১৫ আগষ্ট হইলো জাতির বেদনার দিন, তয় মোস্তাকের মতন বেঈমানদের যাহাতে আর দেখিতে না হয়
ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। আমাগো শেখ হাসিনা জেঠিতো ব্যাটা করোনার টুঁটি চাপিয়া ধরিয়াছে। এই বজ্জাতের হাড্ডি গোটা পৃথিবীর জেঠা-জেঠির অস্থিমজ্জাও চুষিয়া খাইতেছে। লাখ লাখ জেঠা-জেঠিগোর জীবন সাঙ্গ করিয়া বন্ধন ছিন্ন করিয়াছে। এইবার নাকি জোট বাধিঁয়াছে ওমিক্রন। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে, কঠোর দমন নাই, নিপীড়ণ, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি আপুত্তি-বিপত্তি। আমি জেঠাও সর্ব বেকায়দায়। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….
ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর জেঠা-জেঠিগোর ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিলো তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওন যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনে হয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি। পাহাড় পর্বতের মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের বয়ান উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। করোনা-১৯তো কারো কথাই হুনিতে চাহে না। বহু ভাইরাসের মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং এখন হরদম। বেকার এই ছোট্ট জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, বায়না ধরে জঙ্গল দেখিবো, পাহাড়-নদী-নালা দেখিবো, আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো, খুবই চিন্তায় আছি… যাউ¹া…
জাতীয় শোক দিবসে তিন পাহাড়ের জেঠা জেঠিরা বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত বাকী খুনিদেরও দেশে ফিরাইয়া আনিয়া বিচার সম্পন্ন করিতে দাবি জানাইয়াছে। গেল সমবার জাতীয় শোক দিবসে জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ট সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন কালে পাহাড়ের শহর গ্রাম প্রত্যন্ত অঞ্চলের জেঠা-জেঠিরা এই দাবিতে একাট্টা। কথা হইলো আমাগো দেশে বহুত বেঈমানের গুষ্টির দল-প্রেতাত্মারা আইজও বহুত কলকাটি নাড়াইতেছে। তয় শপথ লইতে হইবে হ¹ল প্রেতাত্মাগোরে চুঙ্গায় ভড়িয়া জাতিরে দায়মুক্তি করিতেই হইবে, চিন্তায় আছি…
রফিক জেটা কহিলো, দেশে জ্বালানী তৈলের মূল্য বৃদ্ধির কারনে বিদ্যুতের ভেলকিবাজী চলিতেছে। বহুত জায়গায় বিদ্যুৎ চুরিও হইতেছে। শহর বন্দরে নাকি বহুতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করিলেও তাঁগো হিসাবও নাকি মিটারে নাই। বান্দরবানের লামায় জেঠা-জেঠির বিদ্যুৎ গিলিতেছে টমটম। হেইখানে টমটমের ঠেলায় রীতিমতন বৈদ্যুতিক গ্যারেজ বাড়িতেছে। হেইসব গ্যারেজে টমটমের গাড়ির ব্যাটারী রাইত দিন চার্জ দিতে যাইয়া ঘরের বাতিও জ্বলে না। একতে সরকারের ঘোষিত লোডসেডিং অন্যতে বিদ্যুৎ যাহাই পাওয়া যায় তাহাই গিলিতেছে টমটম। যা মনে হইতেছে টমটমের কারনে হেইখানে গম করিয়াই লাট্টালাট্টি বাঁধিবে, চিন্তায় আছি…
দহ জেঠা কহিলো, স্কুলের গেইট খুলে পড়িয়া ছয় বছরের শ্রাবণ প্রাণ হারাইয়াছে। গেল বুধবার খাগড়াছড়ির খবং পুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটিয়াছে। হ¹লের মতনই শ্রাবণ মায়ের সহিত স্কুলে গিয়ে মুল ফটকের লোহার দরজা ছুটে তার মাথার উপর পড়িলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়াছে। আমাগো অভিভাবক জেঠা-জেঠিরা স্কুল কর্তৃপক্ষরে দায়ি করিয়া আইন বিচার চাহিয়াছে। যা দেখিয়াছি স্কুলের শিক্ষাক, ঠিকাদার, প্রকৌশল পুতিষ্ঠান খালি নিজেগোর লাভের তালে আছিল। আমাগো ছোট্ট জেঠা শ্রাবণের মৃত্যু অপ মৃত্যু নয় এইটি হত্যা হিসাবেই গন্য করিতে হইবে, চিন্তায় আছি…
