[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনীদীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্মিত ব্রিজগুলো দ্রুত যোগাযোগ উপযোগী করুন

৪৭

তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অনেক অঞ্চলে মানুষের যোগাযোগের উন্নয়নে জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা প্রশাসন কিংবা আরো কিছু উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ব্রিজ কালভার্ট করলেও কোথাও কোথাও এসব ব্রিজ কালভার্ট কাজে আসছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন কোন ব্রিজ নির্মাণ কাজ সম্পূর্ন করা হলেও সংযোগ সড়ক করে না দেয়ার কারনে মানুষ তার ব্যবহার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। আবার কোন কোন ব্রিজের দুইপাশে বাঁশের মই বসিয়ে ব্রিজ পার হতে হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এসব ব্রিজ যদি ব্যবহারই করতে না পারে তাহলে কিসের জন্যই-বা করা হয়েছে তা প্রশ্ন করছেন এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ।

দেখা যায় বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া হয়ে সদর ইউনিয়নের পোপা খালের উপর ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের একটি ব্রিজ এলাকাবাসীর নাকি কোনো কাজেই আসছে না। এক বছরের অধিক সময় ধরে ব্রিজটি নির্মিত হলেও উভয়দিক সংযোগ সড়ক না থাকায় দু’পাড়ের মানুষ ব্রিজে উঠতে হয় মই দিয়ে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২২ইং অর্থবছরে ‘লামা রূপসীপাড়া সড়ক হতে মেরাখোলা হয়ে ছোট বমু পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের’ পোপা খালের উপর ৬০ মিটার দীর্ঘ আর.সি.সি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করে। গত এক বছর আগেই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। নির্মাণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজের দু’পাশে সংযোগ সড়ক করে দেয়া হয়নি। এরপর থেকে এলাকাবাসী ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছেন না তবে তারা মই দিয়ে সড়ক পার হচ্ছেন অথচ সেখানে গাড়ি চলাচলের কথা ছিল।

অন্যদিকে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার সোনাই হাজাছড়া এবং অন্যটি ডানে আটারকছড়া এ দুই ফুট ব্রিজ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ এর অর্থায়নে করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরেই এ দুটি ফুট ব্রিজ স্থানীয় জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারছে না শুধুমাত্র সংযোগ সড়ক করে না দেয়ার কারনে। বর্তমানে প্রায় কোটি টাকার এসব ব্রিজ দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের ব্যবহার উপযোগী নয় বলে তারা দাবি করছেন। ঠিক এভাবেই আরো কিছু স্থানে ব্রিজ করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু শেষঅবধি সংযোগ সড়ক করে না দেয়ার কারনে স্থানীয়রা ব্যবহার করতে পারছেনা। যার কারনে মানুষের মাঝে নানান ক্ষোভও দেখা দিয়েছে। অবশ্য এসব ব্রিজগুলোর বিষয়ে উন্নয়ন সংস্থার প্রকৌশল বিভাগ বরাদ্দ না থাকার কারনে সংযোগ সড়কের কাজ করতে পারেনি বলেও জানান। কিন্তু কথা হলো উন্নয়ন কাজতো বন্ধ নেই। যেসব কাজ অল্পের জন্য শেষ হতে পারছে না সেসব কাজগুলোকেই আগে প্রাধান্য দিয়েইতো নতুন কাজে হাত লাগাতে হবে। এখন কাজের কাজ সব হলো কিন্তু সামান্যর জন্য জনগন তার সুফল ভোগ করতে পারছেন না। তাই তাদের সুবিধার জন্য উন্নয়নের জন্য ব্রিজগুলোর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করে দ্রুত যোগাযোগ উপযোগী করুন।