রাস্তায় ফেলে স্কুল ছাত্রীকে মারধর
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
কোচিং থেকে বাড়িতে ফেরার পথে উম্মে হাবিবা নামে দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে মেরে জখম করেছে জাহেদুল ইসলাম (১৮) নামে এক যুবক। সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পূর্ব পাড়ার রহিমের দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত উম্মে হাবিবা কে লামা হাসপাতালে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
আহত স্কুল ছাত্রী চকরিয়ার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পূর্ব পাড়ার মোঃ বাবু মিয়া ও ইয়াছমিন আক্তার এর মেয়ে এবং লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। হামলাকারী জাহেদুল ইসলাম একই গ্রামের মোঃ আলমগীর ও তাহেরা বেগমের ছেলে। তার দুইজনই মামাতো ফুফাতো ভাইবোন।
স্কুল ছাত্রী উম্মে হাবিবার মা ইয়াছমিন আক্তার বলেন, জাহেদুল ও তার পরিবারের লোকজন সোমবার সকাল ১০টার দিকে আমার বাড়ির একটি সুপারী গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সাথে আমাদের কথাবার্তা কাটাকাটি হয়। সে ঘটনার জের ধরে দুপুর ১২টায় আমার মেয়ে লামা বাজার হতে কোচিং পড়ে বাড়িতে আসার সময় পূর্ব পাড়া দোকানের সামনে জাহেদুল ইসলাম তাকে প্রকাশ্যে মারধর করে। আমি আমার যুবতী মেয়ের মারধরের বিচার চাই।
উম্মে হাবিবা বলে, লোকজনের সামনে প্রকাশ্যে জাহেদুল আমাকে ঘাড়, চুল ধরে কপাল ও মুখ গাছের সাথে অনবরত আঘাত করে। এসময় আমার নাকের হাড় ভেঙ্গে যায়, কপাল ফুলে যায় এবং দাঁতে হতে রক্ত বের হয়। তারপর চুল ধরে মারধর করে। দূর থেকে তার মা বোন চেয়ে থাকে ও আরো মারতে উৎসাহ দেয়।
এ বিষয়ে বমু বিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদের বলেন, আহত মেয়ে ও ছেলেটি আপন মামাতো ফুফাতো ভাই-বোন। উম্মে হাবিবার বাবা ও জাহেদুল ইসলামের মা আপন ভাই-বোন। সকালে ছেলেটির মাকে মেয়েটির বাবা মারলে সেই রাগে ছেলেটি তার ফুফাতো বোনকে মারধর করে। বিষয়টি পরিষদের আসলে দুইপক্ষের মতামতে সমাঝোতা ও মিলমিশ করে দিই এবং মেয়েটির চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ দুই হাজার টাকা দিতে বলি। প্রয়োজনে আরো খরচ দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করি। মেয়েটি বয়সে ছোট হলেও ছেলেটিকে মেয়ের পা ধরে ক্ষমা চাওয়ানো হয়েছে এবং মেয়ের মায়ের কাছেও ক্ষমা চেয়েছে। তবে মেয়ের মা ইয়াছমিন আক্তার খুবই উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির মহিলা। সে কাউকে মানতে চায়না।