[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল

আমার বোন মরেনি, তাকে মেরে ফেলেছে

৪০

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

লামায় এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এইটি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি খুন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। ভিকটিমের ভাইবোনের দাবী তাকে খুন করা হয়েছে অন্যদিকে ভিকটিমের স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বলছে সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। এদিকে লামা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার মৃত্যু নিশ্চিত করলে স্বজনরা তড়িগড়ি করে কাউকে না জানিয়ে লাশ নিয়ে চলে যায় এবং দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে লামা থানা পুলিশ নিহতের পিতার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয় ।

নিহত গৃহবধূ আনকুরা বেগম (৪০) লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বৈল্যারচর গ্রামের মোঃ সাইদুর রহমানের স্ত্রী এবং আবুল কাসেম ও মনসুরা বেগমের মেয়ে। সে চার সন্তানের জননী। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ভিকটিমের বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

নিহত আনকুরা বেগমের ভাই মাইনুদ্দিন বলেন, আমার বোন জামাই মোঃ সাইদুর রহমানের মাথা গরম। প্রায় তাদের সংসারে ঝগড়া হত। জমিনে কাজ করে আজ দুপুরে ঘরে আসলে তাদের ঘরে ঝগড়া হয়। কিছুক্ষণ পরে শুনতে পারি আমার বোন দুপুরের ভাত খাওয়ার পর স্ট্রোক করে মারা গেছে। খবর পেয়ে এসে দেখি দরজা আটকানো বাঁশের লাঠি ভাঙ্গা এবং ঘরের বেড়ার টিন অনেকাংশ কাটা। ঘরের ভিতরে টিনে কালো কালো চোপ চোপ অনেক গুলো রক্ত লেগে থাকতে দেখা গেছে। আমার বোন মরেনি, তাকে (সাইদুর) মেরে ফেলেছে। ১৫ বছর আগে তারাই আমার আরেক ভাইকে মেরে ফেলেছিল।

নিহতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ফজিলা খাতুন ও মোমেনা খাতুন বলেন, আনকুড়া বেগম ভাত খাওয়ার পর স্ট্রোক করে মারা গেছে। নিহতের ছোট বোন রেশমা আক্তার বলেন, আমরা ধরাধরি করে লাশ ঘর থেকে বের করি। তারপর গ্রাম্য ডাক্তার মোঃ ফারুককে ডাকি। সে প্রেসার চেক করে লামা হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দেয়। লামা সরকারি হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। তারপর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি। গ্রাম্য ডাক্তার মোঃ ফারুক বলেন, আমি গিয়ে দেখি আনকুড়া বেগমকে উঠানে রাখা হয়েছে। আমি পারবোনা বলে তাকে হাসপাতালে নিতে বলি।

এদিকে ভিকটিমের স্বামী সাইদুর রহমান লামার সরই কোয়ান্টাম থেকে ছেলেকে আনার কথা বলে বিকালে বেরিয়ে গেলেও রাত ৯টাও (নিউজ লেখা পর্যন্ত) ফিরে আসেনি।

থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে এবং শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই বিষয়ে লামা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজন একেকজন একেক কথা বলায় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের উদ্বেগ হয়। তারপরেও কারো অভিযোগ থাকলে থানায় এজাহার দিতে বলা হয়েছে।
লামা হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রোবিন বলেন, আনকুরা বেগমকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের স্বজনরা বলেন, মাথা ঘুরিয়ে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

লাশের প্রাথমিক সুরতহাল করেন লামা থানা পুলিশের এসআই মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা ও মোঃ সাজ্জাদ। তারা বলেন, লাশের গলায় কালো দাগ আছে। বিষয়টি মৃত্যু নাকি খুন তা বলা যাচ্ছেনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, নিহতের পরিবারের একেকজন একেক কথা বলছে। নিহতের ভাইবোন, স্বামী, মেয়ে, দেবর-ননদ কারোর কথা মিল নেই। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।