রবীন্দ্র-নজরুলের গান কবিতা সাহস যুগিয়েছেন
বঙ্গবন্ধু বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকিয়েছেন: নিখিল কুমার চাকমা
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, রবীন্দ্র-নজরুলের গান কবিতা ও সাহিত্যে স্বাধীনতায় সাহস যুগিয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকিয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস এবং এ মাস আমাদের জাতীয় শোক দিবস। তাঁদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। শনিবার বিকাল ৫টায় সাংস্কৃতিক সংগঠন এসো গান শিখি সংগীত বিদ্যাপীঠ এর আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুলে প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শহরের শিশুপার্ক সংলগ্ন বাংলাদেশ শিশু একাডেমী হল রুমে সংগঠনের সভাপতি ও সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় সম্পাদক-প্রকাশক মিলটন বড়ুয়া এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মোঃ সেলিম, উপ-আঞ্চলিক পরিচালক, বাংলাদেশ বেতার, রাঙ্গামাটি, মিজ বন্ন্যা বড়ুয়া, প্রভাষক, নানিয়ারচর সরকারি কলেজ, অনুপম বড়ুয়া শংকর, সাদারণ সম্পাদক সিপিবি ও সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময়, ডাঃ দুলাল দাশ গুপ্ত দুল, উপদেষ্টা, মৃদুল ধর, বিমল ঘোষ, সহ-সভাপতি, এসো গানশিখি সংগীত বিদ্যাপীঠ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আশীষ দেব।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যত। তাদেরকে যদি সুশিক্ষায় বড় করতে পারি তারাই হবে সাম্যের ভবিষ্যত। রবিন্দ্র নজরুলের গান কবিতা তাদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারলে তাদের ভবিষ্যত সুন্দরই হবে। আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজক এসো গানশিখি সংগীত বিদ্যাপীঠ এর সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড দীর্ঘ দিনের। আমি তাদের পথ চলায় যথাসাধ্য সহযোগীতার চেষ্টা করবো বলে উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি মোঃ সেলিম বলেছেন, সাহিত্য সাংস্কৃতির প্রতিষ্ঠান যদি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে কষ্ট হয়। বেতারে কর্মরত অনেকেই ভাবেন তারা বসে থাকলেই ভালো, কিন্তু আমি তার বিপরীত। আর তাই হওয়াতে আমাকে এজেলা ওজেলায় বদলীও করে। রাঙ্গামাটি বেতারে এখন দেড়শত শিল্পী নিয়মিত সাংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছেন। তিনি শোকের মাসের কথাও উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধরু যে ত্যাগ তাতে আমরা মুক্ত কিন্তু তাঁকে যেভাবে হারিয়েছি তা কোনভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়।
প্রভাষক বন্ন্যা বড়ুয়া বলেছেন, শিক্ষা জীবন বলতে শুধু পড়ালেখাতেই নয়, তাই সাংস্কৃতিক শিক্ষা এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ন। রবীন্দ্র-নজরুল আমাদের সাংস্কৃতির প্রাণ। সেই সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মহানায়ক।
অনুপম বড়ুয়া শংকর বলেছেন, আামাদের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বাধীনতা এবং শৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম সাহস। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকাররা আমাদের সংস্কৃতির বিরোধী ছিল। দেশকে উন্নয়নে এগিয়ে নিতে সাংস্কৃতির উন্নয়নের বিকল্প নেই। তিনি বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা চিত্রাংকন প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে সকলেই মনোজ্ঞ গান উপভোগ করেন।