবং বহু নেতাকর্মীকে একের পর এক বেদম প্রহার করছে। উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী নিজে ও তার পরিবারের লোকজন এ সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি বলে সংবাদ সম্মলনে উল্লেখ করেন। তিনি অতি দ্রুত এ চিৎমরম চাকুয়াপাড়ায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনেরও দাবি জানান।

সংবাদ সম্মলনে সভাপতিত্ব করেন. ৩নং ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ওয়েশ্লি মং চৌধুরী। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের নাগরিক না। আর যদি নাগরিক হতাম তাহলে চিৎমরম ১৫হাজার লোক সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি থাকত না। আজ আমরা প্রতিটা মুহূর্তে অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছি। এখানে অতিদ্রুত সেনা ক্যাম্প বসানোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও কাপ্তাই উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক (সাবেক) প্রকৌশলী থোয়াইচিং মং চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রশাসনসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবরে উক্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে দলের পক্ষ হতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিষয় জানানো হয়। কিন্ত এখন পর্যন্ত বাস্তবায়নের কোন লক্ষণ দেখাযায় নি। এসময় চিৎমরম বাজার ব্যবসায়ী, ইউপি সদস্য ও উপজেলা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের লোকজন এবং এলাকার সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।