আমাগো দীপংকর জেঠা কহিলো, স্বাধীন বাংলাদেশে মোস্তাকের মতন বেঈমান যাহাতে না আসে। বঙ্গবন্ধু না জন্মিলে এই দেশের জন্মই হইতো না। ১৫ আগষ্ট হইলো জাতির বেদনার দিন। তয় মোস্তাকের মতন বেঈমানদের যাহাতে আর দেখিতে না হয়। তাই হ¹লেই মিলেমিশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করিতে হইবে। কথা হইলো বেঈমানের সংখ্যা কমে নাই বরং রাইত দিন বাড়িতেছে। না হইলে আমাগো প্রধানমুন্ত্রী শেখ হাসিনা জেঠি দেশের জেঠা-জেঠিগোর উন্নয়নে রাইত দিন কাম করিতেছে আর বহুতে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করিতেছে। এই লুটেরার দলও মহা বেঈমান, চিন্তায় আছি…
আরিফ জেঠা কহিলো, এইবার সাড়ে তিন মাস পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের অনুমোদন করিয়াছে জেলা প্রশাসন। হ্রদে পানির স্তর না বাড়নের কারনে জেলে-ব্যবসায়ী আর কর্পোরেশন তাঁগো নিয়মিত কাজের অংশের দেরীতে গিয়াছে। এশিয়া মহাদেশের মইধ্যে এইটিই হইলো বৃহৎ হ্রদ। মিঠা পানির এই হ্রদের মাছ স্থানীয় জেঠা-জেঠিগোর চাহিদা মিঠাইয়া দেশের বাইরেও সরবরাহ হইতেছে। তয় অতি লাভের আশায় বহুতে অকালে মাছ ধরিতে মাটির তলায়ও ছাঁকিতে গিয়া বহু মাছের বিলুপ্ত হইয়াছে। কথা হইলো এই হ্রদ নির্ভর বহুতের জীবন যৌবন আর অর্থ অকালে মাছ ধরন হইতে বিরত থাকিতেও হইবে, চিন্তায় আছি…
হোসেন জেঠা কহিলো, আমাগো খাগড়াছড়ির এমপি কুজেন জেঠা স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় আনা হইবে না। বিএনপি-জামাতের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিষয় আসয়ে হজাগ থাকিতে হইবে। যেই কোন মূল্যে স্বাধীনতা বিরোধীগোরে খেদাইতে হইবে। তাইনে গেল সমবার জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে উপুজিলার মানিকছড়িতে আয়োজিত সভায় এই আহ্বান করিয়াছেন। কথা হইলো দলের ভিতরে লুটেরার দলও খেদাইতে হইবে। পাচারকৃত দেশের টাকা বিদেশ হইতে ফেরত আনীতে কঠোর হইতে হইবে, চিন্তায় আছি…
দহেন জেঠা কহিলো, খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীর শাখা প্রশাখাও গিলিতেছে দখলবাজ গুষ্ঠির দল। হেইখানের গোলাবড়ির গঞ্জ পাড়ার সহিত মিলিত চেঙ্গী নদীর শাখা দখল করিয়া বাড়িঘর বাইনাইতেছে। ভয়াবহ এই অপতৎপরতা বন্ধ করিতে না পারিলে বর্ষায় হেইখানের গ্রাম ডুবিতে বসিবে। কথা হইলো অবৈধ দখলবাজদের লাইন ধরিয়া জরিমানা আর দীর্ঘ সময়ের জেল করিতে হইবে। আমাগো জেলা প্রশাসন তড়িৎ ব্যবস্থা লওনের দরকার, চিন্তায় আছি…
আমাগো পার্বত্য তিন জেলায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান পালনে বর্ডার গার্ড বিজিবির উদ্যোগে বহু স্থানে দরিদ্র জনগুষ্টির মাঝে হরেক প্রকারের সাহার্য্য প্রদান করিয়াছে। দিবসটি উপুলক্ষ্যে চিকিৎসা সেবাও দিয়াছে। এই মহৎ কামের জইন্য অসহায়রা প্রানভরিয়া দোয়া আশির্বাদ করিয়াছে। যাউ¹া দেশের এই অতন্দ্র প্রহরিরা আরো মহৎ কাজে অংশিদার হইয়াছে।
আবার আমাগো মাত্তাল লেদু কহিলো তুমি বন্ধু কালা পাখি, আমি যেন কি-ই। সারা বছর জেঠা-জেঠিগোরে চুষিয়াই খাইলি। ক্ষেমতার অধিকারীরাতো রাজনৈতিক লেজুরভিত্তি চালাইয়া শহর নগরের অসহায় জেঠা-জেঠিরে ভালবাসার পল্টি মারিয়া লাগাতারই ছেঁচড়াইতেছে। জন্ম নিবন্ধন লইয়া বহুতে কহিলো যেই অত্যাচারিত হইতেছি তয় মানবকুলে আর জন্ম লওনের দরকার নাই। ঢের ভালা পাখি হইয়া জন্মিলে গোটা পুত্থিবী ঘুরিলেও, পাসপোর্ট, ভিসা, পুরিচয়পুত্র, জন্ম নিবন্ধুনের দরকার হইবে না। এই কামে, হেই কামে বহুতে ফিরিকশন লাগাইয়া দিয়া চুইংগামের মতন লম্বা করিতেছে, আবার নানান কিছিমের আকাম লইয়াও দৌড়াইতেছে। লেদু কহিলো খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। লুটেরার দল আছমকা গন্ডোগোল আর আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হ¹লই হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইতেছে। তয় কি ভালোভাসা, বহুতেতো বাসাবাড়িও দখল করিতেছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…
ভাইপো-রে পার্বত্য এলাকায় আর কতো রকম-বেরকমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ আমি জেঠাও কখন জেলে ঢুকি এই চিন্তা লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….
ইতি-
পা.স.চি.জে.মি.ব.
২২আগষ্ট, ২০২২ খ্রিঃ