বরকলে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত
॥ বরকল উপজেলা প্রতিনিধি ॥
রাঙ্গামাটি বরকলে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ এর যৌথ উদ্যোগে সরকারি-বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা আয়োজন করা হয়।
সভার শুরুতেই ১৫ আগস্ট শহীদের স্বরণে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ,দোয়া ও আত্মার শান্তির মাগফেরাত কামনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা।উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের টিটু ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুচরিতা চাকমা,বরকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ নাছির উদ্দীন।
বক্তারা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও তার অবদান এবং দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বক্তারা বলেন,বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সহ স্বপরিবারকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে কালো অধ্যায় সূচনা করেন। যেটি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বঙ্গবন্ধু মানুষ হিসেবে যেমনটি দূরদর্শিতা ছিলেন তেমনি দেশ স্বাধীনতায় তার বড় অবদান ছিল। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে।তিনি জাতির উদ্দেশ্য ঘোষণা করে বলেন এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,একবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযু্দ্েধ অংশগ্রহণ করেন।লক্ষ শহীদের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়।
প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান বিধান চাকমা বলেন,দেশ স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল অতুলনীয়।কিন্তু ঘাতকরা দেশ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে বেঁচে থাকতে দেয়নি। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট স্বপরিবারসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকেরা নির্মমভাবে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন,শাসক,শোষিত এ দু’ধরণের শ্রেণি সমাজে বসবাস রয়েছে।শুধু বঙ্গবন্ধু নয় দেশের সর্বত্রই জাতির নেতৃবৃন্দদের হত্যা করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস থেকে সবার শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।তা নাহলে ভবিষ্যতে শ্রেণি বৈষম্য কারণে বা মতাদর্শগত কারণে হত্যাকাণ্ড হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই শ্রেণি বৈষম্য,বর্ণ বৈষম্য,জাতিগত বৈষম্য দূর করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন,কুচক্রী মহলের কারণে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববন্ধু হতে পারেননি।১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ স্বপরিবারকে ঘাতকরা হত্যা করে কলঙ্কময় দিন রচনা করে।যেটি প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবস হিসেবে আমরা পালন করে আসছি। এ শোকের দিনেই আমরা সকলেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় শক্তির বলীয়ান হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বো।
এসময় সরকারি-বেসরকারি নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধি,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ,গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে গবাদিপশু ও হাঁসমুরগি পালন,মৎস্য চাষ প্রকল্পের জন্য ৯জনকে ৬ লক্ষ টাকা যুব ঋণ ও উপজেলা ত্রাণ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হতদরিদ্র ৫০টি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়।